কামরুল আহসান
আমাদের চিন্তাচর্চা ও বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডাগুলো কেন হারিয়ে যাচ্ছে?
এক সময় আমাদের আড্ডা হতো হাটে-মাঠে-ঘাটে। টিনের চালে বসে পায়রার ঝাঁক যেমন সারা দুপুর বাকবাকুম গান শুনাতো, তেমন করে কাজের অবসরে মানুষরা মেতে উঠতেন গালগল্পে। আড্ডায় বসলে আমাদের মন উড়তে থাকত হাওয়ায় হাওয়ায়। বুদ্ধদেব বসু তার বিখ্যাত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধে বলেছিলেন, ‘আড্ডার ঠিক প্রতিশব্দটি পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষাতেই আছে কি? ভাষাবিদ না-হয়েও বলতে পারি, নেই; কারণ আড্ডার মেজাজ নেই অন্য কোনো দেশে, কিংবা মেজাজ থাকলেও যথোচিত পরিবেশ নেই। অন্যান্য দেশের লোক বক্তৃতা দেয়, রসিকতা করে, তর্ক চালায়, ফুর্তি করে রাত কাটিয়ে দেয়; কিন্তু আড্ডা দেয় না।’
একুশের বইমেলার পাঁচটি মননশীল বই
একুশে বইমেলা দুই সপ্তাহ পার করেছে। এর মধ্যেই মেলায় এসে পৌঁছেছে গুরুত্বপূর্ণ সব বই। শত শত বইয়ের ভিড়ের মধ্যেও ভালো বইগুলো পাঠক আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারছেন। বইমেলায় সাধারণত গল্প-কবিতা-উপন্যাসই জনপ্রিয় হয় বেশি। তারপরও সমৃদ্ধ পাঠক খুঁজে নেন মননশীল সব বই। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে বাংলাদেশে বর্তমানে মননশীল, চিন্তাশীল বা প্রবন্ধ গ্রন্থের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মেলা ঘুরে ভিউজ বাংলাদেশের প্রতিনিধি বাছাই করেছেন এবার প্রকাশিত পাঁচটি সেরা মননশীল বই, যেগুলোর দিকে পাঠক আলাদা করে চোখ রাখছেন। সেই মননশীল পাঁচটি বই নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আয়োজন।
লিটল ম্যাগ চত্বর- কেন এত অবহেলার শিকার?
লিটল ম্যাগ চত্বর দেখে এবার অনেকেই বলছেন, এটি একটি গোয়ালঘর। সারি সারি দোকান। হাঁটাচলার জায়গা নেই। পর্যাপ্ত আলো নেই। বসার মতো যথেষ্ট চেয়ার নেই। পাশেই ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ। সেখান থেকে ভেসে আসছে অহর্নিশ শব্দ। লিটলম্যাগ চত্বর একপাশে পড়ে যাওয়ায় পাঠকও বেশি আসছেন না এদিকে। এ নিয়ে মেলার শুরু থেকেই লিটল ম্যাগ সম্পাদক-কর্মীদের সঙ্গে মেলার আয়োজক-কর্তৃপক্ষের চলছে বাগবিতণ্ডা। লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকরা এ মেলা বর্জনও করতে চেয়েছিলেন। দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা শেষে একটা সুরাহা হয়েছে। তবুও যে লিটল ম্যাগ চত্বরে আলো খুব পড়েছে বলা যাবে না।