মূল্যস্ফীতি
টিউলিপের পদত্যাগ: ব্রিটিশদের কাছে তুচ্ছ হলেও বাংলাদেশিদের কাছে মুখ্য কেন?
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের নাম এসেছে। তার পরিবার এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর তাই ব্রিটেনের ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশে দুর্নীতির একটি মামলায় তার মা, ভাই বোন ও খালার পাশাপাশি তাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে আকস্মিক শুল্ক-কর বাড়ানো কেন?
গত দুই বছর ধরে লাগামহীন উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশের জনগণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গেল বছর গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে এলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের উপরেই। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে।
জরিপের ওপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যান প্রকাশ যে কারণে পূর্ণাঙ্গ নয়
জরিপের ওপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যান প্রকাশ যে কারণে পূর্ণাঙ্গ নয়
মূল্যস্ফীতি দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে উসকে দেয়
অর্থনীতিতে লুণ্ঠন পরিস্থিতির পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা কঠিন কিন্তু চাঁদাবাজির সমঝোতা সহজ।
নীতি সুদহার বৃদ্ধির উদ্যোগ থেকে সরে এলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার বৃদ্ধির উদ্যোগ থেকে সরে এলো বাংলাদেশ ব্যাংক
টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক রক্ষার পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিবে
টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক রক্ষার পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিবে
উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না
উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয় কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের বিলুপ্তি ঘটে না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো আড়াই মাস গত হয়নি। কাজেই এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং রাজনীতেতে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কার্যকর করারোপ একান্ত জরুরি
ধূমপান বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে মারা যায়। তামাকের ব্যবহার সব বয়সের এবং স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করে। তবে, নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যয়ের এক-পঞ্চমাংশই তামাক জাতীয় পণ্য ক্রয়ে ব্যয়িত হয়ে থাকে। এর বাইরেও তামাক ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসায় প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। সিগারেট থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়, সে তুলনায় আমাদের ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণ বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে তামাকজাত পণ্য বিক্রির ওপর শুল্ক থেকে ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়; কিন্তু একই বছর তামাকজনিত রোগের কারণে চিকিৎসা খরচ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা ছিল।
বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান
২০৪০ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে দেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। মূল্যস্ফীতি এবং আয়ের প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ, ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।