ইমতিয়াজ আহমেদ
মিয়ানমার ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতার দিকে যাচ্ছে। পশ্চিমা কাঠামোর আলোকে যে ধরনের রাষ্ট্রকে আমরা আধুনিক রাষ্ট্র বলে থাকি, মিয়ানমার সেই অর্থে আধুনিক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। মিয়ানমার অনেকটাই ফ্লুইড রাষ্ট্র। মিয়ানমার এমন একটি দেশ যেখানে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট এবং সংঘাত সব সময়ই ছিল। কখনো বেশি কখনো হয়তো কিছুটা কম; কিন্তু রাষ্ট্রটি সব সময়ই নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে গেছে। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যে-কাঠামোতে গড়ে ওঠে মিয়ানমার সেভাবে গড়ে উঠতে পারেনি। মিয়ানমারের জনগণ দেশটিকে একক জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। সেখানে কারেন, কুকি, চীন, ওয়াহ ইত্যাদি জনগোষ্ঠী সব সময়ই আন্তঃকলহে লিপ্ত রয়েছে। একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, সংঘাত সৃষ্টিকারী এসব গোষ্ঠী কিন্তু কখনোই তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চায়নি। তারা বরং স্বায়ত্তশাসন বাড়াতে চাচ্ছে। রাষ্ট্রের অন্যতম শক্তি রাজস্ব সংগ্রহ, সেখানেও সংঘাতরত গোষ্ঠীগুলো অংশীদারত্ব দাবি করে আসছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক কালে এ আগ্রহের কথা জানান ইউরোপীয় কমিশনাররা।
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুরু হয়েছে মূলত ১৯৭১ সালে, যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা শুরু করে, ঠিক সেই সময় থেকে। বাংলাদেশে গণহত্যা শুরুর খবর যখন কলকাতায় পৌঁছাল তখন রেডিওতে দেশাত্মবোধক গান হচ্ছিল। সেই সময় কলকাতা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার খবর প্রচার করে। বাংলাদেশে সংঘটিত এই গণহত্যার সংবাদ প্রচারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন যাত্রা শুরু হয়। এমনিতে তো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে হাজার বছরের সম্পর্ক রয়েছে সেটা ভিন্ন কথা; কিন্তু নব পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সৃষ্টি হয় তার সূচনা ১৯৭১ সালে।