জাতীয় বাজেট
উচ্চ মূল্যস্ফীতি কি নিয়ন্ত্রণে আসবে সহসাই?
চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাচ্ছে না। বাজেটে চলতি অর্থবছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর বৃদ্ধি না পেলেও সহসাই তা ৯ শতাংশে নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা নেই। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট-উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে; কিন্তু কীভাবে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব তা বলা হয়নি। খুব শিগগির চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেই মুদ্রানীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়; কিন্তু শুধু মুদ্রানীতির মাধ্যমে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
মুদ্রানীতি ঘোষণা ১৮ জুলাই
বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে, দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘বিগ পুশ’ দরকার: আতিউর রহমান
‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো সকল স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি এগুলোর ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো প্রশংসনীয়। তবে সিগারেটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে এর দাম একটু একটু করে না বাড়িয়ে এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়ানো দরকার অর্থাৎ বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি ‘বিগ পুশ’ দরকার।”
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস
২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির লক্ষ্য রেখেই জাতীয় সংসদে পাস হলো ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট। সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নতুন এই বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ ভাগে নামাতে চায় সরকার।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : আইএসপিআর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
শিক্ষা ব্যয়ে সরকারি বরাদ্দ বাড়াতে হবে
শিক্ষাকে মানবসভ্যতার বিকাশ ও মানবসম্পদ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই উন্নত দেশগুলোতে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশগুলোর সরকার এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের দেশের সরকারও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধিসহ গুণগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা খাতে সরকারি বাজেটে কম বরাদ্দসহ নানামুখী সমস্যা ও সংকটের কারণে এখনো দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি।
কৃচ্ছ্রসাধনের বাজেট ২০২৪-২৫
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংসদে নয়া বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি তার প্রথম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের এটি ২৫তম ও বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ২১তম বাজেট এটি। এ সরকারের আমলে বাজেটের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোট বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ১৫ বছর পর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ৬২১ দশমিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত নয়া বাজেট ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এ বাজেটের আকার হচ্ছে জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূলবাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম বাজেটের পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত নয়া বাজেট ওই বাজেট থেকে ১০১৪ গুণ বেশি।
রাঘববোয়ালদের লুটপাট বন্ধেই এই বাজেট: কাদের
কাদের বলেন, “কালো টাকা সাদা করেছেন সাইফুর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া। তাহলে তারাও কী দুর্বৃত্ত? বিএনপি আমলে লুটপাটকারীদের বিচার হয়নি।
কালো টাকার মালিকদের দৌরাত্ম্য বাড়ানোর বাজেট ২০২৪-২৫
জাতীয় বাজেট শুধু বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসাব নয় বরং বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট দেশের জনগণের আস্তা এবং বিশ্বাস অর্জনের হাতিয়ার। সরকারের ভিশন ও লক্ষ্য অর্জনে বাজেট শুধু দিক নির্দেশনার মধ্যেই সীমিত নয় বরং সরকার দেশের প্রবৃত্তি অর্জনে, সম্পদ আহরণে বা অন্যবিধ সমস্যা সমাধানে কী কী উদ্যোগ নিচ্ছেন বা নেবেন এবং দেশবাসীর প্রত্যাশা কীভাবে পূরণ করছেন বা করবেন তার দিক-নির্দেশনা থাকবে।
ভূমি উন্নয়ন কর আদায় প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, জাতীয় আর্থিক বছরের সাথে সমন্বিত করে এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়সীমা হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।