রাষ্ট্র ও রাজনীতি
কারিগরী বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কারিগররা কি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে!
দেখেশুনে আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, বাংলাদেশ আসলে দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্য। একজন সৎ লোকের পক্ষে টিকে থাকাই মুশকিল। কেউ যদি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি জীবনেও ঘুষ খাবেন না; তাহলে পাশের টেবিলের সহকর্মীরাই তার জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলবেন। নিজেদের ঘুষ খেতে অসুবিধা হবে বলে, তাকে সরানোর চেষ্টা করবেন। দেখা যাবে, ঘুষ না খাওয়া কর্মকর্তার চাকরি যাবে দুর্নীতির অভিযোগে। কোনো কোনো অফিসে ঘুষের রেট বাধা আছে। ঘুষ আসবে, সেটা আনুপাতিক হারে ভাগ হয়ে যাবে। কম বেশি সবাই ভাগ পাবে। এর মধ্যে কেউ যদি ঘুষ খেতে না চান, পুরো চেইনটা বিঘ্নিত হয়।
ব্যক্তি যখন উন্নয়নের ছায়া খোঁজে
আমাদের সব সময় স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় আরও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য ভ্যাট আর ট্যাক্স দিতে। উত্তম প্রস্তাব! বিশাল বিশাল উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, আর আমাদের বলা হয়েছে, এর বেশির ভাগই তৈরি হয়েছে আমাদের অর্থ দিয়ে। মানে সবই করদাতাদের অবদান। ব্যয়বহুল ঋণের ওপর নির্ভর করার চেয়ে এটা ভালো, সেটা যতই কম হোক। আর অগ্রিম ট্যাক্স আদায় করার কী দারুণ পদ্ধতিই না আবিষ্কার করা হয়েছে! ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আস্তে করে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনি টেরই পাবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে গেলে এমনভাবে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। বাইরে খেতে গেলেও আপনাকে বিলের সঙ্গে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স গুনতে হবে। কর প্রদানের আগে আপনি মোবাইল ফোন চালু করতে পারবেন না।