খেলাপি ঋণ
ব্যাংকিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই কেন?
দেশের ব্যাংকিং সেক্টর অনেক দিন ধরেই বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বিগত সরকার আমলে এই খাতের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ৮ মাস গত হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয় না। এখনো বেশ কিছু দুর্বল ব্যাংক রয়ে গেছে। কিছু কিছু দুর্বল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় টিকে আছে। কিছু কিছু ব্যাংক মোটামুটি চলছে। তবে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা ভালো বলা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রসঙ্গক্রমে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাংক আছে যেগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে।
বাস্তবতার ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে
সরকারি সমর্থনপুষ্ট এই পরিবারটি দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য অভিশাপ হিসেবে কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত উদ্ধারের জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো কোনো ব্যাংকেও সমস্যা রয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যাতে ব্যাংকিং খাতে কোনো রকম প্রভাব ফেলতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। গভর্নর অবশ্য এটা সুস্পষ্টভাবে বলেননি যেসব ব্যাংক বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না তাদের পরিণতি কী হবে বা তাদের কীভাবে ব্যাংকিং খাত থেকে বিদায় করা হবে। তবে গভর্নরের বক্তব্যে এটা সুস্পষ্ট যে, দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
দুর্বল ব্যাংককে টাকা ধার দিয়ে কি গ্রাহকের আস্থা ফেরত আনা সম্ভব?
দুর্বল ব্যাংককে টাকা ধার দিয়ে কি গ্রাহকের আস্থা ফেরত আনা সম্ভব?
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক কালে এ আগ্রহের কথা জানান ইউরোপীয় কমিশনাররা।
খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতে কতটা প্রভাব বিস্তার করে
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ বহুল আলোচিত একটি প্রসঙ্গ। খেলাপি ঋণ শুধু ব্যাংকিং খাতের জন্যই সমস্যা সৃষ্টি করছে তা নয়, এটি আসলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্যই একটি জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেনের ৮৬ শতাংশই ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কাজেই ব্যাংকিং খাত যদি কোনো সমস্যায় পড়ে, তাহলে এই সমস্যা পুরো অর্থনীতির ওপরই সঞ্চারিত হয়। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ যদি বর্তমান অবস্থায় পৌঁছাতো, তাহলে ব্যাংকগুলো আরও দক্ষতার সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারতো। এই খেলাপি ঋণ দিয়ে (১ লাখ ৫৬ হাজার ০৩৯ কোটি টাকা) যেসব মেগা প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করছি, তার অনেকই সম্পন্ন করা যেত।