Views Bangladesh Logo

মাইকে ঘোষণা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না যাত্রী

ঈদকে সামনে রেখে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে ব্যস্ততম কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে প্রায় ১৩ দিনের লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ।ফলে বেশ আগেই ঘরমুখী হয়েছে এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ। তবে, অন্যান্য বারের মতো সেই চিরচেনা যানজট নেই রাস্তায়। শুক্রবার গত কয়েকবছরের তুলনায় ঠিক উল্টো চিত্র সাভার আশুলিয়ার দুটি মহাসড়কে।

গতকাল ২৪ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। সাভার আশুলিয়ার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দেখা গেছে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি গাড়ির সারি। তবে সে তুলনায় নেই যাত্রী। কয়েক ধাপে শিল্প কারখানা ছুটি, অগ্রিম টিকিট কেটে রাখা এবং পরিবার সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার ফলে মহাসড়কে এই স্বস্তি বলে জানাচ্ছেন পরিবহন মালিকরা।

শুক্রবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কয়েকটি বাসস্ট্যান্ডে নেই সেই চীরচেনা যাত্রীদের চাপ। তবে যাত্রীর তুলনায় দেখা গেছে বাসের সংখ্যাই বেশি। এদিকে, অল্প খরচে বা বিকল্প ব্যবস্থায় বাড়ি যেতে অনেকেই ভাড়া করেছেন ট্রাক বা পিকআপ, ফলে বাস কাউন্টারগুলোতে নেই তেমন ভিড়।

সাভার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর, জিরানী , বাড়ইপাড়া এলাকাগুলো ঘুরে ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি স্থান ছাড়া নেই কোনো যানজট। তবে, ডেকে ডেকে যাত্রী না পাওয়ায় সড়কের মাঝখানে দীর্ঘক্ষণ বাস থামিয়ে রাখার ফলে কিছু কিছু পয়েন্টে সাময়িক যানজট হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী যাত্রী না পাওয়াতে আক্ষেপ করতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের।

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে মাইকে ঘোষণা দিয়েও যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। এই মন্দার সময়ও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকে।

শামিম নামের এক ব্যক্তি দিনাজপুরগামী বাসের টিকিট কিনেছেন, তাকে গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া। তবে বাস বেশি থাকায় এবং যাত্রীর চাপ না থাকায় সময়মতো রওনা দিতে পেরেছেন বলে ভোগান্তি কমেছে তার।

তিনি বলেন, 'কয়েক মাসের সন্তানকে প্রথমবারের মতো সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে। তাই ভাড়া বেশি হলেও সঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই খুশি আমি।'

তিনি জানান, 'গত বছর যখন বাড়িতে যাচ্ছিলাম তখন অনেক সমস্যা হয়েছিল। রাস্তায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবুও আমরা বাস পেয়েছিলাম অনেক দেরিতে। পথে যানজটতো ছিলই। তবে এবারের পরিস্থিতিটা আমরা ভিন্ন দেখছি। কাউন্টারে আসার আগেই বাস অপেক্ষায় ছিল আমাদের। এখানে আসার সময়ও কোন যানজট পাইনি। আশা করি, নির্বিঘ্নে এবং সঠিক সময়ে বাড়ি যেতে পারব।'

পোশাক শ্রমিক রেহানা পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। তিনি বলেন, 'গতবার অনেক বেশি টাকা দিয়েও বাসে যেতে পারিনি। ট্রাকে করে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ যেতে হয়েছে। এবার কাউন্টারে এসেই টিকিট ও বাস পেয়েছি। অপেক্ষা করতে হয়নি।'

আলহামারা বাসের কাউন্টার মাস্টার জিসান বলেন, এরকম মন্দায় আগে পড়তে হয়নি। গতবারও যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন ছিল কাউন্টারের সামনে। এবার উল্টো বাস এসে দাঁড়িয়ে আছে তবু যাত্রী নেই। তাই মাইকিং করে টিকিট বিক্রি করতে হচ্ছে। এবার তিন ধাপে ছুটি হয়েছে এবং কয়েক ধাপে মানুষ বাড়ি যাওয়ায় যাত্রী কমে গেছে।

সাভার হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার নিরাপত্তাও অনেক জোরদার করা হয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ