বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের বেড়াজালে ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর
দুই বছর আগে প্রতিবেশী ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধ এখনো চলছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো বিশ্বাস করেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে পারবেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের নতুন মূল্যায়নে এ কথা বলা হয়েছে। এই দুই বছরের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধে ইউক্রেনকে পরাজিত করার, ইউক্রেনে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এখনো করে চলছেন পুতিন। বরং রুশ প্রেসিডেন্টকে এক বছর আগের তুলনায় এখন এই যুদ্ধজয় নিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আশাবাদী বলে মনে হয়। পুতিনের এমন আশাবাদের পেছনে রয়েছে ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বিল পাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা, রণক্ষেত্রে কিয়েভের সীমিত সাফল্য, সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকার দখলের মতো বিষয়। আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ রুশ বাহিনী নেয়ার পর পুতিন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণ চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দেন।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেন, তারা মনে করেন না যে, ইউক্রেনকে পরাধীন করার সর্বোচ্চ লক্ষ্য রাশিয়া পরিত্যাগ করেছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের কোনো সুস্পষ্ট মধ্যমেয়াদি কৌশল আছে বলে মনে করেন না পশ্চিমা কর্মকর্তারা। পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল রাশিয়ার; কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময় ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চল দখল করতে সক্ষম হয় রাশিয়া। তবে ২০২৩ সাল থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থির অবস্থায় রয়েছে। যুদ্ধকালের এই সময়ে ব্যাপক বদল এসেছে রাশিয়ার চিত্রপটে। বদলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। অবশ্য এ বদলের ধারা শুরু হয়েছিল বেশ আগেই।
রাশিয়ার যুদ্ধ ইউক্রেনে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে নিয়ে গেছে। রুশ সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতিটাও কম হয়নি। রাশিয়ার শহরগুলোতেও কামানের গোলা ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির লাখো মানুষকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর বড় ঘটনা ছিল, ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের বিদ্রোহ। এরপর এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। এ ছাড়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যুদ্ধের দুই বছরের মাথায় এসে এখন পুতিনের সবচেয়ে বড় সমালোচক নাভালনির মৃত্যু হলো। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের বাঁকবদলের একটি মুহূর্ত। যে পথ ধরে এ মুহূর্তের অবতারণা হয়েছে, তা-ও পরিষ্কার। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। ওই বছরেই পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে প্রথম সামরিক অভিযান চালায় মস্কো। এরপর ২০২০ সালে নাভালনির ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়।
পরের বছর ২০২১ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর আগেও রাশিয়ায় দমন-পীড়ন চালাত সরকার। এখন তা বাড়ছে। ভ্লাদিমির পুতিনের কথা বলতে গেলে যুদ্ধের এই দুই বছরে দেশে ও বিদেশে শত্রু দমনে তাকে দিন দিন আরও আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়সংকল্প মনে হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আর ইউক্রেন যুদ্ধকে পুরো পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে তুলে ধরেছেন। পুতিনের ভাষ্য, এটা রাশিয়ার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। কীভাবে ও কখন এর সমাপ্তি হবে? তা সময়ই বলে দেবে। লর্ড রবার্টসনের মতে, একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পরাশক্তি হিসেবে ধরা হতো।
তবে আজকের দিনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেই অবস্থানের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে কোনো দাবি করতে পারে না রাশিয়া। ন্যাটোর সাবেক প্রধান বলেন, এ অবস্থার জন্য কিছুটা দায়ী পুতিনের অহংবোধ। কিছু কিছু সময় পশ্চিমাদের দুর্বলতা, বিভিন্নভাবে পুতিনেরও উসকানির মুখে পড়া এবং তার বাড়তে থাকা অহংবোধ মিলিয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এ কারণেই একসময় ন্যাটোর দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাওয়া পুতিন এখন এই জোটকে হুমকি হিসেবে দেখেন। রুশ কর্মকর্তাদের দাবি, ইউরোপের পূর্ব দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের কারণেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তারা ক্রেমলিনকে দেয়া ন্যাটোর একটি প্রতিশ্রুতি ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন। বলা হয়ে থাকে, সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষের দিনগুলোতে ন্যাটো বলেছিল, সোভিয়েতের অধীন থাকা দেশগুলোকে তাদের জোটভুক্ত করা হবে না। লর্ড রবার্টসন বলেন, এ নিয়ে কাগজে-কলমে কিছু লেখা নেই। এমন কোনো বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। কোনো চুক্তিও নেই। তবে পুতিন নিজেই ২০০২ সালের ২৮ মে রোম ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছিলেন।
ওই ঘোষণায় আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও অন্য কোনো দেশে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছিল। তাতে পুতিন স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি অন্য কাউকে দোষ দিতে পারেন না। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ মনে করতেন, তার ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়’ অনেক বেশি সক্রিয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মনে করতেন, তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এবং এ জন্যই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ তাকে তার সরকারি অবকাশযাপন কেন্দ্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। আড়াই দশক ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যাপারে পশ্চিমা নেতারা মনে করেন, তারা ক্রেমলিনের নেতার কৌশল সম্পর্কে ভালোই বুঝতে পারেন।
তারা এই যুক্তিও দেখান যে আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ একটা অবস্থানে থাকার দাবি রাখে; কিন্তু দুই বছর আগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেনে হামলা করে বসার পর তার সম্পর্কে পশ্চিমাদের সব ধ্যান-ধারণা উল্টে যায়। ২০১৯ সালের আগস্টে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁর বাসভবন মেডিটারিয়ান ফোর্ট দে ব্রেজানকোঁতে তার স্ত্রী ব্রিজিতের হাত থেকে ফুল নিতে সিঁড়ি বেয়ে ওপরের দিকে উঠতে থাকা পুতিনের হাস্যোজ্জ্বল ছবি এখন তাদের কাছে দূর অতীতের কোনো বিষয়। প্রথম শীতে আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহর দখলে নেয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণে পুতিন ব্যর্থ হলেও তিনি এখন ক্রমেই আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ইউক্রেনের বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ এবং দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে দেখে বেশ খোশমেজাজে আছেন তিনি। মস্কোর জন্য একটি প্রতীকী বিজয় হচ্ছে, কয়েক মাস যুদ্ধের পর গত সপ্তাহে পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর আভদিভকা রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
একই সঙ্গে রাশিয়ার পুতিনবিরোধীদের জন্য বড় একটি ধাক্কাও এসেছে। পুতিনের কড়া সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি আর্কটিক কারাগারে মারা গেছেন। তার দল বলছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এটা সত্য, প্রেসিডেন্ট পুতিন এখন এ কারণে আত্মবিশ্বাসী যে তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। তাই তাকে ভুল প্রমাণ করার মতো কিছু একটা করে দেখানো আমাদের দায়িত্ব। পুতিন ক্রমেই আত্মবিশ্বাসী বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। গত ডিসেম্বরে তিনি বিবৃতিতে বলেছিলেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নেই। সম্প্রতি বিতর্কিত ডানপন্থি মার্কিন টিভি সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় প্রকৃত অর্থে অসম্ভব।
পশ্চিমা নেতারা পুতিনের এই বক্তব্যের জোরালো জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করাই হচ্ছে তাদের একমাত্র বিকল্প। গত মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইউরোপের অগ্রাধিকার হতে হবে রাশিয়াকে জিততে না দেয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কারণ, দেশটির অস্ত্রশস্ত্র ফুরিয়ে গেলে যুদ্ধের গতি বদলে যেতে পারে; কিন্তু এই সমর্থন ও সহায়তা নিশ্চিত করা এখন অনেক জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, মার্কিন আইন প্রণেতারা একটি নতুন সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। পুতিন চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয়ের অপেক্ষা রয়েছেন। ইতিমধ্যে ইউরোপে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির (সিএনএএস) জ্যেষ্ঠ ফেলো আন্দ্রেয়া কেন্ডাল-টেলর বলেন, এটি উভয় পক্ষের আক্রমণাত্মক ক্ষমতা পুনর্গঠনের প্রতিযোগিতা। টেলর বলেন, পশ্চিমা তহবিল না এলে এবং রাশিয়া কিছু সুবিধা পেলে আখেরে মস্কোর আরও বেশি কিছু অর্জন করার সম্ভাবনা দেখা দেবে। তিনি বলেন, উৎসাহ-উদ্দীপনা স্থানান্তর হয়ে গেছে। ইউক্রেন যদি ২০২৪ সালে তাদের সীমানা ধরে রাখতে পারে এবং নতুন সরঞ্জাম সহায়তা পেলে ২০২৫ সালে তারা রাশিয়ার ওপর আরও চাপ তৈরি করতে পারেবে। তাই বুঝাই যাচ্ছে, পুতিনের দিক থেকে ২০২৪ সাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। তিনি ২০২৩ সালে স্পষ্টই ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আবার নির্বাচিত হলে সেই যুদ্ধ এক দিন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, উগ্র ডানপন্থি দলগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নরম অবস্থান নিতে পারে।
ফ্রান্স ও জার্মানিতে ইতিমধ্যে ডানপন্থিদের সমর্থন বেড়েই চলেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর পলিটিক কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা তাতিয়ানা স্ট্যানোভায়া বলেছেন, পশ্চিমের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের গতিপথ রাশিয়ার পক্ষে ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য পুতিন ২০২৪ সালকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পুতিন ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় সাময়িক ছেদ আশা করছেন। গোলাবারুদ উৎপাদন ২০২৫ সালের প্রথম দিকে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সামনে মার্কিন নির্বাচন। এ অবস্থায় কিয়েভকে সমর্থন করার মতো ভূরাজনৈতিক কৌশলের দিকে যুক্তরাষ্ট্র কম নজর দিতে পারে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ফলে কিয়েভের সমর্থনে তাদের ক্ষতি পূরণ দেয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে রাশিয়ার অর্থনীতি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। সংঘাতের মধ্যে জনসাধারণের মধ্যে ক্লান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাশিয়া বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে।
পশ্চিমারা বলছে, এ পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষে ৩ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছে। সুতরাং রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা পশ্চিমাদের কিছুটা আশান্বিত করতে পারে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেন, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা পুতিনের জন্য সত্যিই উদ্বেগের কারণ হতে পারে। প্রতিরক্ষা ও নিরাত্তায় সরকারের বিপুল ব্যয় রাশিয়ার অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি কিছু বাস্তব সমস্যা সৃষ্টি করেছে। কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের জ্যেষ্ঠ ফেলো ডারা ম্যাসিকট বলেন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতায় ভারসাম্য রক্ষায় পুতিনকে অনেক সময় দিতে হচ্ছে। তবে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমা সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন আলোচনা-সমঝোতার ক্ষেত্রে কোন অবস্থানে থাকবে- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে