ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন ধনকুবের স্কট বেসেন্ট
দ্বিতীয় প্রশাসনের অর্থমন্ত্রী বা ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী স্কট বেসেন্টকে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বেসেন্টকে বেছে নেয়ার পর শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে ব্যাপক প্রভাবের কারণে উচ্চ প্রোফাইল প্রার্থীদের মধ্যে তিনিই বেশি যোগ্য। ট্রাম্পের আশাবাদ, বেসেন্ট তার প্রশাসনের নীতির মাধ্যমে মার্কিন প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং অবৈধ বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা বন্ধ করবেন।
৬২ বছর বয়সী স্কট বেসেন্ট অভিজ্ঞ ওয়ালস্ট্রিট অর্থনীতিবিদ এবং জর্জ সোরোসের অধীনে কাজ করেছেন। ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম সারির সমর্থক ছিলেন তিনি। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির প্রতি বিশ্বাসী এবং আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ স্কট।
ওয়াল স্ট্রিট ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল যে, বিশেষ করে শুল্কের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য পুনর্নির্মাণ এবং তার প্রথম মেয়াদে প্রণীত ট্যাক্সের আওতা বাড়ানো এবং এবারও প্রসারিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ট্রাম্প কাকে অর্থমন্ত্রীর পদ দেবেন। স্কট বেসেন্ট তার কর্মজীবন অর্থায়নে ব্যয় করেছেন, ওয়ালস্ট্রিটকে ট্যাক্স সংস্কার এবং নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার পদক্ষেপও নিয়েছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ তাই বলেছেন, তার মনোনয়ন স্বস্তির। কারণ, তিনি বাজার বোঝেন এবং তার নিয়োগ গুরুতর শুল্কের শঙ্কা কমাতে পারে।
অন্য যাদেরকে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদটির জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল, তারা হলেন- অ্যাপোলো গ্লোবাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী মার্ক রোয়ান এবং প্রাক্তন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর কেভিন ওয়ার্শ। বিনিয়োগকারী জন পলসনও একজন নেতৃস্থানীয় প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু বাদ পড়েছিলেন, যখন আরেক প্রতিযোগী ওয়ালস্ট্রিট অভিজ্ঞ হাওয়ার্ড লুটনিক বাণিজ্য বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন।
ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া বিবৃতিতে ট্রাম্পও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে ব্যাপকভাবে সম্মানিত স্কট বেসেন্ট’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে