Views Bangladesh Logo

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী

বাংলাদেশে থাকতে হলে মুক্তিযুদ্ধ মেনেই থাকতে হবে
বাংলাদেশে থাকতে হলে মুক্তিযুদ্ধ মেনেই থাকতে হবে

দেশ ও রাজনীতি

বাংলাদেশে থাকতে হলে মুক্তিযুদ্ধ মেনেই থাকতে হবে

স্বাধীনতা যুদ্ধ সবসময়ই আমার কাছে ইমোশনাল ব্যাপার। যুদ্ধে গিয়েছি। যুদ্ধের বেদনা নিয়ে আমি সবসময় চলি। চোখের সামনে ভাসছে- সাথী পড়ে গেছে। গুলি খেয়েছে। তার মধ্যে লাফ মেরে উপরে উঠেছে। আমাকে বলেছে- ‘মামা, মাকে দেইখো আর তো।’ কেউ রইলো না। মায়ের একমাত্র সন্তান পাগল হয়ে মরছে। গাঙ সাঁতরাইয়া পার হইছি, পাকিস্তানি বাহিনীর গুলি খাইছি। পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে একদিনে ১৫ হাজার লোক মারছে বুড়িগঙ্গাতে। বুড়িগঙ্গা লাল হয়ে গেছে। ১০ হাজার লোক মারছে জিঞ্জিরাতে। এক দিনে ২৫ হাজার লোক মারা গেছে শুধু কেরানীগঞ্জে। ২ মে জিঞ্জিরা-কেরানীগঞ্জে একটা বাড়িঘরও ছিল না, সব পুড়ে ফেলেছে পাকিস্তানি বাহিনী। সেই মুক্তিযুদ্ধে নদী সাঁতরিয়ে রাইফেলটা নিয়ে পার হয়েছি। শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করেছে, বাঙ্কারে ক্রলিং করে যাইতেছে। কারও পা গেছে। কারও চোখ গেছে। কারও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ গেছে। কেউ সম্ভ্রম হারিয়েছে। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে- তারপর পাকিস্তানি বাহিনী পালিয়েছে।

স্বাধীনতার স্বাদ বস্তির উলঙ্গ ছেলেটির কাছে পৌঁছে দিব
স্বাধীনতার স্বাদ বস্তির উলঙ্গ ছেলেটির কাছে পৌঁছে দিব

দেশ ও রাজনীতি

স্বাধীনতার স্বাদ বস্তির উলঙ্গ ছেলেটির কাছে পৌঁছে দিব

স্বাধীনতার ৫৫ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। এত বছর পর মনে পড়ছে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে একটা স্লোগান দিয়েছিলাম, ‘স্বাধীনতার স্বাদ বস্তির উলঙ্গ ছেলেটির কাছে পৌঁছে দিব।’ আজকে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে বলছি, পারিনি; কিন্তু স্বাধীন করে দিয়েছি। কীভাবে? এই দেশে একটি স্পঞ্জের স্যান্ডেলের কারখানা ছিল না, ইন্ডেন্টিং ব্যবসা কাকে বলে বাঙালি জানতো না। আজকে সেই বাঙালি কিন্তু জুতা থেকে শুরু করে বিল্ডার্স ব্যবসা, যেখানে ইস্পাতের কোনো খনিজ ছিল না, সেখানে বড় বড় শিপ তৈরি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠায়- সেই অবস্থায় আমরা পৌঁছে গিয়েছি। আমার গ্রামের এক ছেলে হেলিকপ্টার বানিয়ে আকাশে উড়েছে, এটা অহংকারের বিষয়, তাই না? এই ছিল বাঙালি জাতি। সেখান থেকে আমরা এতদূর আগালাম।

তিব্বতি সেনাদের অজানা বীরত্বগাঁথা
তিব্বতি সেনাদের অজানা বীরত্বগাঁথা

বিশেষ লেখা

তিব্বতি সেনাদের অজানা বীরত্বগাঁথা

১৯৭১ সালে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল চট্টগ্রাম। সমুন্দ্রবন্দর, মিয়ানমার সীমান্ত, পাহাড়, ঘন বনাঞ্চল ও বিদ্রোহী মিজোদের সহযোগিতার কারণে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে এটি ছিল একটি ভিনটেজ পয়েন্ট। যে কারণে যুদ্ধদিনে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে সব ধরনের চেষ্টাই করেছে পাকিস্তান। আর অন্যদিকে কৌশলগত তাৎপর্যপূর্ণ এই জায়গা দখলের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। বিশেষ করে চীনের প্রভাববলয়ে থাকা মিয়ানমারের সঙ্গে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করতে চট্টগ্রামের দখল বা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি ছিল যৌথ-বাহিনীর কমান্ডারদের কাছে।

ট্রেন্ডিং ভিউজ