Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

ব্যাটারিচালিত অবৈধ যান চলাচল জরুরি বন্ধ করা হোক

Editorial  Desk

সম্পাদকীয় ডেস্ক

শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকে ছেয়ে গেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের রাস্তাঘাট। অথচ ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৪০ লাখ ব্যাটারিচালিত যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এসব যান আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবু হাইকোর্টের এই নির্দেশনা অমান্য করে দেশের অলিগলিসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে চলছে এসব যানবাহন। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি, যা দেশের জন্য উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ২০ শতাংশই ঘটে ব্যাটারিচালিত যানের মাধ্যমে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব অবৈধ যান চলছে কীভাবে? বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এসব যান বন্ধ না হওয়ার পেছনে রয়েছে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও শক্তিশালী সিন্ডিকেট। জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় নেতা, চাঁদাবাজ, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও। এসব অবৈধ যানচালকরা বলছেন, তারা নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে একটি করে টোকেন নিচ্ছেন, এরপর নির্বিঘ্নে চালাচ্ছেন তাদের অবৈধ যান। আমরা বলব, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করে এসব অবৈধ যান চলাচল দ্রুত বন্ধ করা হোক।

মাঝে মধ্যে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব অবৈধ অটোরিকশা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে; কিন্তু অভিযানের পরের দিন থেকে রাস্তায় আবার অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়, যা অনভিপ্রেত।

এমনকি ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে ঢাকার মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার পাঁচটি পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়েছিল রিকশাচালকরা। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। ভেঙে ফেলেছেন রাস্তায় থাকা একটি মোটরসাইকেল।

গত এক দশকে প্যাডেলচালিত রিকশায় ব্যাটারি সংযোজন করার প্রবণতা বেড়েছে। জেলা শহরগুলোতে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য। প্যাডেলচালিত রিকশা তেমন দেখাই যায় না কোথাও।

রিকশাচালকরা বলছেন, ব্যাটারিতে বাহন চললে শারীরিক কষ্ট কম হয়। তা ছাড়া তুলনামূলক দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়, আবার একই সময়ে বেশি ভাড়া পাওয়া যায়। তবে প্রশাসন এ বিয়ষটিতে আপত্তি জানাচ্ছে। পুলিশ প্রায়ই তাদের বাধা দেয়। আবার এসব রিকশা থেকে টাকা পেলে চলার সুযোগ দেয়া হয়।


প্রতিটি ইজিবাইক ও অটোরিকশায় একাধিক ব্যাটারি থাকে। দিন শেষে এই ব্যাটারিগুলো সারা রাত ধরে চার্জে রাখা হয়। এ-জাতীয় বাহনগুলো তাই ব্যবহারকারীরা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগে চার্জ করেন। ফলে বিশেষজ্ঞরা সামাজিকভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি সৃষ্টির জন্য এই বাইকগুলোকে কিছুটা দায়ী করে থাকেন। এসব যান বন্ধ করলে বিদ্যুতেরও সাশ্রয় হবে। অবশ্য এসব যান চলাচল বন্ধ করার আগে ভাবতে হবে এখানে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের রুটিরুজির কথাও। তাই কর্তৃপক্ষকে শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের বিকল্প খুঁজতে হবে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ