যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা
রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।
যুদ্ধের এক হাজারতম দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিদায়ী প্রশাসন থেকে সদ্য পাওয়া মিসাইলগুলো দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) হামলা হয়।
রাশিয়া বলেছে, তাদের বাহিনী ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি সামরিক স্থাপনায় ছোড়া ছয়টির মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। একটির ধ্বংসাবশেষের আঘাতের আগুনের সূত্রপাত হলেও দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়। এ হামলায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার প্রায় ১১০ কিলোমিটার ভেতরে অস্ত্র ডিপোতে হামলা চালিয়েছে, যার একটি আঘাত গৌণ বিস্ফোরণ ঘটায়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী প্রকাশ্যে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো নির্দিষ্ট করেনি। তবে দেশটির সরকারি সূত্র এবং একজন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, সেগুলো এটিএসিএমএস-ই ছিল।
ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলাটি একটি গোলাবারুদ সরবরাহ পয়েন্টে ছিল। তবে রাশিয়া আটটির মধ্যে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিয়েছে।
বাইডেন চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলার জন্য ওয়াশিংটনের সরবরাহ করা দীর্ঘতম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, এটিএসিএমএসের ব্যবহার স্পষ্ট সংকেত যে, পশ্চিমারা সংঘাত বাড়াতে চায়।
মস্কো বলেছে, এ ধরনের অস্ত্র সরাসরি মার্কিন অপারেশনাল সমর্থন ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না এবং এর ব্যবহার ওয়াশিংটনকে যুদ্ধে সরাসরি জড়াবে এবং রাশিয়াকেও প্রতিশোধের প্ররোচনা দেবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের এক হাজারতম দিনে এসে রাশিয়ার দখলে চলে গেছে দেশটির ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার সাথে সাথে পশ্চিমা সমর্থনের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহের মধ্যেই এ হামলা চালালো ইউক্রেন।
জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়েস তার দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্য ৪২ দেশের দেয়া বিবৃতি পড়ে শুনিয়েছেন, যেটিতে ইউক্রেনের ভূখণ্ডকে রাশিয়ার 'অবৈধ সংযুক্তির প্রচেষ্টা' প্রত্যাখ্যান করে এবং অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি নতুন পারমাণবিক মতবাদে স্বাক্ষর করেছেন, যা ওয়াশিংটনের জন্য সতর্কতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। এটির অধীনে রাশিয়া তার আঞ্চলিক অখণ্ডতার হুমকিস্বরূপ আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
ওয়াশিংটন বলেছে, পারমাণবিক মতবাদের আপডেট কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়। তারা রাশিয়ার এ ধরনের 'দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যকে' প্রত্যাখ্যান করেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে