দক্ষিণ এশিয়া
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা পেতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি
আশির দশকে তৎকালীন সামরিক-স্বৈরশাসক জেনারেল এইচ এম এরশাদ অপরিকল্পিত জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ‘এক নম্বর জাতীয় সমস্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য সেই সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেলেও এটা ছিল সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এই মন্তব্য। কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি তা পরিকল্পিতই হোক বা অপরিকল্পিতই হোক কখনো একটি দেশের জন্য এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হতে পারে না। জনসংখ্যা এমনই এক সম্পদ, যার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা জনসংখ্যা ব্যতীত কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। জনসংখ্যাকে পরিকল্পিতভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ এবং উৎপাদনশীল উপকরণে পরিণত করা গেলে তা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হয়। আর জনসংখ্যা যদি অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠে, তাহলে তা একটি দেশের জন্য ‘দায়’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব একান্তভাবেই রাষ্ট্রের। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আরা যদি বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি দিই তাহলে দেখব, আমাদের এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে অমার্জনীয় ব্যর্থতা রয়েছে, যার দায় কোনোভাবেই রাষ্ট্র এড়াতে পারবে না।
আর্থিক সংকট এত গভীর নয়
নভেম্বর ১১, ২০২৪-এ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা কর্তৃক আয়োজিত ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন,
ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি ট্রাম্প জিতে যায়, তাহলে কী হবে? নিশ্চিতভাবে ট্রাম্প তার পুরোনো নীতিতে ফিরে যাবেন। আসলে নিজের প্রথম মেয়াদের ৪ বছরে ট্রাম্প যুদ্ধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্থিতিশীলতা এবং আস্থার সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার নতুন কূটনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ট্রাম্পের নীতি তার পূর্বসূরি রিপাবলিকানদের থেকেও পৃথক ছিল। এ কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই ট্রাম্পকে ‘রিপাবিলিক্যান প্রেসিডেন্ট’ না বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অতএব, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বাইডেন নীতির বিপরীতেই অবস্থান নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার যে অবস্থানে আছে
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি এখন যেমন বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়েছে, তেমনি আঞ্চলিক শত্রু-মিত্র দ্বারাও প্রভাবিত। চীন তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার মতো দেশের সঙ্গে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ কমানোর চেষ্টা করছে। এই জটিল ভূরাজনৈতিক জালের কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশ, ভৌগোলিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে যার কৌশলগত মূল্য অসীম। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক গতিবিধি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ‘ভারত সফর সূচি চূড়ান্ত করতে’ দুই দিনের সফরে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।
২০২৩ সালে দূষিত বাতাসের দেশের তালিকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ
২০২৩ সালে বাতাসের গুণগত মানের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ছিল ভারত। এর পরের দুই অবস্থান দখল করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।