গাজা
আন্তর্জাতিক কনভেনশন গণহত্যা বিষয়ে নিশ্চুপ কেন?
মানুষে মানুষে সংঘাতের ক্ষেত্রে নিয়ম নির্ধারণের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে; কিন্তু আধুনিক যুগের আগে, বিশ্বের কোনো শক্তিরই সব দেশের ওপর কোনো উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ ছিল না কিংবা মিত্র দেশগুলোর জোট ছিল না-যাদের ওপর এই কাঙ্ক্ষিত নিয়মগুলো প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের মধ্য কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন পালন করা বাধ্যতামূলক করা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলো মূলত এই সিদ্ধান্তে আসে যে, ওই চুক্তিগুলো আমলে নিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক আইন পালনে বাধ্যবাধকতা আরোপের ক্ষমতা রয়েছে। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপের এই দেশগুলো সামুদ্রিক নিয়মনীতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যা ছিল যুদ্ধের আইনের প্রথম ভিত্তি। এই আইনগুলো বিংশ শতকে ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে এবং এর মধ্যে কিছু আইন আজ অবধি বলবৎ রয়েছে। দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে, মানবিক বিপর্যয় এবং গণহত্যা নির্মূলের ক্ষেত্রে এই আইনের মানবতার দিকগুলো আরও বেশি নজর কাড়ে।
রাফার আরও কিছু অংশ খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফার আরও কিছু অংশ খালি করে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার ওই নির্দেশ দিয়ে তারা ফিলিস্তিনিদের আল-মাওয়াসির বর্ধিত মানবিক এলাকায় চলে যেতে বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলে ইসরায়েল একাই লড়বে: নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারির জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'তাঁর দেশ একা লড়তে পারে।'
রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে : বাইডেন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে কামানের গোলা ও অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে তিনি গাজায় মার্কিন বোমা ফেলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রাফাহ ক্রসিং দখল করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা ও মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফাহ-এর ফিলিস্তিনি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থারগুলো একাধিক প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরঙ্কুশ মদদেই কি ইসরায়েল দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে
ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি হত্যার সাম্প্রতিক এ ঘটনার দায় শুধু হামাস ও নেতানিয়াহু সরকারের নয়, রক্তের দাগ পশ্চিমাদের হাতেও লেগে রয়েছে। তবে এটি সত্যি যে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার সন্নিকটে ইসরায়েলি বসতিতে হামলা চালিয়েছেন; কিন্তু এ হামলা নির্দিষ্ট কোনো জায়গা থেকে শুরু হয়নি, কিংবা আগে থেকে সতর্কতাও ছিল না। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা কোনো প্ররোচনা দেয়নি; কিন্তু সেটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য তা কেউই বলতে পারে না। পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারগুলো ভালো করেই জানে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রকৃতপক্ষে কতটা প্ররোচিত করা হয়েছে। কেননা এসব সরকার দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে আসছে, তাতে সমর্থন দিয়ে আসছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
গাজায় হামলার জেরে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজা উপত্যকায় যতক্ষণ না ইসরায়েল গাজায় নিরবিচ্ছিন্ন ত্রাণ ও সহায়তার অনুমতি দিচ্ছে ততক্ষণ তারা তেল আবিবের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখবে।
ইসরায়েলের রাফাতে স্থল অভিযান হবে ‘নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়’: জাতিসংঘ
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেছেন, “বাস্তব সত্য হল, রাফাতে স্থল অভিযান চালানো হলে সেখানে ‘নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়’ থেকে কম কিছু হবে না। তখন কোনও মানবিক পরিকল্পনাই এটিকে প্রতিহত করতে পারবে না।”
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়: বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, গ্রেপ্তার অনেক
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, দুই ঘণ্টারও কম সময়ের অভিযানে হ্যামিল্টন হল থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় কেউ আহত হয়নি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসছে হামাস- ফাতাহ
ফিলিস্তিনের দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের প্রতিনিধিরা খুব শিগগিরই বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসতে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হামাস ও ফাতাহর নেতৃবৃন্দ এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।