মুক্তি যুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হয়ে থাকুক ‘বিজয় ফুল’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি নিজেদের গৌরবগাথা স্মরণ করে কাগজ বা কাপড়ের তৈরি লাল পপি দিয়ে। মূলত কানাডার এক চিকিৎসকের হাত ধরে লাল পপির স্মারক সূচিত হয়। চিকিৎসক লে. কর্নেল জন মাক্রে একটি কবিতা লিখেছিলেন-‘ইন ফ্লানডারস ফিল্ড’। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধক্ষেত্র ছিল ফ্লানডারস ফিল্ড।
বিহারি ক্যাম্প অশান্ত হওয়ার নেপথ্যে
হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পায় আটকেপড়া পাকিস্তানিরা। তবে রায়ে বলা হয়, ওই রায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রাপ্তবয়স্ক শরণার্থীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই রায়ের মধ্য দিয়ে আটকেপড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের বাংলাদেশে নাগরিকত্ব অধিকার নিশ্চিত হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় একাত্ম হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণে কয়েকটি প্রশ্ন
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা হচ্ছে, যা কাম্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অনেকে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু পরস্পর সম্পর্কিত, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছরের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে মুক্তিযুদ্ধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছেন, যা দেশের জন্য অপ্রত্যাশিত।
নভেম্বর ১৯৭৫: ধোঁয়াশাপূর্ণ অধ্যায়ের ইতিবৃত্ত ও খালেদ মোশাররফের প্রচেষ্টা
১৯৭৫ সালের নভেম্বরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে ২০২৪ সালের পালাবদলের একটি মিল রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো সরকার ছিল না। ২০২৪ সালেও শেখ হাসিনার পতনের পরও কয়েক দিন সরকারশূন্য ছিল। যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন ১৯৭৫ সালের নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক আবছা, রক্তাক্ত অধ্যায়। ইতিহাসের এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি আর দোষারোপের শেষ নেই। প্রায় ৫০ বছর পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো করে দিনটিকে পালন বা উদযাপন করে আসছে। কেউ করে অসমাপ্ত বিপ্লবের আক্ষেপ, কারও কাছে দিনটি বিপ্লব ও সংহতির আবার কারও কাছে দিনটি মুক্তিযোদ্ধা হত্যার শোকাবহ দিন। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায় ও রাজনৈতিক পরিসরে দিনটি ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে পালিত হয়েছে। এ সময় গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রযন্ত্রে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের শক্তিশালী বয়ান প্রতিষ্ঠিত ছিল। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ২০২৪ সালে ভিন্ন আঙ্গিকে দিনটি পালিত বা উদযাপিত হবে। সামনে আসবে নতুন আলোচনা নতুন তথ্য, নতুন সমীকরণ, নতুন ব্যাখ্যা। সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে আসুন একটু নির্মোহভাবে জানার চেষ্টা করি ঠিক কী ঘটেছিল ওই কয়েকদিন।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেন আর নেই
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দীন হোসেন আর নেই। যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২০ মে) বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সংস্কৃতিতে আরও বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
আগামী দিনে সংস্কৃতিতে আরও বেশি প্রচেষ্টা, সময়, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনে অবহেলা কেন?
প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল এলেই আমাদের মনে পড়ে মুজিবনগর সরকারের কথা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল। পরে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে জায়গাটির নামকরণ করা হয়- মুজিবনগর। স্মৃতিবিজরিত এই স্থানটিতে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের প্রস্তাব করেছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে এই প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির কোনো কাজই শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তার মানে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের মেয়াদকাল শেষ হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। প্রস্তাবিত ও খসড়া অবস্থাতেই প্রকল্পটি তার বাস্তবায়নের মেয়াদকাল প্রায়ই শেষ করে ফেলেছে।
ইন্দিরা-তাজউদ্দীন বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের মহাপরিকল্পনা
ঢাকায় ভয়াবহ গণহত্যা শুরুর পর দীর্ঘ, দুর্গম এক পথ পাড়ি দিয়ে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছান তাজউদ্দীন আহমদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তখনকার আওয়ামী নেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। সন্ধ্যার পর ভারতীয় সীমান্তের অংশে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বিএসএফের আঞ্চলিক প্রধান, ডিআইজি গোলক মজুমদারের। প্রাথমিক আলোচনার পর গোলক মজুমদারের সঙ্গে তারা কলকাতায় যান। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় বিএসএফের প্রধান কে এফ রুস্তমজীর (খুসরো ফারামুর্জ রুস্তমজী)।
বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।