ট্রাম্পের কারণে বদলে যাচ্ছে ইইউর কূটনীতি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হারের পর নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও সমর্থকদের উসকে দিয়ে দাঙ্গা বাধিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে মামলা ও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বুঝি শেষ হতে চলল; কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প দোর্দণ্ডপ্রতাপে ফিরে এসেছেন ক্ষমতার মসনদে, যা ইতিহাস গড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছিল আরেকবার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর ১৮৮৮ সালে হেরে যান। ঠিক চার বছর পর ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে জিতে তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে ১৩২ বছর পর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস গড়েছেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বেশি বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসাটা ইইউর নেতাদের নতুন বাস্তবতার মুখে দাঁড় করিয়েছে। তাদের সামনে এখন দুটি বড় ফাঁদ। এর একটি হলো ট্রাম্পের সম্ভাব্য নীতির বিষয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়া, অন্যটি হলো বাস্তবতাকে মোকাবিলা না করে পুরো পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাওয়া। এ দুই ফাঁদে পা দেয়া থেকে তাদের বাঁচতেই হবে। সমস্যা হলো, এ ফাঁদে পা দেয়া থেকে নিজেদের বাঁচানো ইইউর নেতাদের পক্ষে সহজ হবে না; আবার এ ফাঁদ এড়াতে না পারলে ইইউকে অনেক বড় পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। ট্রাম্প এমনিতে কখন কী করে বসবেন, তা আগেভাগে বোঝা মুশকিল এবং তিনি অসম্ভব রকমের হঠকারী লোক। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই, ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রবৃত্তি এবং ঘোষিত পরিকল্পনা ইইউর নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্তম্ভগুলোকে কাঁপিয়ে দেবে।
তাই নিরাপত্তা ইস্যুতে ইউরোপীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। যেমন- ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ইউক্রেনের জন্য শান্তিপরিকল্পনা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে লঙ্ঘন করতে পারে এবং দেশটিকে নিরস্ত্র ও স্থায়ীভাবে ন্যাটো থেকে বাদ দিতে পারে। ট্রাম্প গদিতে বসার পর যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোতে তার অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে এবং সামরিক কমান্ড ও খরচাপাতির দায়দায়িত্ব ইউরোপীয়দের ওপর চাপিয়ে দেবে। ফলে ন্যাটো নিজেই হয়তো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় চলে যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইউরোপীয়রা সংগত কারণেই চিন্তিত হয়ে পড়েছে। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের শান্তি নিশ্চিতকরণ পরিকল্পনার মানে হলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চরমপন্থি জোটের সম্প্রসারণমূলক পরিকল্পনাকে সমর্থন করা। এমনকি ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে বহিষ্কার করে মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসনের মতো পদক্ষেপও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর অবস্থায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
ট্রাম্প বাইরের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ শতাংশের একটি সর্বজনীন আমদানি শুল্ক আরোপের কথা বলে রেখেছেন। আর চীনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও জানিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্পের এই নীতি বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে। সে ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে অন্য সরকারগুলো অর্থনৈতিক আঘাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। ট্রাম্পের কঠোর শুল্কনীতির মাধ্যমে যদি চীনকে মার্কিন বাজার থেকে বের করে দেয়া হয়, তাহলে ইউরোপীয়রা আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, চীনের অতিরিক্ত উৎপাদনক্ষমতার প্রভাব ইউরোপীয়দের ওপর বেশি পড়বে। ইইউর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
কারণ, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকায় ইইউ এক হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তাদের এক হতে না পারার পেছনে ‘ইললিবারেল ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি তথাকথিত আন্তর্জাতিক জোট কাজ করবে। ওই জোটে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি রয়েছেন। এই নেতারা তাদের নীতিতে স্বাধীনতাবিরোধী মানসিকতা দেখিয়ে থাকেন, যা ইইউর সামগ্রিক রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রতিক্রিয়াকে দুর্বল করে দিতে পারে। এসব কারণে ইইউর নেতারা আতঙ্কের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন এবং ওয়াশিংটনে গিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করার জন্য তাড়াহুড়া করতে প্রলুব্ধ হচ্ছেন-যেমনটি অনেকেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় করেছিলেন; কিন্তু তারা যদি আলাদা আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে তা সরাসরি ইইউর ঐক্যের ক্ষতির কারণ হবে। ট্রাম্প যে ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারেন, তা যদি ইইউর নেতারা গায়ে না লাগান বা অস্বীকার করেন, তাহলে শেষমেশ দেখা যাবে, নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নিজেদের যতটুকু গুছিয়ে নেওয়া দরকার, তা তারা করতে পারেননি।
চার বছর ধরে ইইউর নেতারা জানতেন, ট্রাম্প আবার ফিরে আসতে পারেন এবং এ জন্য সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা কিছু পদক্ষেপও নিয়েছেন। তারা তাদের নতুন ভূরাজনৈতিক দুর্বলতাগুলো মোকাবিলার জন্য কিছু ব্যবস্থা ও নিয়েছেন। যেমন তারা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছেন ও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়েছেন। তবে মোটের ওপর তারা অনেক ধীরগতিতে এগিয়েছেন। এদিকে ইইউর কোনো কোনো নেতা ভুল আত্মবিশ্বাসে ভাসছেন। তাদের ধারণা, তারা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যেহেতু টিকে থাকতে পেরেছেন, সেহেতু আরেকটি মেয়াদেও টিকে যেতে পারবেন; কিন্তু তাদের মনে রাখা দরকার, ২০১৭-২০ সালের ট্রাম্পের সঙ্গে বর্তমান ট্রাম্পের অনেক তফাত।
প্রথম মেয়াদের ট্রাম্প ছিলেন রাজনীতির বাইরের একজন মানুষ, যিনি নির্বাচনে জিতে নিজেই অবাক হয়েছিলেন এবং প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেতে ব্যাকুল ছিলেন। এবার ট্রাম্প অভিজ্ঞ। আগের মেয়াদে তিনি যেসব প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, এবার তিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিষয়টিকে ইইউর নেতাদের গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত এবং সে অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করাটাও প্রয়োজন। ইইউর নেতাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো, এখন থেকে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৭০ দিনের মধ্যে তাদের সাধারণ স্বার্থগুলোর বিষয়ে একমত হওয়া এবং কীভাবে সেগুলো রক্ষা করা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করা। এসব স্বার্থ রক্ষার কাজ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একত্রে থেকে করা সম্ভব হয় তো ভালো; না হলে তা তাদের নিজেদেরই করতে হবে। এর মানে হচ্ছে, ইইউ কে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক চাপ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। ইইউর জন্য সবচেয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের ইস্যু হলো ইউক্রেন।
ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করে রাখা এবং ন্যাটো থেকে দেশটিকে দূরে রাখা-সংক্রান্ত যে কোনো চুক্তি যাতে না হয়, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ইউক্রেনকে স্বল্প মেয়াদে নিরবচ্ছিন্ন গোলাবারুদ এবং বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করার বিষয়টি ইইউ কে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে ইউক্রেনকে বিশ্বস্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ছাড়া ইইউকে আরও দক্ষভাবে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ন্যাটো ও ইইউর জন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে হবে; প্রয়োজনে তাদের নিজস্ব পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে হবে। ইইউর দ্বিতীয় বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বাণিজ্য। যদি ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে ইইউ এবং তাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজারের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ অনিবার্য।
সে অবস্থায় ইইউকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা করতে হবে। ট্রাম্পের জয় ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের প্রেক্ষাপট পুরোপুরি বদলে দিচ্ছে। এখন ইইউর উচিত ব্রিটেনের প্রতি একটি বৃহৎ ও সাহসী প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসা, যাতে তারা একসঙ্গে কাজ করে একটি নতুন ধরনের অংশীদারি গড়ে তুলতে পারে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের উচিত শক্তিশালী ও আরও ঐক্যবদ্ধ ইইউর জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করা। এটি বাস্তবায়নের জন্য ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড ও স্পেন-এই ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একটি সর্ব-ইউরোপীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইইউর সৃজনশীলতা, স্থিতিস্থাপকতা এবং নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন হবে। ইইউর মনে রাখতে হবে, প্রতিটি সংকট একটি সুযোগ সামনে এনে দেয়।
ট্রাম্প সংকটও ইউরোপীয়দের সামনে একটি শক্তিশালী ও অধিকতর আত্মনির্ভরশীল ব্লক গঠনের সুযোগ এনে দিয়েছে। ট্রাম্পের আগমনে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা নেই বললেও রয়েছে শঙ্কা। এ খবরে মূলত মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে-সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের দাবি এই ফলে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শুধু একটি দলের ওপর নির্ভর করে না; বাণিজ্যিক, কৌশলগত, ভূরাজনৈতিকসহ অনেক বিষয় এখানে রয়েছে। তবে কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে মার্কিন সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার ওপরেও প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। অবশ্য ওয়াশিংটনের রাজনীতিক, কূটনীতিক এবং নীতি-নির্ধারকরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা সৃষ্টি করবে না।
কারণ এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প, সে সময় তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে ইইউ নেতাদের। ফলে যেহেতু ট্রাম্পের চিন্তা-ভাবনা, রাজনৈতিক দর্শন প্রভৃতি তাদের কাছে অপরিচিত নয়, তাই ক্ষমতার পালাবদলে এবার ট্রাম্প জয়ী হলেও যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ সম্পর্কে তার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। জার্মানির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মাইকেল স্টেম্পফ্লি বলেছেন,‘ইইউ কিন্তু মোটেও হতবুদ্ধি অবস্থায় নেই। তার জন্য আগামী দিনগুলোতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল। ইউরোপের জন্যও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই অঞ্চলটি।’ তবে দুশ্চিন্তার কারণ যে একেবারেই নেই- এমন নয়। কারণ আগের বার যখন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প, সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তার ইইউর মিত্রদের জোট ন্যাটোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক বেশ তিক্ত হয়ে পড়েছিল। তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে এক পর্যায়ে ট্রাম্প ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বলাই যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইইউর জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।
রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলাম লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে