Views Bangladesh Logo

পাকিস্তান

পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো
পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো

দেশ ও রাজনীতি

পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো

বিলোনিয়ার প্রথম যুদ্ধের পর ২১ জুন, ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী প্রচণ্ড গোলাগুলি, সন্ত্রাস, অবিশ্বাস্য রকমের ধ্বংসযজ্ঞ ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিলোনিয়ার ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত এসে অবস্থান গ্রহণ করে। তার আগেই অবশ্য সমগ্র এলাকার জনগণ জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচানোর স্বাভাবিক তাগিদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে, বিশেষত বিলোনিয়া শহরে এসে আশ্রয় নেয়। বিলোনিয়া শহর তখন পূর্ব বাংলার মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ জনগণ দ্বারা প্লাবিত। ভারতীয় জনগণ হাসিমুখে তাদের বরণ করে নেন এবং আশ্রয় দেন। পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগদানের উদ্দেশ্যে আমি আগেই বিলোনিয়া এসে পৌঁছেছিলাম। পথে আমার সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু ওয়ালী। বিলোনিয়ায় পরিচয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহাঙ্গীর ও আনসারের সঙ্গে।

বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে
বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে

কূটনীতি

বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। গোষ্ঠীটি বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাই করে। সেখানে জিম্মি প্রায় ৪০০ জন যাত্রীর ৩৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কুয়েটা থেকে পেশাওয়ার যাওয়ার পথে সিবি শহরের কাছে ট্রেনটি হামলার শিকার হয়। এ হামলার দায়ও দাবি করে বিএলএ। একদিনেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতের পর নিরাপত্তা বাহিনী ৩৩ জন হামলাকারীকে হত্যা করে। তবে ২১ জন যাত্রী এবং চারজন আধা-সামরিক সদস্যের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল!
গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল!

দেশ ও রাজনীতি

গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল!

এই ২০২৫-এর মার্চেও দেশে চলছে নারী ও শিশু নির্যাতন। সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে নিষ্ঠুর সব বিবরণ। আহা, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল! কোথায় সরকার? কোথায় আইনের শাসন

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি

দেশ ও রাজনীতি

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনও করেছে। অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অতি সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে অটোমেটিকেলি ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যে সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা হয়, সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিল, তার ওপর একটি রিভিউ পিটিশন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা যাবে না। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান ছিল না, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৯১ সালে তা আবার সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও গণভোটের বিধানের পুনরুজ্জীবন হলো।

ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ কেন করতে হবে!
ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ কেন করতে হবে!

দেশ ও রাজনীতি

ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ কেন করতে হবে!

ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ নিয়ে বলতে হচ্ছে, স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে যে মর্যাদা বাংলার পাওয়ার কথা, তা সে পায়নি। বাংলা যে আজও তার সঠিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারল না, এর পেছনে দেশে একই সঙ্গে তিন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান থাকা, উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার না হওয়া, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া ইত্যাকার নানাবিধ কারণের কথা বলা যাবে। তবে মূল কারণ অন্বেষণের জন্য আমাদের আরেকটু গভীরে তাকাতে হবে।

রাষ্ট্রীয় সব কাজ মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে
রাষ্ট্রীয় সব কাজ মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে

শিল্প ও সংস্কৃতি

রাষ্ট্রীয় সব কাজ মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে

আমি তো মনে করি, শত্রু কখনো কখনো শত্রুতা সাধন করতে গিয়ে মিত্রের কাজ করে বসে। শত্রু যখন শত্রুতা সাধনে বিরত থাকে কিংবা কিছু উদারতা প্রদর্শন করে, তখন বরং নানা রকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, শত্রুর প্রতি মনোভাব অনেক নরম হয়ে আসে। শত্রুর এরকম অবস্থান শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, ক্ষতিকরও। শত্রু বুদ্ধিমান হলেই এমন ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে সুখের কথা এই, বুদ্ধিমান শত্রুরও মাঝে মাঝে বুদ্ধিবিভ্রম ঘটে থাকে। সে রকম বুদ্ধিবিভ্রমের শিকার শত্রুই মিত্রের চেয়েও বড় মিত্র হয়ে যায়। সেভাবেই বাঙালি ও বাঙালিত্বের মহাদুশমন এবং পাকিস্তান-স্রষ্টা একান্ত ধূর্ত ও অতি বুদ্ধিমান দুই ‘কায়েদ’ কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও কায়েদে মিল্লাত লিয়াকত আলী খান বাঙালি জাতির পরম মিত্রতা সাধন করেছিলেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফলদায়ক ফলাফল কাম্য
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফলদায়ক ফলাফল কাম্য

খেলাধুলা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফলদায়ক ফলাফল কাম্য

উপমহাদেশে বৈশ্বয়িক ক্রিকেটের আসরের আলাদা এক ধরনের আবেদন এবং আকর্ষণ আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর মানেই কোটি কোটি মানুষ অনির্ধারিত একটি উৎসবে নিজেদের ভাসিয়ে দেয়া। আর এই আনন্দঘন উৎসব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এমনকি মানুষের এই দিন প্রতিদিনের জীবন প্রবাহ পাল্টে দেয়। যে খেলাটা অনিশ্চয়তার রাজা সেই খেলার প্রতি এত আকর্ষণের কারণ হলো জীবনের সঙ্গে বড্ড মিল। জীবন তো অনিশ্চয়তার জন্য সুন্দর, তেমনি সুন্দর ক্রিকেট।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার স্থির করতে হবে
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার স্থির করতে হবে

দেশ ও রাজনীতি

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার স্থির করতে হবে

লাদেশের জনগণ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার পরও এরা বাংলাদেশের স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্কৃতির কথা ভাবতে পারেন না। তাদের দৃষ্টি অতীতমুখী, বাংলাদেশের লেখক, শিল্পী, রাজনীতিবিদদের অপর একটি অংশে দেখতে পাই ভারতের সংস্কৃতির বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির প্রতি ভীষণ বিরূপ মনোভাব। এরা বাংলাদেশের জনগণের সংস্কৃতির উৎস খুঁজেন মধ্য যুগের মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতিতে বিশেষ করে ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে। এরা বাংলার ইতিহাসে বখতিয়ার খিলজির লক্ষণাবতি ও গৌড় জয়ের আগে যেতে চান না। আরবে ইসলাম প্রচার থেকে আরম্ভ করে বাংলার তুর্কি, পাঠান, মোগল শাসকদের শাসনকাল অতিক্রম করে ওহাবি ও ফরাজি আন্দোলনের ধারা ধরে দ্বিজাতিতত্ত্ব ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে আসেন। তারা জোর দেন দ্বিজাতিতত্ত্বে। এই সেদিন, মনে হয় ২০০৪ সালে, বখতিয়ার খিলজির লক্ষণাবতি জয়ের আটশ বছর পূর্তি উপলক্ষে একদল বুদ্ধিজীবী সতেরটি ঘোড়া নিয়ে পল্টন ময়দানে সমবেত হয়ে অনুষ্ঠান করেছেন এবং প্রচার মাধ্যমে তা বিপুল প্রচার লাভ করেছে। বাংলাদেশের লেখক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ রবীন্দ্রভক্ত এবং অপর একটি অংশ নজরুলভক্ত।

দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা
দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা

খেলাধুলা

দেশের নারী ফুটবলে মেঘের ঘনঘটা

বিশ্বকাপে নাম লেখানো যে কোনো দেশের ফুটবলারদের কাছে স্বপ্নের বিষয়। স্বপ্ন দেখছিলেন জাম্বিয়ান ফুটবলাররাও। ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দেশটি অসাধারণ ফুটবল খেলছিল। ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দল বিশেষ বিমানে সেনেগাল যাচ্ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব যাত্রীর সলিলসমাধি ঘটে, হাওয়ায় মিলিয়ে যায় প্রতিভায় ঠাসা একটি ফুটবল প্রজন্ম। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে ইতালিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করা জাম্বিয়া কিন্তু এখনো বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাদ নিতে পারেনি।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা পেতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা পেতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি

অর্থনীতি

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা পেতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি

আশির দশকে তৎকালীন সামরিক-স্বৈরশাসক জেনারেল এইচ এম এরশাদ অপরিকল্পিত জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ‘এক নম্বর জাতীয় সমস্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য সেই সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেলেও এটা ছিল সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এই মন্তব্য। কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি তা পরিকল্পিতই হোক বা অপরিকল্পিতই হোক কখনো একটি দেশের জন্য এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হতে পারে না। জনসংখ্যা এমনই এক সম্পদ, যার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা জনসংখ্যা ব্যতীত কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। জনসংখ্যাকে পরিকল্পিতভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ এবং উৎপাদনশীল উপকরণে পরিণত করা গেলে তা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হয়। আর জনসংখ্যা যদি অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠে, তাহলে তা একটি দেশের জন্য ‘দায়’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব একান্তভাবেই রাষ্ট্রের। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আরা যদি বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি দিই তাহলে দেখব, আমাদের এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে অমার্জনীয় ব্যর্থতা রয়েছে, যার দায় কোনোভাবেই রাষ্ট্র এড়াতে পারবে না।

ট্রেন্ডিং ভিউজ