Views Bangladesh Logo

যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?
ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?

কূটনীতি

ট্রাম্প যুগের শুরু কি নিউ ওয়ার্লড অর্ডার?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান যুগে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্ক কোনো দেশের সঙ্গে কোনো দেশের ভালো, আবার কোনো দেশের সঙ্গে কোনো দেশের বৈরী। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে প্রতিটি দেশেরই, বিশেষ করে বড় দেশগুলোর সঙ্গে স্বার্থ জড়িয়ে আছে। সেই অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি এবং সামরিক শক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি দেশের বাণিজ্যিক, সামরিক এমনকি আদর্শিক সম্পর্ক বা বিরোধিতা রয়েছে। এই সম্পর্কে আবার জোয়ার-ভাটাও দেখা যায়। মাঝখানে একটু বলে রাখা ভালো, যারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে বিশেষ পরিবর্তন আসে না, তারা সেকেলে চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত। এমন চিন্তা পুরোনো, শীতল যুদ্ধের সময়ের। তখন যুক্তরাষ্ট্রে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, তাদের সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক বলয়ের দেশগুলোর ব্যাপারে কোনো নীতির পরিবর্তন হতো না। কিন্তু বর্তমানে সেই বলয় ভেঙে গেছে। এমনকি চীনের মতো বিশাল সমাজতান্ত্রিক দেশও মুক্তবাজারের নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে।

আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বগুলো বিস্ফোরক রূপ ধারণ করবে
আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বগুলো বিস্ফোরক রূপ ধারণ করবে

অর্থনীতি

আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বগুলো বিস্ফোরক রূপ ধারণ করবে

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে সবারই কৌতূহল থাকা স্বাভাবিক। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে কি না, তা নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনা আছে। কথা হচ্ছে, ট্রাম্প পূর্ণাঙ্গ শুল্কযুদ্ধ করবেন কি না। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক সংবাদে বলা হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ শুল্কযুদ্ধের সম্ভাবনা আছে, কিন্তু বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত নয়। শুল্কযুদ্ধ বলতে এফটি বুঝিয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা সব পণ্যে অন্তত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। চীন ছাড়া কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এই দুই দেশ থেকে মোট আমদানির ৩০ শতাংশ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারাও নানাভাবে ট্রাম্পের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। কিন্তু অতিরিক্ত শুল্ক প্রাপ্তির কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শুল্ক লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করছে এফটি। ফলে বছরের শেষ নাগাদ এসব শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে- এমনটা মনে করেন না ট্রাম্প।

আমলাদের চাপে কমিশনের পিছু হটা শুভ লক্ষণ নয়!
আমলাদের চাপে কমিশনের পিছু হটা শুভ লক্ষণ নয়!

সম্পাদকীয় মতামত

আমলাদের চাপে কমিশনের পিছু হটা শুভ লক্ষণ নয়!

গণঅভ্যুত্থানের পর যখন অন্যান্য কমিশনের সঙ্গে ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’ গঠিত হলো তখন আমরা আশা করেছিলাম এই কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে। প্রয়োজনীয় এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সংস্কার করে আমলাতন্ত্রের বিষদাঁত কিছুটা ভাঙতে পারবে। কিন্তু উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসনের ৫০ শতাংশ কোটার প্রস্তাবকে অযৌক্তিক দাবি করে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা যখন গত ২৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন তখন আমাদের আস্থায় কিছুটা ফাটল ধরে যায়, আমাদের মধ্যে সংশয় দেখা দেয়, প্রশ্ন দেখা দেয়, সত্যিই এই আমলাতন্ত্রের চাপে সংস্কার কমিশন কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে!

ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে মার্কিন কূটনীতি জটিল হচ্ছে
ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে মার্কিন কূটনীতি জটিল হচ্ছে

কূটনীতি

ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে মার্কিন কূটনীতি জটিল হচ্ছে

ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে মার্কিন কূটনীতি জটিল হচ্ছে

উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না
উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না

অর্থনীতি

উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না

উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ব্যাংক অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না

বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পাদকীয় মতামত

বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিপক্ষ দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বেশ পেছনে ফেলে দিয়ে ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৭ ইলেকটোরাল ভোট, আর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪ ইলেকটোরাল ভোট। অফিসিয়াল ঘোষণা না এলেও বিশ্বের মানুষের আর জানতে বাকি নেই আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পই।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাকি বিশ্বের মাথাব্যথা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাকি বিশ্বের মাথাব্যথা

কূটনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাকি বিশ্বের মাথাব্যথা

৪ নভেম্বরের গল্প। না, পরাবাস্তব বা যাদুবাস্তব গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে ঢুকলাম দুপুরবেলা। রাস্তার দুপাশে সারি বেঁধে বসে শাক-সবজি বিক্রি করছে অত্যন্ত দরিদ্রপীড়িত, শিক্ষাবঞ্চিত খেটে খাওয়া প্রান্তিক পর্যায়ের কিছু মানুষ। হঠাৎ কানে এলো তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন তার জন্ম এলাকার আঞ্চলিক ভাষায় বললেন, ‘ইবার ট্রাম্প হইয়া যাবি’। আমার কান সচেতন হয়ে উঠল। ইন্টারেস্টিং ডিসকাশন! দাঁড়িয়ে পড়লাম। দেখি একটা মলিন স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে, পরনে লুঙ্গি এবং খালি পায়ে বসে লালশাক, পুঁইশাক বিক্রি করছেন লোকটি। প্রায় একই রকম কন্ডিশনের আরেকজন বিক্রেতা তার কথায় সায় দিয়ে মাথা দোলাচ্ছেন।

মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন
মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন

কূটনীতি

মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আগামী ৫ নভেম্বরে ভোট দেবেন সে দেশের নাগরিকরা। আর সেই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী কিন্তু বিজয়ী নাও হতে পারেন। মার্কিন গণতন্ত্রের আলাদা কিছু দিক রয়েছে, আর সেগুলো নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের গণতন্ত্রকে অনুকরণীয় হিসেবে দেখিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, স্বাধীনতা অর্জনের পরে কিংবা স্বৈরশাসককে সরিয়ে দেয়ার পর গণতন্ত্র পুনর্গঠনে কোনো দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদাহরণ হতে পারে। আজকের ডেমোক্র্যাটরা যেখানে বহুজাতিগত গণতন্ত্রের ধারণাকে গ্রহণ করছেন, সেখানে রিপাবলিকানরা পুরোনো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যকে পুনরুজ্জীবিত করে দেশকে আবার মহান করতে চাচ্ছেন। ফলে বহু জাতির গণতন্ত্রের ধারণা এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের ধারণা এখন সাংঘর্ষিক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

থমাস ন্যাস্টের কার্টুনের গাধা ও হাতি যেভাবে মার্কিন নির্বাচনের প্রতীক হয়ে উঠল
থমাস ন্যাস্টের কার্টুনের গাধা ও হাতি যেভাবে মার্কিন নির্বাচনের প্রতীক হয়ে উঠল

বিশেষ লেখা

থমাস ন্যাস্টের কার্টুনের গাধা ও হাতি যেভাবে মার্কিন নির্বাচনের প্রতীক হয়ে উঠল

৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে কে জিতবে? গাধা না হাতি? আপনি যদি মার্কিন নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রতীক সম্পর্কে না জানেন, তাহলে ভাবতে পারেন এ আবার কেমন কথা? গাধা-হাতির প্রসঙ্গ আসছে কেন? আসলে গাধা ডেমোক্রেটদের প্রতীক আর হাতি রিপাবলিকানদের প্রতীক; কিন্তু কোনো পার্টির প্রতীক কি গাধা হতে পারে? বাঘ-হাতি হলে একটি মানানসই ব্যাপার ছিল। তাই বলে গাধা! কিন্তু সত্যিই দেড়শ বছর ধরে গাধা প্রতীকে নির্বাচন করছেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা।

ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ
ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ

কূটনীতি

ট্রাম্প-কমলার ভোটের লড়াই ও বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি ট্রাম্প জিতে যায়, তাহলে কী হবে? নিশ্চিতভাবে ট্রাম্প তার পুরোনো নীতিতে ফিরে যাবেন। আসলে নিজের প্রথম মেয়াদের ৪ বছরে ট্রাম্প যুদ্ধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্থিতিশীলতা এবং আস্থার সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার নতুন কূটনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ট্রাম্পের নীতি তার পূর্বসূরি রিপাবলিকানদের থেকেও পৃথক ছিল। এ কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই ট্রাম্পকে ‘রিপাবিলিক্যান প্রেসিডেন্ট’ না বলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অতএব, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বাইডেন নীতির বিপরীতেই অবস্থান নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

ট্রেন্ডিং ভিউজ