Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

গভীর সমুদ্রে জ্বালানি সম্পদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

Dr. A S M  Woobaidullah

ড. এ এস এম ওবায়েদ উল্লাহ

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গ্যাস বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। ভূপ্রাকৃতিক কারণেই বাংলাদেশ গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ যদি প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ না হতো, তাহলে আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পরত। উন্নয়নের গতি হতো মন্থর। পৃথিবীর মধ্যে যেসব দেশে খননকার্যের বিবেচনায় গ্যাস প্রাপ্তির সাফল্য সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ তাদের মধ্যে শীর্ষ রয়েছে। ৫টি কূপ খনন করলে আমাদের এখানে তিনটিতেই গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এটা সম্ভবত এ কারণে হচ্ছে যে, বাংলাদেশ অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা মোটামুটি নিশ্চিত হবার পরই কূপ খনন কার্য শুরু করে। ফলে সাফল্যের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ২৯টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত হলেও এর মধ্যে মাত্র ২০টি গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে। এসব গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে, তা দৈনিক চাহিদার তূলনায় ১১০ কোটি ঘনফুট কম। বর্তমানে এসব গ্যাস ক্ষেত্রে থেকে প্রতি দিন ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। আর জাতীয়ভাবে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা হচ্ছে ৪১০ কোটি ঘনফুট। চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে বিদ্যমান এই ফারাকের কারণে বাসাবাড়ি এবং শিল্প-কারখানায় চাহিদা মতো গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। আগামীতে যদি নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত না হয়, তাহলে বিদ্যামান গ্যাস ফিল্ড থেকে যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে, তা দিয়ে দেশের আগামী ৮ থেকে ১০ বছরের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। তাই নতুন গ্যাস ফিল্ড অনুসন্ধান ও গ্যাস উত্তোলনের কোনো বিকল্প নেই।

এক্ষেত্রে গভীর সমুদ্র আমাদের জ্বালানি সম্পদের জন্য নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে, যাদের বেষ্টন করে কোনো সমুদ্র নেই। কাজেই তারা চাইলেই সমুদ্রসীমা থেকে জ্বালানি বা অন্য কোনো সম্পদ আহরণ করতে পারে না। কবছর আগে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি ঘটনা। কারণ সমুদ্রসীমা চিহ্নিত এবং নির্ধারিত না থাকলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বিবাদের আশঙ্কা থাকে। বিবাদপূর্ণ অঞ্চল থেকে সম্পদ আহরণ করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো দেশেই আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উপেক্ষা করে অন্য দেশের সমুদ্রসীমা কোনো ধরনের সম্পদ আহরণ করতে পারবে না। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন, বাংলাদেশের আওতাভুক্ত সমুদ্রসীমায় প্রচুর পরিমাণ গ্যাস এবং জ্বালানি তেল পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার ইতিমধ্যেই তাদের নির্ধারিত সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তাদের সাফল্যের হারও উল্লেখ করার মতো। কাজেই আশা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাতেও প্রচুর পরিমাণ গ্যাস, এমনকি জ্বালানি তেলও পাওয়া যেতে পারে।

এক সময় বিদেশি কোম্পানিগুলো বলত, বাংলাদেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে; কিন্তু পরবর্তীতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, সেটা ছিল নিশ্চতভাবেই প্রচারণা মাত্র। এর কোনো সত্যতা নেই। অদূর ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনো গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত না হয়, তাহলে বর্তমানে উৎপাদনরত যে ২৯টি গ্যাসফিল্ডে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে, তা দিয়ে আগামী ৮ থেকে ১০ বছরের বর্ধিত চাহিদা মেটানো যেতে পারে। কাজেই দ্রুত আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, যদি দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়, তাহলে অবশ্যই নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হবে।

একই সঙ্গে ইতিমধ্যে যে সব গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে সেখানেও অনুসন্ধান ও নতুন কূপ খনন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। পুরোনো গ্যাস ফিল্ডে নতুন কূপ খনন করে গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের উদ্যোগ নিলে সেখানে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হবে। কারণ এসব গ্যাসফিল্ডে অবকাঠামো নির্মাণ করাই আছে। কাজেই নতুন করে তেমন কোনো কিছু তৈরি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে গ্যাস উত্তোলনের জন্য ব্যয় হবে তুলনামূলকভাবে কম। এটা নিশ্চিত যে, যদি দ্রুত গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে আগামীতে আমরা ভয়াবহ জ্বালানি সংকটে পড়তে যাচ্ছি। স্থলভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সমুদ্রসীমায় গ্যাস ও জ্বালানি তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের উদ্যোগ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হবার ফলে এখন সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান নেই।

আশার কথা ভারত এবং মিয়ানমার তাদের চিহ্নিত সমুদ্রসীমায় এরই মধ্যে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশ দুটি ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করেছে। ভারতের নির্ধারিত সমুদ্রসীমা এবং মিয়ানমারের নির্ধারিত সমুদ্রসীমার মাঝখানে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অবস্থান। মিয়ানমার তার সমুদ্রসীমায় গ্যাস পেয়েছে এবং তারা উত্তোলন শুরু করেছে। আমাদের দুপাশে যদি তেল-গ্যাস পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের নির্ধারিত সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস না পাবার কোনো কারণ থাকতে পারে না। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে হবে; কিন্তু বাংলাদেশ সুমদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কখন শুরু করবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ এখানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। একটি মহল চাচ্ছে অভ্যন্তরীণভাবে গ্যাসের অনুসন্ধান ও উত্তোলনের পরিবর্তে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে। কারণ এতে কমিশন লাভের সুযোগ থাকে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন আছেন। এখনই উপযুক্ত সময় অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে গ্যাস ও জ্বালানি তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কার্যক্রম জোরদার করার। রাজনৈতিক সরকার আমলে ভালো অনেক সিদ্ধান্তও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়। তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। কাজে এখনই কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে হলে প্রথমেই আমাদের এ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। এটা বেশ সময় এবং ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। বিদেশি একটি কোম্পানি বিনামূল্যে সমুদ্রসীমায় কি পরিমাণ তেল-গ্যাস থাকার সম্ভাবনা আছে তা জরিপ করতে চেয়েছিল। তারা জরিপ করে যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে তার কিছু আমাদের দেবে। অবশিষ্ট অংশটুকু তারা নেবে; কিন্তু এই জরিপ করতে দেয়া হয়নি। জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে এতদিন আমরা এর ফল পেয়ে যেতাম। বিদেশি কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান যদি সমুদ্রসীমার তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য চুক্তি করতে চায়, তাহলে তারা প্রথমেই এ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত পেতে চাইবে। কারণ তথ্য-উপাত্ত না থাকলে তারা তো অনিশ্চিত অবস্থায় তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য দায়িত্ব নেবে না। তারা প্রথমেই নিশ্চিত হতে চাইবে কোন অঞ্চলে কতটুকু গ্যাস বা তেল আছে। সে অনুযায়ী তারা চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

এখন প্রশ্ন হলো, যারা বা যে কোম্পানি তথ্য অনুসন্ধান করবে তাদের লাভটা কী? তাই জরিপের মাধ্যমে যে তথ্য-উপাত্ত পাবে, তা সংশ্লিষ্ট তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানির নিকট বিক্রি করতে পারবে। তেল-গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে হলে প্রধমেই এ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হয়। কারণ সঠিক তথ্য-উপাত্ত থাকলেই আমরা বুঝতে পারব কোন এলাকায় গ্যাস বা তেল পাবার সম্ভাবনা বেশি। বিদেশি কোম্পানি নিশ্চয়ই অনুমানের ওপর নির্ভর করে কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাইবে না। বিদেশি জরিপ প্রতিষ্ঠান তেল-গ্যাসের মজুদ নিশ্চিত হবার জন্য তথ্যানুসন্ধান চালানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল।

কারণ এ জন্য আমাদের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হতো না; কিন্তু মহল বিশেষের অনীহার কারণে সেই উদ্যোগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যে মহলটি এই উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দেয়া তারা দেশের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থকে বড় করে দেখে। এই মহলটিই অভ্যন্তরীণভাবে গ্যাস বা তেলের অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের পরিবর্তে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির প্রতি বেশি আগ্রহী। বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কোম্পানির মাধ্যমে তেল-গ্যাসসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। তথ্য সংগৃহীত হবার পর সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্টের ভিত্তিতে এটা করা যেতে পারে। আর একটি বিষয়ও করা যেতে পারে।

বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাসসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তাদের বলা যেতে পারে, যদি তেল-গ্যাসের মজুদ আছে বলে তথ্য পাওয়া যায় তাহলে যখন আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হবে তখন তাদের কোম্পানিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্লক ইজারা দেয়া হবে। সুমদ্রসীমা চিহ্নিত হবার পর তা অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার কোনো মানে থাকতে পারে না। সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস পাওয়া গেলে আগামীতে আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো যেত।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম গতি লাভ করছে তাতে আগামীতে আমাদের তীব্র জ্বালানি সংকটে পতিত হতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচলিত জ্বালানির উৎসের পাশাপাশি অপ্রচলিত সূত্র থেকে জ্বালানি আহরণের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটি বিকল্প হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে তাদের জ্বালানি চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করছে; কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলতে কার্যত সোলার এনার্জিকেই বোঝায়। সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য প্রচুর জায়গার প্রয়োজন হয়। আমরা সেই জায়গার ব্যবস্থা করতে পারব না। সোলার এনার্জি সাধারণত কম ঘন বসতিপূর্ণ দেশের জন্য উপযোগী।

সোলার এনার্জি সীমিত পরিসরে উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি বায়ু এবং সমুদ্রের ঢেউ, শ্রোত থেকে জ্বালানি শক্তি আহরণের চেষ্টা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে বিশাল সমুদ্র। এখানে আছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবাহিত বাতাসকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বায়ু কখনো নিঃশেষ হবে না। তাই অনন্তকাল ধরে বায়ু বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেভাবেই হোক আমাদের নিজস্ব সূত্র থেকে জ্বালানি চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে জ্বালানির চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করা না গেলে বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে হবে; কিন্তু এ জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে তা সংকুলান করা আমাদের পক্ষে কঠিন হবে।

ড. এ এস এম ওবায়েদ উল্লাহ: সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অনুলিখন: এম এ খালেক

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ