নেপাল
একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, প্লিজ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভাঙচুরের ঘটনা অনেক পুরোনো। সেই নব্বইয়ের দশক থেকেই আমরা দেখছি, কোনো আন্দোলন, দাবি-দাওয়া, হরতাল-অবরোধ, ধর্মঘট সবকিছুতেই যানবাহন, স্থাপনা ভাঙচুর ঘটেছে বার বার। গত তিন দশকে বিভিন্ন সময়ে যাত্রবাহী চলন্ত বাস-ট্রেনে আগুনও দেখেছি আমরা। অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। ভাঙচুরমুক্ত একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা গড়তে পারিনি।
দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা
বিশ্বকাপে নাম লেখানো যে কোনো দেশের ফুটবলারদের কাছে স্বপ্নের বিষয়। স্বপ্ন দেখছিলেন জাম্বিয়ান ফুটবলাররাও। ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দেশটি অসাধারণ ফুটবল খেলছিল। ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দল বিশেষ বিমানে সেনেগাল যাচ্ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব যাত্রীর সলিলসমাধি ঘটে, হাওয়ায় মিলিয়ে যায় প্রতিভায় ঠাসা একটি ফুটবল প্রজন্ম। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে ইতালিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করা জাম্বিয়া কিন্তু এখনো বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাদ নিতে পারেনি।
নারী ফুটবলারদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিন
টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মুকুট জয় করেছে আমাদের নারী ফুটবল দল। ছাদখোলা বাসে চড়ে বিমানবন্দর থেকে যখন তারা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মতিঝিল বাফুফের অফিস পর্যন্ত যায়, তখন সারা শহরের মানুষ তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্রীড়ায় এত বড় সাফল্য আর বাংলাদেশের জন্য আসেনি। এর আগে ২০২২ সালে প্রথমবার সাফ জেতে বাংলাদেশ। সেবারও একইভাবে ছাদখোলা বাসে চড়েন মেয়েরা।
নারী দল দেশের ফুটবলে বৈষম্যের শিকার হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা
ফাইনালে বাংলাদেশের পক্ষে গোল করেছেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ন চাকমা। আর বিজেতা দলের তামিশা। খেলার ফাস্ট হাফ গোল শূন্য ছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের একজন খেলার হাফ টাইমের সময় জানালেন, ‘খেলোয়াড়রা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের উন্মাদনার মধ্যেও স্নায়ুর চাপ সামাল দিয়ে খেলায় মনোসংযোগ ধরে রেখেছে, সমানতালে ৯০ মিনিট খেলতে পারলে হাসিমুখে মাঠ ছাড়বে এটি আশা করছি।’ শেষ পর্যন্ত নারী ফুটবলাররা আমাদের প্রত্যাশাকে সম্মান করেছেন।
পুরুষ ফুটবল হতাশ করলেও নারীদের বিজয় ক্রমাগত
এ যেন বিয়েবাড়ি- মহা ধুমধাম, উৎসব-আনন্দ। শেষটা বিষাদের- কন্যা সম্প্রদানের সময়কার বুকফাটা আর্তনাদের! সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা নামার পর চিত্রটা নেপাল এবং বাংলাদেশ দুই শিবিরের সঙ্গেই মিলে গেছে!