অর্থনীতি
গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নতি হলে বদলে যাবে দেশ
ইতিহাসবিদরা একটি সাধারণ থিওরি বিশ্বাস করেন, তা হলো কোনো রাজবংশই প্রচণ্ড প্রতাপ নিয়ে একটানা ১০০ বছরের বেশি টিকে থাকতে পারে না। এই ১০০ বছরের মধ্যে কোনো না কোনো পর্যায়ে রাজবংশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবেই। এই থিওরিটি রাজবংশের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি ব্যক্তি বা পারিবারিক পরিমণ্ডলেও প্রযোজ্য। কোনো পরিবারই একশ বছরের বেশি তার ঐতিহ্য এবং প্রভাব নিয়ে টিকে থাকতে পারে না। আজ যে পরিবারটি এলাকায় প্রচণ্ড প্রতাপ নিয়ে বিরাজ করছে, কাল হয়তো সেই পরিবারটিই নিঃস্ব হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে কোনো একটি পরিবার প্রধান যে বিত্ত-বৈভব অর্জন করেন, তার মৃত্যুর পর পরবর্তী বংশধররা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই প্রভাব-প্রতিপত্তি ধরে রাখতে পারেন না। আমরা যদি গ্রামীণ অর্থনীতি এবং পারিবারিক জীবনের প্রতি দৃষ্টি দেই, তাহলে এই সত্যটি উপলব্ধি করতে পারব। কোনো ব্যক্তি তিনজন উত্তরাধিকারী রেখে মৃত্যুবরণ করলে তার সব ছেলেই বাবার মতো বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে পারেন না। গ্রামীণ অর্থনীতির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেখানে প্রতিনিয়তই ভাঙা-গড়া চলছে। যারা এক সময় অত্যন্ত বিত্তবান পরিবার হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল, হয়তো উত্তরকালে তারাই সব সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে।
নিয়ন্ত্রিত মুক্তবাজার অর্থনীতির সাফল্য অসম্ভব
পায়ে রশি বেঁধে উন্মুক্ত দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে যেমন বিজয়ী হওয়া যায় না, তেমনি শর্তাধীনে মুক্তবাজার অর্থনীতি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। মুক্তবাজার অর্থনীতিকে শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ করা হলে মুক্তবাজার অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত সুফল কখনোই পাওয়া যায় না। তাই বলে মুক্তবাজার বা ফ্রি মার্কেট ইকোনমি অর্থ ফ্রি স্টাইল ইকোনমি নয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সব সব সময় দৃষ্টি রাখতে হয় কোনো কারণে মুক্তবাজার অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি যাতে রুদ্ধ না হয়। কোনো অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হলেই কেবল নিয়ন্ত্রক সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজারকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারি বলে মনে করা হয়। কোনো পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারিত হবে বাজার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে। কোনো মহল বাজারে একটি পণ্যের মূল্য বা জোগান নির্ধারণ করে দেবে না। পণ্যের জোগান বা উপস্থিতি এবং ভোক্তার চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হবে। এটাই মুক্তবাজার অর্থনীতির মূল ভিত্তি বা সৌন্দর্য। যেসব দেশ মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুক্তভাবে চলতে দেয় না তারাই বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়।
অর্থনীতির গতি রুদ্ধ করলে বিপর্যয় ঘটবেই
অর্থনীতি কিছু সাধারণ সূত্র বা নীতি মেনে চলে। এসব সূত্র নির্ণীত হয় চলমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে। মানুষের দৈনন্দিন আচরণকে কেন্দ্র করেই এসব সূত্র নির্ণীত হয়। সময় এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এসব সূত্র কখনো কখনো কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে মূল সূত্র একই থাকে। কোনো কারণে অর্থনীতির এসব সূত্র লঙ্ঘিত হলে বিপর্যয় ঘটতে পারে।
ব্যাংকের এমডি: ইচ্ছামত পদত্যাগ নয়, চাকরিচ্যুতিও নয়
এখন থেকে কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চাইলেই হঠাৎ করে পদত্যাগ করে ব্যাংক ছেড়ে যেতে পারবেন না। আবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষও যখন-তখন কোনো এমডিকে সরিয়ে দিতে পারবে না।
বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন, জলবায়ু-নির্ভর স্মার্ট ফুড সিস্টেমের উপর গুরুত্ব
দুবাইয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (ইউএসএসইসি) বার্ষিক সাস্টেইনাসামিট ২০২৪ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্বব্যাপি কৃষি ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। টেকসই কৃষি অনুশীলন, খাদ্য চাষে যুগান্তকারী অগ্রগতি, উৎপাদন, বিতরণ ও দক্ষভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ ছিল সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু।
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের কাছে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিশেষ তহবিল এবং জলবায়ু সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে রেয়াতি হারে আরও ঋণ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্যক্তি যখন উন্নয়নের ছায়া খোঁজে
আমাদের সব সময় স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় আরও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য ভ্যাট আর ট্যাক্স দিতে। উত্তম প্রস্তাব! বিশাল বিশাল উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, আর আমাদের বলা হয়েছে, এর বেশির ভাগই তৈরি হয়েছে আমাদের অর্থ দিয়ে। মানে সবই করদাতাদের অবদান। ব্যয়বহুল ঋণের ওপর নির্ভর করার চেয়ে এটা ভালো, সেটা যতই কম হোক। আর অগ্রিম ট্যাক্স আদায় করার কী দারুণ পদ্ধতিই না আবিষ্কার করা হয়েছে! ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আস্তে করে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনি টেরই পাবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে গেলে এমনভাবে ট্যাক্স কেটে নেয়া হবে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। বাইরে খেতে গেলেও আপনাকে বিলের সঙ্গে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স গুনতে হবে। কর প্রদানের আগে আপনি মোবাইল ফোন চালু করতে পারবেন না।