ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য এখনো স্বাভাবিক
গত বছরের আগস্টে রাজনীতির পট পরিবর্তনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য কিছুটা স্থিমিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু ত্রিপুরার চেকপোস্টগুলোয় (আইসিপি) আমদানি-রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত মাছও যাচ্ছে রাজ্যটিতে।
ত্রিপুরার মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান, চেকপোস্টগুলো দিয়ে নিয়মিত মাছের চালান আসছে বাংলাদেশ থেকে। আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে মাছ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য।
বৃহস্পতিবার (১ মে) মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে মৎস্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে বছরে প্রায় ৩১ টন মাছের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে ব্যবসায়ীরা পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বাংলাদেশ থেকে মাছ কিনছেন।
বৈঠকে মৎস্য দপ্তরের একজন কর্মকর্তাও জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আমদানি করা হচ্ছে।
রাজ্যের প্রধান স্থলবন্দর আখাউড়া-আগরতলা ছাড়াও আরও আটটি স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি চলছে। দ্বিপাক্ষিক এই বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
২০১৩-১৪ সালে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ছিল ২৩০ কোটি ২৪ লাখ রুপির। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে ১২ কোটি ৩১ লাখ রুপির পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় গেছে ৭০৩ কোটি ৬৭ লাখ রুপির পণ্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৮৯৪ কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্য ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকার পণ্য।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকে ভাঙা পাথর, ভুট্টা, আগরবাতি, আদা, শুকনো মরিচ, সবজির বীজ, বিভিন্ন মশলা এবং আপেল আমদানি করে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় রপ্তানিপণ্যের মধ্যে সিংহভাগ জুড়েই রয়েছে মাছ। এছাড়াও যায় সিমেন্ট, খাদ্যপণ্য, স্টিল, পিভিসি পাইপ, পানীয় এবং তুলার বর্জ্য।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে