পর্যটকশূন্য কক্সবাজার, ২০ হাজার পর্যটনকর্মীর ছাঁটাইয়ের শংকা
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত জুড়ে সুনসান নীরবতা। গেলো ১৭ জুলাই থেকে দেশে চলমান আন্দোলন এবং সহিংসতা ও চলমান কারফিউয়ের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম এ সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার।
আবাসিক হোটেল ছাড়াও তালা ঝুলছে রেস্তোরাঁগুলোতেও। এমন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কক্সবাজারে সাড়ে ৪০০ হোটেলে ও গেস্ট হাউজে গত কয়েকদিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ জানালেন, কক্সবাজারে এখন সারা বছর পর্যটক থাকে। তাও বর্ষা মৌসুমে প্রতিটা হোটেল ছাড় দেয়। এখন ৫০-৬০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটক টানা যাচ্ছে না। তার কারণ হল সারাদেশে গত কয়দিনের চলমান আন্দোলন। এভাবে চলতে থাকলে অতি শিগগিরই এই শিল্পে ধস নামবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে হোটেলে কর্মরতা কলিম উল্লাহ জানিয়েছেন, কক্সবাজারে নানাবিধ ক্ষতির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা আছে। এরকম পর্যটকশূন্য হয়ে চলতে থাকলে অনেক হোটেল মালিক তাদের শ্রমিকদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হবেন।
চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে এমন সংকটের ক্ষয়ক্ষতির কোনো পরিসংখ্যান প্রশাসনের নেই। পর্যটন শহরে টমটম চালক থেকে শুরু করে সবাই এই শিল্পের সাথে জড়িত। এবং এই কয় দিনে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করলে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা হবে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গেছে, কক্সবাজার এই মুহূর্তে তেমন পর্যটক নেই। যারা কক্সবাজার ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছিল তাদের গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সেনাবাহিনীর পাহারায় বাসে করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে