বাক স্বাধীনতা
স্বাধীনতার স্বাদ বস্তির উলঙ্গ ছেলেটির কাছে পৌঁছে দিব
স্বাধীনতার ৫৫ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। এত বছর পর মনে পড়ছে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে একটা স্লোগান দিয়েছিলাম, ‘স্বাধীনতার স্বাদ বস্তির উলঙ্গ ছেলেটির কাছে পৌঁছে দিব।’ আজকে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে বলছি, পারিনি; কিন্তু স্বাধীন করে দিয়েছি। কীভাবে? এই দেশে একটি স্পঞ্জের স্যান্ডেলের কারখানা ছিল না, ইন্ডেন্টিং ব্যবসা কাকে বলে বাঙালি জানতো না। আজকে সেই বাঙালি কিন্তু জুতা থেকে শুরু করে বিল্ডার্স ব্যবসা, যেখানে ইস্পাতের কোনো খনিজ ছিল না, সেখানে বড় বড় শিপ তৈরি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠায়- সেই অবস্থায় আমরা পৌঁছে গিয়েছি। আমার গ্রামের এক ছেলে হেলিকপ্টার বানিয়ে আকাশে উড়েছে, এটা অহংকারের বিষয়, তাই না? এই ছিল বাঙালি জাতি। সেখান থেকে আমরা এতদূর আগালাম।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে
বাক স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সামাজিক-রাজনৈতিক অধিকার প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে। তাই সুস্থ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রয়োজন; কিন্তু যুগে যুগে দেখা গেছে, গণমাধ্যম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে পড়েছে। যে দেশে গণতন্ত্র যত কম, সে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও ততটুকু কম।
‘সবার জন্য মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে মানুষ ও মাটির সন্তান হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি।