মাহবুব সরকার
ক্রীড়াঙ্গনে বাড়ছে কাদা ছোড়াছুড়ি
কাবাডি খেলার গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হচ্ছে রেইডারকে টেনে ধরা। দেশের নানা সেক্টরে কাবাডির এ কৌশলের মতো পেছন থেকে টেনে ধরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ কারণেই কি কাবাডিকে জাতীয় খেলার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে? প্রশ্নটা হাস্যকর বটে; কিন্তু অবান্তর নয়। এ কথায় যদি আপনার আপত্তি থাকে ক্রীড়াঙ্গনের একটু গভীরে প্রবেশ করে দেখুন। পেছন থেকে টেনে ধরার চিত্রটা পরিষ্কার হবে। পরিষ্কার হচ্ছে ৯ জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি গঠনের পর থেকে।
ক্রীড়াঙ্গনে ‘ঐতিহ্যের কঙ্কাল’ পুরান ঢাকা
শিশুর মানসিক বিকাশের অন্যতম অনুষঙ্গ খেলাধুলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রতি ব্যক্তির জন্য ন্যূনতম ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা প্রয়োজন। সেটা হতে পারে পার্ক, কিংবা মাঠ। সে হিসাবে ১ হাজার মানুষের জন্য সোয়া ২ একর খোলা জমি প্রয়োজন। রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের সমানুপাতিক হারের খোলা জমি তো কল্পনাই করা যায় না। ঢাকায় যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করে, তার মাত্র ১৬ শতাংশ খেলাধুলার ন্যূনতম পরিষেবা পাচ্ছে! ‘দেশের নগর এলাকার খেলার মাঠের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা; চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’- শীর্ষক মতবিনিময় সভার বক্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দাবায় খেতাব বাড়ছে, মান নয়
দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক নেতাদের মনোরঞ্জন করা। নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) জবাবদিহিতার প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে ফেডারেশনগুলোর নীতিনির্ধারকরা সাফল্যের শর্টকাট খোঁজেন। শর্টকাটের ভুল পথে হাঁটতে গিয়েই ক্রীড়া উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রধান কাজটা হয়ে যাচ্ছে অপশনাল! দেশের অর্ধশতাধিক ক্রীড়া ফেডারেশনের অধিকাংশই চলছে এভাবে। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনও। রাজনৈতিক প্রভাবে ফেডারেশনের মসনদে আরোহণের বিষয়ও দেখা যাচ্ছে, যা খেলাটিকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দাবার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।