গাজা
গাজাবাসীর কান্না কি পৌঁছাচ্ছে বিশ্বনেতাদের কানে?
গাজায় তখন শেষ রাত। পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় গাজার অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই বোমারু বিমানের শব্দ। মুহুর্মুহু বোমার বিস্ফোরণ। খাবার ফেলেই তাদের পালাতে হলো। চোখের সামনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল তাদের ঘরবাড়ি। যুদ্ধবিরতি চলছে। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি অতর্কিতে এমন ভয়ংকর হামলা নেমে আসবে। চোখের সামনেই মারা গেল অনেক প্রিয়জন। ছোট্ট শিশুরা পিতা-মাতাকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে একা একা রাস্তায় দৌড়াতে লাগল। একটু পর ভেসে এলো ফজরের আজান। মোয়াজ্জিনের কণ্ঠও কান্নাভেজা।
ট্রাম্পের যুগে আমেরিকার গণতন্ত্রের আড়ালে অমাবস্যার হাতছানি
আর দরিদ্র মানুষের জন্য আইনের শাসন কেবল কাগজে-কলমেই আছে; কারণ তারা পর্যাপ্ত পয়সা খরচ করে ভালো আইনজীবী নিতে পারে না। তবুও আমেরিকার গণতন্ত্র অনেক দিন ধরে এমনভাবে টিকে আছে যেন এটি এক ধরনের বিশ্বাসের অংশ। খ্রিষ্টধর্মের অনেক ধারণা আমেরিকার রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। যেমন, আমেরিকা মনে করে তাদের মূল্যবোধ সব মানুষের জন্য এবং তারা সেসব মূল্যবোধ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সও একই কাজ করেছে, কারণ ফ্রান্স ও আমেরিকার গণতন্ত্র দুই বিপ্লব থেকে এসেছে। আর এই বিপ্লব আলোকিত যুগের ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি বন্ধ করুন
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাই জাতিসংঘ সনদের মূল লক্ষ্য। জাতিসংঘের সনদ মূলত একটি সংবিধান, আর সংবিধান মানেই এক প্রকার আইন। এই সনদের ২ ধারা অনুযায়ী সব সদস্যরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও সমতা রক্ষাই জাতিসংঘের ভিত্তি; কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য (ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন) দেশগুলোই বারবার এই আইনের লঙ্ঘন করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে আছে সবসময়ই। চীন, রাশিয়া কম যায়নি। সম্প্রতি ভারতও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেই তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এ যেন ‘জোর যার মুল্লুক তার’ গ্রাম্যনীতি। তাহলে আর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অর্থ কী? যে রক্তপাত ও মানবিক বিপর্যয়ের ওপর দাঁড়িয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা কি ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ভুলে গেছে?
বাংলাদেশের অভিবাসী বিষয়ে ট্রাম্পের নীতিনির্ধারণী কী হবে?
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি খড়গহস্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ২০ জানুয়ারি অভিষিক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘এই মুহূর্তে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হলো’ বলে ভাষণ শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের ঈর্ষার কারণ হব। কাউকে আমাদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা আদায়ের সুযোগ দেব না। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান নীতিই হবে “আগে আমেরিকা”। আমাদের সার্বভৌমত্ব আর নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিচারের দাড়িপাল্লায় পুনঃভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আমেরিকা আগের চেয়ে বহুগুণ মহান ও ব্যতিক্রম হবে। আমরা এক নতুন যুগে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে আছি। আমেরিকার পতন আজ থেকে শেষ হয়ে গেল। ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য।’
জাস্টিন ট্রুডো কি পারবে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটা উজ্জ্বল ছিল। তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় থেকেই তিনি চ্যালেঞ্জ এবং বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন, তবে ট্রুডো সম্প্রতি কানাডা রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক কনভেনশন গণহত্যা বিষয়ে নিশ্চুপ কেন?
মানুষে মানুষে সংঘাতের ক্ষেত্রে নিয়ম নির্ধারণের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে; কিন্তু আধুনিক যুগের আগে, বিশ্বের কোনো শক্তিরই সব দেশের ওপর কোনো উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ ছিল না কিংবা মিত্র দেশগুলোর জোট ছিল না-যাদের ওপর এই কাঙ্ক্ষিত নিয়মগুলো প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের মধ্য কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন পালন করা বাধ্যতামূলক করা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলো মূলত এই সিদ্ধান্তে আসে যে, ওই চুক্তিগুলো আমলে নিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক আইন পালনে বাধ্যবাধকতা আরোপের ক্ষমতা রয়েছে। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপের এই দেশগুলো সামুদ্রিক নিয়মনীতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যা ছিল যুদ্ধের আইনের প্রথম ভিত্তি। এই আইনগুলো বিংশ শতকে ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে এবং এর মধ্যে কিছু আইন আজ অবধি বলবৎ রয়েছে। দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে, মানবিক বিপর্যয় এবং গণহত্যা নির্মূলের ক্ষেত্রে এই আইনের মানবতার দিকগুলো আরও বেশি নজর কাড়ে।
রাফার আরও কিছু অংশ খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফার আরও কিছু অংশ খালি করে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার ওই নির্দেশ দিয়ে তারা ফিলিস্তিনিদের আল-মাওয়াসির বর্ধিত মানবিক এলাকায় চলে যেতে বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলে ইসরায়েল একাই লড়বে: নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারির জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'তাঁর দেশ একা লড়তে পারে।'
রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে : বাইডেন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে কামানের গোলা ও অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে তিনি গাজায় মার্কিন বোমা ফেলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রাফাহ ক্রসিং দখল করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ও মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফাহ-এর ফিলিস্তিনি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থারগুলো একাধিক প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।