কাতারের সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এসব চুক্তির আওতায় কমপক্ষে এক লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক লেনদেন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপসাগরীয় অঞ্চল সফরের শেষদিনে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কাতারের আমির থানির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজ জানায়, বৈঠকে দুই দেশ একাধিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃক শতাধিক বোয়িং বিমান কেনার চুক্তি। নয় হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ও ৭৭৭ এক্স সিরিজের মোট ২১০টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছে। এ ছাড়া কাতারের আল উদিদ বিমানঘাঁটি এবং অন্য আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ইচ্ছাপত্রও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে জানায়, মোট ২১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে, যার আনুমানিক মূল্য নয় হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
বৈঠক শেষে দুই নেতা ঘোষণা দেন, তারা যুগান্তকারী চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এর আওতায় দুই দেশের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা হওয়ার আশা করছেন তারা।
থানি বলেন, ট্রাম্পের কাতার সফরের মধ্য দিয়ে দোহা এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ‘এক নতুন উচ্চতায়’ পৌঁছেছে।
বুধবার (১৪ মে) সৌদি আরব সফর শেষ করে কাতারে পৌঁছালে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আড়ম্বরপূর্ণ সংবর্ধনা ও আচার-অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবারই মার্কিন, তুর্কি ও সিরীয় কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন। সেখানে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বৈঠকটি শেষে রাতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে সম্ভাব্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তুরস্কে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেও সেখানে যাচ্ছেন না ট্রাম্প।
মধ্যপ্রাচ্যে এবার তিন দেশ সফর করছেন ট্রাম্প। সোমবার (১২ মে) শুরু হওয়া চারদিনের এই সফরের শুরুতেই মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে