জাতীয় নির্বাচন
ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার একটি কঠিন সময়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তবে তাদের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র-জনতা ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এই সরকারের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা অনেক উচ্চ ছিল, যা পূরণ করা স্বভাবতই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনে কিছুটা অদক্ষতা ও দুর্বলতা দেখা গেলেও, মূলত আগের সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোকে পঙ্গু করে রেখে যাওয়ার প্রবণতার কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সক্ষম হতে পারেনি।
ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি ট্রাম্প জিতে যায়, তাহলে কী হবে? নিশ্চিতভাবে ট্রাম্প তার পুরোনো নীতিতে ফিরে যাবেন। আসলে নিজের প্রথম মেয়াদের ৪ বছরে ট্রাম্প যুদ্ধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্থিতিশীলতা এবং আস্থার সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার নতুন কূটনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ট্রাম্পের নীতি তার পূর্বসূরি রিপাবলিকানদের থেকেও পৃথক ছিল। এ কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই ট্রাম্পকে ‘রিপাবিলিক্যান প্রেসিডেন্ট’ না বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অতএব, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বাইডেন নীতির বিপরীতেই অবস্থান নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
ঋষি সুনাক কি পারবে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ব্রিটেনের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। নানা জল্পনা-কল্পনার পর মে মাসের ২২ তারিখ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচনের এই ঘোষণা দেয়া হয়; কিন্তু হঠাৎ কেন আগাম নির্বাচন চাইছেন ঋষি সুনাক? তবে অনেকের মনে আশা ছিল, জাতীয় নির্বাচন সময় মেনে আগামী শরৎকালে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনাক দুই বছর তার দপ্তরে থাকতে পারবেন। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক অগ্রগতির বড় সুযোগ পাবেন সুনাক; কিন্তু সেই প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেল। তবে এটা স্পষ্ট যে সিদ্ধান্তটা অনেকটা যেন ছুরির ফলার ওপর ঝুলেছিল।