Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

রাহাত মিনহাজ

ইন্দিরা-তাজউদ্দীন বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের মহাপরিকল্পনা
ইন্দিরা-তাজউদ্দীন বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের মহাপরিকল্পনা

দেশ ও রাজনীতি

ইন্দিরা-তাজউদ্দীন বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের মহাপরিকল্পনা

ঢাকায় ভয়াবহ গণহত্যা শুরুর পর দীর্ঘ, দুর্গম এক পথ পাড়ি দিয়ে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার ভারতীয় সীমান্তে পৌঁছান তাজউদ্দীন আহমদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তখনকার আওয়ামী নেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। সন্ধ্যার পর ভারতীয় সীমান্তের অংশে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বিএসএফের আঞ্চলিক প্রধান, ডিআইজি গোলক মজুমদারের। প্রাথমিক আলোচনার পর গোলক মজুমদারের সঙ্গে তারা কলকাতায় যান। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় বিএসএফের প্রধান কে এফ রুস্তমজীর (খুসরো ফারামুর্জ রুস্তমজী)।

তিব্বতি সেনাদের অজানা বীরত্বগাঁথা
তিব্বতি সেনাদের অজানা বীরত্বগাঁথা

বিশেষ লেখা

তিব্বতি সেনাদের অজানা বীরত্বগাঁথা

১৯৭১ সালে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল চট্টগ্রাম। সমুন্দ্রবন্দর, মিয়ানমার সীমান্ত, পাহাড়, ঘন বনাঞ্চল ও বিদ্রোহী মিজোদের সহযোগিতার কারণে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে এটি ছিল একটি ভিনটেজ পয়েন্ট। যে কারণে যুদ্ধদিনে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে সব ধরনের চেষ্টাই করেছে পাকিস্তান। আর অন্যদিকে কৌশলগত তাৎপর্যপূর্ণ এই জায়গা দখলের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। বিশেষ করে চীনের প্রভাববলয়ে থাকা মিয়ানমারের সঙ্গে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করতে চট্টগ্রামের দখল বা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি ছিল যৌথ-বাহিনীর কমান্ডারদের কাছে।

‘একাত্তর’ জেনোসাইডের জ্বলন্ত সাক্ষী হলেও স্বীকৃতি নেই
‘একাত্তর’ জেনোসাইডের জ্বলন্ত সাক্ষী হলেও স্বীকৃতি নেই

শিল্প ও সংস্কৃতি

‘একাত্তর’ জেনোসাইডের জ্বলন্ত সাক্ষী হলেও স্বীকৃতি নেই

খুলনার দিঘলিয়া থানার সেনহাটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালাম। ১৯৭১ সালে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে, যুদ্ধ করেছেন ৯ নম্বর সেক্টরে। যে অপরাধে রাজাকারদের সহযোগিতায় ৩০ এপ্রিল আবদুস সালামের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পাকিস্তানি সেনারা। প্রাণ বাঁচাতে চার মাসের শিশু রেহেনাকে কোলে নিয়ে পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নেন আবদুস সালামের স্ত্রী; কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে ফেলেন। এরপর কোল থেকে চার মাসের শিশুটিকে নিয়ে প্রবল আক্রোশে উঠানে আছড়ে ফেলে হিংস্র সৈনিকরা। শক্ত বুটের তলায় পিষে ফেলে শিশুটির কচি শরীর। বাবা যুদ্ধে গেছেন, এই অপরাধে নিষ্পাপ একটি শিশুকে এমনই বর্বরভাবে হত্যা করেছিল হায়েনারা, যা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের নিষ্ঠুরতার চূড়ান্ত সাক্ষী। হত্যাকাণ্ডের সময় চার মাসের রেহেনার গায়ে যে জামাটি ছিল সেটি এখন সংরক্ষিত আছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গ্যালারিতে। সেনালী বর্ডারে হাতাকাটা এই জামাটির সামনে দাঁড়ালে শিউরে উঠতে হয়।

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইইউ
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইইউ

জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইইউ

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক কালে এ আগ্রহের কথা জানান ইউরোপীয় কমিশনাররা।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ভুট্টোর খায়েশ
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ভুট্টোর খায়েশ

নিবন্ধ

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ভুট্টোর খায়েশ

ক্যামব্রিজের ছাত্রী অষ্টাদশী কন্যা বেনজীরকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর। জাতিসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের টেবিলে কূটনৈতিক কূটচালে লজ্জাজনক পরাজয় ঠেকানোই ছিল তার মূল লক্ষ্য। পরবর্তী কয়েক দিন অধিবেশন কক্ষে নানা নাটক করলেও কোনো ফল হয়নি। রণাঙ্গনে লজ্জাজনক পরাজয় ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে ১৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদে এক জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন ভুট্টো। যাতে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়েন। উত্তেজিত ভুট্টো বলেন, ‘We will fight for a thousand years... India is intoxicated today with its military successes... So you will see... this is the beginning of the road... Today, it is Pakistan... I will not be a party to it. We will fight; we will go back and fight. My country beckons me.’ পরিষদ কক্ষে হুঙ্কার দিলেও ভুট্টোকে রণাঙ্গনে যেতে হয়নি। তার আগেই রণে ভঙ্গ দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে এ কে নিয়াজী। এরপর ১৭ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডা যান ভুট্টো। সেখানে এক সামুদ্রিক ইয়ট-এ অবকাশ কাটাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। সেখান থেকেই পাকিস্তানের পথ ধরেন ভুট্টো। ১৮ ডিসেম্বর পৌঁছান বিভক্ত খণ্ডিত পাকিস্তানে।

ট্রেন্ডিং ভিউজ