মো. সাখাওয়াত হোসেন
বাংলাদেশ কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না
সন্ত্রাসবাদ একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক প্রপঞ্চ। ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী দাভিদ এমিল দ্যুর্কেম বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ একটি সামাজিক ইস্যু এবং এটি সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার মানে হচ্ছে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সন্ত্রাসবাদের কার্যক্রম প্রবেশ করেছে। সন্ত্রাসবাদ অন্যান্য সচরাচর অপরাধ থেকে ব্যতিক্রম, কেননা এর কার্যক্রম সাধারণত বেসামরিক জনগণকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও সন্ত্রাসবাদের ঘটনাগুলোর অধিকাংশ বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে। বেসামরিক জনগণকে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল দেখানোর স্বার্থেই, আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের মনোবলে ঘাটতি আনার লক্ষ্যেই মূলত সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসীদের যে আনাগোনা দেখা যায়, তার পেছনে রাজনৈতিক শক্তির যোগসাজশ রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতসংখ্যক সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, রাজনৈতিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে থাকে।