নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবার ভিটো না দিয়ে বরং ভোটদানে বিরত থাকার মাধ্যমে তার আগের অবস্থান পরিবর্তন করার পর এ প্রস্তাব পাস হল।
সোমবার (২৫ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর বাকি ১৪ সদস্যই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য এই প্রস্তাব এনেছিল।
এই সদস্যদের মধ্যে আছে আলজেরিয়া। জাতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত অমর বেনজামা নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির পর বলেছেন, “ফিলিস্তিনের জনগণ অনেক দুর্ভোগ পোহিয়েছে। রক্তক্ষয় দীর্ঘসময় ধরে চলছে। অনেক বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই এই রক্তক্ষয় বন্ধ করার দায়বদ্ধতা আমাদের আছে।”
গাজায় গতবছর অক্টোবরে যুদ্ধের শুরু থেকেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো নিয়ে একমত হওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল।
যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়ে এর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা একের পর এক প্রস্তবনার বিরোধিতা করেছে। ভোটাভুটিতে ভিটো দিয়ে মিত্র ইসরায়েলের রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবনায় এমনকি ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি ব্যবহারেরও বিপক্ষে ছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) তারা প্রথমবারের মতো নিজস্বভাবে আনা খসড়া প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি শব্দটি ব্যবহার করে।
এরপর সোমবার (২৫ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবনায় যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থেকে মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ারই ইঙ্গিত দিয়েছে। গাজায় যুদ্ধে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনের মৃত্যুর পর বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। এতে গাজায় রোজার মাসের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে নিরাপত্তা পরিষদের পথ সুগম হয়।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, 'প্রথম জিম্মি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বেই শুরু হতে পারে। ফলে আমাদেরকে সেটি করার জন্য হামাসকে চাপ দিতে হবে।'
যুক্তরাষ্ট্র গাজায় আরও সাহায্য সরবরাহ করতে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকেও চাপ দিচ্ছে। গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টির জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে জাতিসংঘ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে