ভারত-বাংলাদেশ ‘মৈত্রী সেতু’ চালুতে আশাবাদী ত্রিপুরার সিপিআই নেতা
ভারতের ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী আশা প্রকাশ করেছেন, ফেনী নদীতে ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্তকারী মৈত্রী সেতুটি চালু হবে।
দেশটির সিপিআই (এম) দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বলেছেন, ‘আমি আশাবাদী, এটি চালু হবে’।
দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমকে বাংলাদেশের রামগড়ের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়াতে ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে সেতুটি। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ‘মৈত্রী সেতু’ নাম দেয়া হয়েছে।
তবে ২০২১ সালের মার্চে উদ্বোধন হলেও এখনও চালু হয়নি ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি।
মৈত্রী সেতুর অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে। পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনার উদ্দেশ্যে সেতুটি তৈরি করা হয়।
তবে উদ্বোধনের চার বছরেরও বেশি সময় পরেও কেন সেতুটি চালু হচ্ছে না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। গত বছরের আগস্টেই চালুর কথা থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তা আটকে যায়।
তবে এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উদাসীন মনোভাবের অভিযোগ তুলেছেন বামনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বলেছেন, কেন্দ্রকে সেতুটির গুরুত্ব উপলব্ধি করাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
তার মতে, মৈত্রী সেতুটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াবে। ফেনীর কাছেই চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর। তাই সেতুটি দিয়ে সমুদ্রবন্দর থেকেও পণ্য আনা-নেয়া সহজ হবে। ত্রিপুরার কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবেন।
জনগণের ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সেতুটি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বলেও দাবি জিতেন্দ্র চৌধুরীর।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে