কমলা হ্যারিস
বর্ণ ও লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে কমলা হ্যারিসের নিরন্তর লড়াই
২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট টাইম পত্রিকায় প্রকাশিত 'হাউ উইমেন লাইক কমলা হ্যারিস সেভড অ্যান্ড শেপড আমেরিকা' শিরোনামের একটি নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘প্রাপ্য স্বীকৃতি অর্জনের জন্য নারীদের সংগ্রাম সর্বজনবিদিত। এই স্বীকৃতির অভাব শুধু ন্যায্যতার বিষয় নয়, সামাজিকভাবেও তাদের অর্জন ততটা স্বীকৃতি পায় না। তাদের শ্রমমূল্য সর্বদাই কম, পুরুষের সঙ্গে নারীর বেতন-কাঠামো ব্যবধান সব দেশেই হয়। নেতৃত্বের অবস্থানে আসা তাদের জন্য আরও কঠিন। সব সময়ই তারা এক সামাজিক পক্ষপাতের শিকার। অবদানের স্বীকৃতি না পাওয়া নারীর সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করে।’ নিবন্ধটিতে আরও লেখা হয়েছে, রিপাবলিকানরা কমলা হ্যারিসকে ‘ডিইআই প্রার্থী’ বলে গাল দিয়েছেন। আক্রমণের পুরোনো অভ্যাসের এ এক নতুন পদ্ধতি।
বিজয়মাল্য কে পরতে যাচ্ছেন ট্রাম্প নাকি কমলা
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনি প্রচারে নেমে প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি প্রাক্তন প্রসিকিউটর এবং দোষীসাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার লড়াই হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে। তারপর এটাই ছিল হ্যারিসের প্রথম প্রচার সমাবেশ। যদিও বিশ্বজুড়ে এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে গণতন্ত্র। চরম এক অস্থিরতায় ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষ। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেবল দেশটির নাগরিকদের কাছেই নয়, বিশ্বের অন্য দেশগুলোর কাছেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের নতুন সমীকরণ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর ঘটনা বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলার সময় এসেছে। ট্রাম্পের সমাবেশে যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছেন, তার রাজনৈতিক বিশ্বাসই বা কী, এটা এখনো পরিষ্কার নয়। সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, ট্রাম্প নিরাপদ; কিন্তু তার সমাবেশে আসা অন্তত একজন এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন; কিন্তু এ ঘটনা নিশ্চিত করেই ইঙ্গিত দিচ্ছে, নির্বাচনি বছরে অঘটনের মাত্রা বাড়বে। বিশেষ করে, যখন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অব্যাহত হুমকি ও সহিংসতার ভয় পাচ্ছেন। গত জুনের শেষ দিকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে বেরিয়ে এসেছে, ট্রাম্পের পক্ষে সহিংসতায় সমর্থনের চেয়ে তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় সমর্থন বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের মধ্যে ১০ শতাংশ বা ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ট্রাম্পের বিপক্ষে সহিংসতায় সমর্থন জানিয়েছেন।
কমলা হ্যারিস উগ্র বামপন্থী পাগল: ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পুনরায় নির্বাচন না করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর হ্যারিসকে (৫৯) সমর্থন দিয়ে প্রচারাভিযানে নামার পর ট্রাম্প এই ধরনের মন্তব্য করেন।