নির্বাচনি সভায় হত্যার উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের উপর গুলি
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি প্রচারের সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ডান কান ছুঁয়ে যায় এবং তিনি মঞ্চে বসে পড়েন।
ওই মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির শব্দে নিরাপত্তারক্ষীরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ট্রাম্প যখন আবার উঠে দাঁড়ান, তার কান থেকে গালের পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়তে দেখা যায়। এসময় তিনি বলছিলেন,“ফাইট! ফাইট! ফাইট!”
ওই সমাবেশে থাকা এক প্রতক্ষ্যদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, গুলির শব্দ পাওয়ার আগে আগে তিনি কাছের একটি ভবনের ছাদে এক রাইফেলধারীকে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
ওই হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের প্রাণ গেছে, গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুজন। পরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গুলিতে ওই পুরুষ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ঘটনার পরপরই ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শঙ্কামুক্ত। তিনি এখন ভালো আছেন।
রয়টার্স জানায়, ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প বক্তৃতা শুরু করার পরপরই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তিনি হাত দিয়ে ডান কান স্পর্শ করেন এবং রক্তে ভেজা হাত দেখে পডিয়ামের পেছনে হাঁটুর ওপর বসে পড়েন। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন এসময় চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন।
মিনিটখানেক পর ট্রাম্প যখন উঠে দাঁড়ান, তার মাথার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ লেখা লাল রঙের টুপি আর জায়গামত নেই। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন ঘিরে ধরে গাড়িতে তোলার সময়ও ট্রাম্প বলছিলেন, ‘দাঁড়াও দাঁড়াও’।
পরে নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লেখেন, “আমাকে গুলি করা হয়েছে। গুলি আমার ডান কানের উপরের অংশ চিড়ে দিয়ে গেছে। অনেক রক্ত ঝরেছে।”
আততায়ীর পরিচয় কিংবা হত্যাচেষ্টার মোটিভ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে