হিন্দু ধর্মাবলম্বী
নববর্ষ উৎসব বাঙালির সরলরেখার ঐকতান
নববর্ষের শুরুতে সবাই কেবল মঙ্গল শুভেচ্ছাই প্রকাশ করে। আমি কিন্তু শুভেচ্ছার পাশাপাশি ঘৃণার কথা বলি। ঘৃণা, ঘৃণা, ঘৃণা! রুদ্র, প্রচণ্ড, প্রকট, প্রচুর, পবিত্র ঘৃণা! হ্যাঁ, বর্ষ শুরুতে অন্যের মতো আমিও শুভেচ্ছা জানাই বটে। তবে পাত্র-অপাত্র-নির্বিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে রাজি নই। বন্ধুর জন্য আমি শুভেচ্ছার ডালি উজাড় করে দিই; কিন্তু শত্রুর জন্য শুভেচ্ছা নয়, তাকে কেবলই ঘৃণা। ঘৃণা জানাই তাদের যারা নববর্ষের মতো ধর্মনিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক উৎসবকে বিভিন্ন রং মাখিয়ে বিতর্ক তৈরি করে নিজেদের সুবিধা হাসিল করে। তাই নববর্ষের দিনেও এদের যদি আমরা ক্ষমা করে দিই, তবে সে ক্ষমাকে তারা আমাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ বলেই ধরে নেবে এবং শত্রুতা সাধনে আরও প্রচণ্ড হিংস্র হয়ে উঠবে।
‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’ গ্রাফিতি ঘিরে কেন এত অরাজকতা?
মাঝে মাঝে মনে হয় দেশটি যেন মগের মল্লুক হয়ে গেছে। কখন যে কে কেন কী করে কিছুই বুঝে আসে না। যেন যা খুশি তাই করার দেশ। যে পাতায় লেখা হয়েছে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যর বাণী, সে পাতা নিয়েই হট্টগোল, মারামারিতে ৩৩ জন আহত। এ রকম ঘটনা সম্ভবত বাংলাদেশেই সম্ভব। কারণ এ জাতি আজ কাণ্ডজ্ঞান হারিয়েছে, যৌক্তিক বুদ্ধি বিচার হারিয়েছে। বিশেষ করে কিছু বিশেষ মহল সারাক্ষণই ঘোলা পানিতে রাঘব বোয়াল শিকারের পাঁয়তারা করে। এ ছাড়া এ ঘটনাকে আর কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না।