পররাষ্ট্র নীতি
চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু’ যে দিকে ধাবিত হচ্ছে
চীন ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের সমর্থক; কিন্তু সম্প্রতি, নতুন এবং অনেকটাই ভিন্ন রকমের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বেইজিং ও মস্কোকে। প্রায় এক বছর আগে গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষে তারা অবতীর্ণ হয়েছে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। জুলাই মাসে, হামাস, ফাতাহ এবং অন্যান্য প্রায় এক ডজন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মিলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করে। গাজার যুদ্ধ শেষে সেখানকার প্রশাসনের জন্য একটি জাতীয় পুনর্মিলনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে ওই চুক্তি হয়েছিল। এই গোষ্ঠীগুলো একই ধরনের চুক্তির জন্য ফেব্রুয়ারিতে মস্কোতেও বৈঠক করেছিল। চীন ও রাশিয়া উভয়ই ইরান, সিরিয়া আর তুরস্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তিমত্তার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো, বেইজিং বা মস্কো কেউই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে না। তাই হামাসকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে কোনো সমস্যা নেই চীন ও রাশিয়ার। তবে এই ধরনের মধ্যস্থতায় কোনো বাস্তব ফলাফল হবে কি?
বিএনপির ভারত বিরোধিতা কতটা যৌক্তিক
২০০৮ সালের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের সরকারপ্রধান যতবার ভারত সফরে গিয়েছেন ততবারই সফর বিশ্লেষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। প্রত্যেকবার বিএনপি সফরের বিরোধিতা করে বিবৃতি প্রদান করেছে। বিবৃতিতে সফরের সমঝোতা ও দুই দেশের মধ্যকার চুক্তিকে নিয়ে বিএনপি নেতিবাচক মন্তব্য উপস্থাপন করেছে। আচ্ছা সম্মানিত পাঠক আপনারাই বলুন তো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সব কিছুই কি অযৌক্তিক ও দেশবিরোধী? বিএনপির দৃষ্টিতে অন্তত এমনই, আচ্ছা এমন কি হতে পারে? বিএনপি এমন একটা অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে ভারতের বিরোধিতাও করে ফেলছে।