ফিলিস্তিন সংকট
ব্রিকস তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পরবে?
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার অর্থনীতিকে বৈশ্বিক বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশটির ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এরই মধ্যে গত কয়েক দশকের মধ্যে রাশিয়ায় বিশ্বনেতাদের সবচেয়ে বড় সমাবেশটি হয় এই ব্রিকসেই। ৩৬টি দেশের শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে তিন দিনের সম্মেলনে রাশিয়া এবং পুতিনকে বিশ্বজুড়ে বিচ্ছিন্ন করতে পশ্চিমাদের চেষ্টা ব্যর্থই হয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু’ যে দিকে ধাবিত হচ্ছে
চীন ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের সমর্থক; কিন্তু সম্প্রতি, নতুন এবং অনেকটাই ভিন্ন রকমের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বেইজিং ও মস্কোকে। প্রায় এক বছর আগে গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষে তারা অবতীর্ণ হয়েছে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। জুলাই মাসে, হামাস, ফাতাহ এবং অন্যান্য প্রায় এক ডজন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মিলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করে। গাজার যুদ্ধ শেষে সেখানকার প্রশাসনের জন্য একটি জাতীয় পুনর্মিলনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে ওই চুক্তি হয়েছিল। এই গোষ্ঠীগুলো একই ধরনের চুক্তির জন্য ফেব্রুয়ারিতে মস্কোতেও বৈঠক করেছিল। চীন ও রাশিয়া উভয়ই ইরান, সিরিয়া আর তুরস্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তিমত্তার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো, বেইজিং বা মস্কো কেউই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে না। তাই হামাসকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে কোনো সমস্যা নেই চীন ও রাশিয়ার। তবে এই ধরনের মধ্যস্থতায় কোনো বাস্তব ফলাফল হবে কি?
হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের বলি হবে
ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ আবার একে অপরের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে। গত রোববার প্রচণ্ড গুলি বিনিময়ের পর দুজন ফিরে আসেন। পরিস্থিতি এই অঞ্চলের জন্য অন্য একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যখন গাজা একটি জীবন্ত গণহত্যার শিকার হচ্ছে। আঞ্চলিক উত্তেজনা তুঙ্গে। হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ কয়েক দশকের পুরোনো, এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা শুরু করার পরপরই দুজন ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনের হামলা ও পাল্টা হামলা শুরু করে। তাদের সাম্প্রতিক পারস্পরিক আক্রমণের পর থেকে, বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অভিনেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং মনে হচ্ছে তারা আপাতত সফল হয়েছে। যাই হোক, এই দুজন একে-অপরের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধে জড়িত হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।
ফিলিস্তিন সংকটে সৌদি আরবের অভিভাবকত্ব করার দিন শেষ
সৌদি আরবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের একটি অভূতপূর্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর ফল গোটা আরব বিশ্বের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। দেশটি রূপকল্প ২০৩০ শীর্ষক যে পরিকল্পনা করেছে, তার মূল লক্ষ্য হলো অর্থনীতিকে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা থেকে মুক্তি দেয়া। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে, তা বাস্তবে রূপ দিতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।