মুক্তিযোদ্ধা
নির্বাহী আদেশে কালকের মধ্যে নিষিদ্ধ হবে জামায়াত-শিবির: আইনমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নৈরাজ্য এবং প্রাণহানির ঘটনায় দলটির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন জোট। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে
কীসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এমন সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তার মূল কারণটি অনেকটা ঢাকা পড়ে গেছে। ওপরে ওপরে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কীভাবে ছাত্ররা এই আন্দোলন শুরু করেছিল, এবং এই আন্দোলন কীভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে গিয়েছিল সেসবের আর পুনরাবৃত্তি করছি না আমি। প্রথম দিকে দেশের জনসাধারণের একটা বড় অংশ যে ছাত্রদের এই আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছে সেটাও সত্য।
মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ করার অপচেষ্টায় বিএফইউজের উদ্বেগ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৪ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।
বাংলা ব্লকেড: শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান কাদেরের
আদালত ‘বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত দিয়ে রায় দেবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, "আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কোটার আলোচনা শুধু সরকারি চাকরিতে কেন?
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য এ কে মোশাররফ হোসেন আকন্দের (১৯১৭-১৯৯৫) বড় ছেলে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন আকন্দকে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তার মতো কিছু বিশিষ্টজনকে রাজধানীতে বাড়ি উপহার দেয়ার উদ্যোগ নেয় বঙ্গবন্ধু সরকার। বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বয়সে বড় এবং সৎ ও নীতিবান আইনজীবী হিসেবে সেই তালিকায় মোশাররফ হোসেন আকন্দও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেহেতু আকন্দ সাহেবের ছেলে শহীদ হয়েছেন, তাই তালিকাভুক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর কোনো একটি বাড়ি যেন এই সন্তানহারা পিতাকে বরাদ্দ দেয়া হয়; কিন্তু মোশাররফ হোসেন আকন্দ বাড়িটা গ্রহণ করেননি।