সেন্টমার্টিনে পর্যটক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুশিয়ারি ট্যুর অপারেটরদের
পর্যটন মৌসুমের আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেকোনো ‘নেতিবাচক সিদ্ধান্তের’ বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রফিউজ্জামান।
তিনি বলেন, অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের বৃহৎ অবদান বিবেচনা করে পরিবেশ ও পর্যটন শিল্প উভয়ই রক্ষায় সরকার পর্যটন খাতের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
দ্বীপে পর্যটক ও রাত্রিযাপন সীমিত করে সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রতিবাদে সেন্ট মার্টিন পরিবেশ ও পর্যটন ঐক্য উন্নয়ন জোট এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
'বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেন। কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে পর্যটন খাতে জড়িত হাজার হাজার মানুষের জীবিকা ব্যাহত হবে'- বলেন রাফিউজ্জামান।
তিনি বলেন, নীতিমালা অনুসারে পর্যটন কার্যক্রমের অনুমতি দিয়ে দ্বীপের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
পর্যটন শিল্প ও দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবিকা রক্ষায় সেন্ট মার্টিন পরিবেশ এবং পর্যটন ঐক্য উন্নয়ন জোট ১৯ দফা দাবি জানায়।
সেন্টমার্টিনে ১০০টি হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে এবং কক্সবাজারের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সব ধরনের অনুমতি নিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, হঠাৎ করে সেন্টমার্টিনে পর্যটন ও রাত্রিযাপনকে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগ নষ্ট করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন টোয়াব, ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন পরিবেশ ও পর্যটন ঐক্য উন্নয়ন জোট ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব), সেন্ট মার্টিন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে