Views Bangladesh Logo

পাকিস্তান

রেবতী মোহন বর্মণ: স্কুলজীবন থেকে আজীবনের বিপ্লবী
রেবতী মোহন বর্মণ: স্কুলজীবন থেকে আজীবনের বিপ্লবী

শিল্প ও সংস্কৃতি

রেবতী মোহন বর্মণ: স্কুলজীবন থেকে আজীবনের বিপ্লবী

রেবতী মোহন বর্মণ নামটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে একটি অমর বইয়ের কথা মনে পড়বে আমাদের, বইটির নাম ‘সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ।’ বইটির লেখক কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নির্মাতা, আজন্ম বিপ্লবী ও সমাজ সংস্কারক। বইটি আর লেখকের নামটি যেন অবিচ্ছেদ্য। যে বইটি ১৯৫২ সাল থেকে এ উপমহাদেশের বামপন্থি রাজনীতিবিদ ও কর্মীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয়। ব্রিটিশ-ভারতের জেলে থাকাকালীন ব্রিটিশ সরকার রেবতী বর্মণের ওপর অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করে। যে কারণে তিনি ঘাতক ব্যাধি কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন। ১৯৪৯ সালে নিজ জন্মভূমি ভৈরবে বসে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত, পচন ধরা আঙুলে রশি দিয়ে হাতের সঙ্গে কলম বেঁধে রচনা করেন ‘সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ।’

পিট সিগার: যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদী চরিত্র
পিট সিগার: যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদী চরিত্র

লেখালেখি

পিট সিগার: যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদী চরিত্র

বিশ শতকে পৃথিবীব্যাপী এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছিলেন আমেরিকান কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী পিট সিগার। লোকসংগীতের প্রচণ্ড অনুরাগী এক গায়ক ছিলেন পিট।

পেহেলগাঁও ও তার পর
পেহেলগাঁও ও তার পর

দেশ ও রাজনীতি

পেহেলগাঁও ও তার পর

গত ২২ এপ্রিল ভারতীয় কাশ্মীর এলাকার পেহেলগাঁওয়ের বৈসরণে যে জঙ্গি হানায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে, সে ঘটনা মর্মন্তুদ ও ভয়াবহ, তা নিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত শোকবিবরণ আমরা পেয়েছি, তার পুনরাবৃত্তি এখানে দরকার নেই। মানবতার বিরুদ্ধে এ আর এক জঘন্য অপরাধ- এই কথাটাও পুনরাবৃত্তিক্লিষ্ট, কারণ প্যালেস্তাইনে হোক, ইউক্রেনে হোক, ছোট আকার বাংলাদেশে হোক- এ ধরনের অপরাধ হয়েই চলেছে। আমাদের আঘাত, বিস্ময়, ধিক্কার, বিবমিষা- কোনো কিছুর তোয়াক্কা না রেখেই।

নববর্ষ উৎসব বাঙালির সরলরেখার ঐকতান
নববর্ষ উৎসব বাঙালির সরলরেখার ঐকতান

বিশেষ লেখা

নববর্ষ উৎসব বাঙালির সরলরেখার ঐকতান

নববর্ষের শুরুতে সবাই কেবল মঙ্গল শুভেচ্ছাই প্রকাশ করে। আমি কিন্তু শুভেচ্ছার পাশাপাশি ঘৃণার কথা বলি। ঘৃণা, ঘৃণা, ঘৃণা! রুদ্র, প্রচণ্ড, প্রকট, প্রচুর, পবিত্র ঘৃণা! হ্যাঁ, বর্ষ শুরুতে অন্যের মতো আমিও শুভেচ্ছা জানাই বটে। তবে পাত্র-অপাত্র-নির্বিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে রাজি নই। বন্ধুর জন্য আমি শুভেচ্ছার ডালি উজাড় করে দিই; কিন্তু শত্রুর জন্য শুভেচ্ছা নয়, তাকে কেবলই ঘৃণা। ঘৃণা জানাই তাদের যারা নববর্ষের মতো ধর্মনিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক উৎসবকে বিভিন্ন রং মাখিয়ে বিতর্ক তৈরি করে নিজেদের সুবিধা হাসিল করে। তাই নববর্ষের দিনেও এদের যদি আমরা ক্ষমা করে দিই, তবে সে ক্ষমাকে তারা আমাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ বলেই ধরে নেবে এবং শত্রুতা সাধনে আরও প্রচণ্ড হিংস্র হয়ে উঠবে।

পহেলা বৈশাখকে একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবেই পালন করতে হবে
পহেলা বৈশাখকে একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবেই পালন করতে হবে

বিশেষ লেখা

পহেলা বৈশাখকে একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবেই পালন করতে হবে

বৈশাখ বঙ্গাব্দের প্রথম মাস। ১৪ এপ্রিল মানে পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। প্রথম দিনের উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। বৈশাখের আগমনের আগেই বসন্তের শেষবেলায় সোনাপাতি ফুলের মতো চারদিক আলোকিত করা পুষ্পরাজি সোনারঙের সৌন্দর্যের বাহার ছড়ায়। ফুলের গায়ে হলুদের মাখামাখি। হলুদের আঁচল বিছিয়ে প্রায় বিদায় নিয়েছে গাঁদা। অকাল বর্ষায় এসেছে নয়নাভিরাম সব ফুল। অনেক ফুল সবুজ পাতাগুলোকে ঢেকে দিয়ে জানান দিচ্ছে নিজের আগমন। ঐতিহ্যময় ইতিহাস বাংলা নববর্ষের। যুগের পর যুগ পার হয়ে নববর্ষের প্রথম দিনটি পালনে এসেছে অনেক ভিন্নতা, বহুমুখিতা।

পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো
পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো

দেশ ও রাজনীতি

পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের দিনগুলো

বিলোনিয়ার প্রথম যুদ্ধের পর ২১ জুন, ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী প্রচণ্ড গোলাগুলি, সন্ত্রাস, অবিশ্বাস্য রকমের ধ্বংসযজ্ঞ ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিলোনিয়ার ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত এসে অবস্থান গ্রহণ করে। তার আগেই অবশ্য সমগ্র এলাকার জনগণ জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচানোর স্বাভাবিক তাগিদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে, বিশেষত বিলোনিয়া শহরে এসে আশ্রয় নেয়। বিলোনিয়া শহর তখন পূর্ব বাংলার মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ জনগণ দ্বারা প্লাবিত। ভারতীয় জনগণ হাসিমুখে তাদের বরণ করে নেন এবং আশ্রয় দেন। পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগদানের উদ্দেশ্যে আমি আগেই বিলোনিয়া এসে পৌঁছেছিলাম। পথে আমার সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু ওয়ালী। বিলোনিয়ায় পরিচয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহাঙ্গীর ও আনসারের সঙ্গে।

বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে
বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে

কূটনীতি

বালুচিস্তানের বিদ্রোহ কী পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারবে

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। গোষ্ঠীটি বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাই করে। সেখানে জিম্মি প্রায় ৪০০ জন যাত্রীর ৩৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কুয়েটা থেকে পেশাওয়ার যাওয়ার পথে সিবি শহরের কাছে ট্রেনটি হামলার শিকার হয়। এ হামলার দায়ও দাবি করে বিএলএ। একদিনেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতের পর নিরাপত্তা বাহিনী ৩৩ জন হামলাকারীকে হত্যা করে। তবে ২১ জন যাত্রী এবং চারজন আধা-সামরিক সদস্যের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল!
গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল!

দেশ ও রাজনীতি

গণঅভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল!

এই ২০২৫-এর মার্চেও দেশে চলছে নারী ও শিশু নির্যাতন। সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে নিষ্ঠুর সব বিবরণ। আহা, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় দেশের এ কী হাল! কোথায় সরকার? কোথায় আইনের শাসন

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি

দেশ ও রাজনীতি

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে থাকা জরুরি

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনও করেছে। অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অতি সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে অটোমেটিকেলি ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যে সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা হয়, সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিল, তার ওপর একটি রিভিউ পিটিশন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা যাবে না। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান ছিল না, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৯১ সালে তা আবার সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও গণভোটের বিধানের পুনরুজ্জীবন হলো।

ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ কেন করতে হবে!
ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ কেন করতে হবে!

দেশ ও রাজনীতি

ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ কেন করতে হবে!

ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ নিয়ে বলতে হচ্ছে, স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে যে মর্যাদা বাংলার পাওয়ার কথা, তা সে পায়নি। বাংলা যে আজও তার সঠিক মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারল না, এর পেছনে দেশে একই সঙ্গে তিন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান থাকা, উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার না হওয়া, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া ইত্যাকার নানাবিধ কারণের কথা বলা যাবে। তবে মূল কারণ অন্বেষণের জন্য আমাদের আরেকটু গভীরে তাকাতে হবে।

ট্রেন্ডিং ভিউজ