গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চায় যুক্তরাষ্ট্র, নীতি পরিবর্তনের হুমকি
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জোরালো নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ত্রাণকর্মী এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় ইসরায়েলকে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে বলেছে দেশটি।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, 'বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি, মানবিক দুর্ভোগ এবং ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষা মোকাবিলায় ইসরায়েলের জন্য বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট, বাস্তবধর্মী এবং পরিমাপযোগ্য পদক্ষেপের ঘোষণা ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জো বাইডেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন-ইসরায়েলের নেয়া তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতিতে বাইডেন প্রশাসনের সুরে পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত বাইডেন ইসরায়েলকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছিলেন, এমনকি যখন অন্যান্য দেশ ইসরায়েলের উপর আরও চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল তখনও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের শর্ত আরোপের ইঙ্গিত দিল।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের একটি গাড়িবহরে ইসরায়েল হামলা চালায়। সেই হামলায় সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হয়। এ ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনালাপে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে ওই ফোনালাপের পর এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি ইসরায়েল-গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতিতে কী পরিবর্তন আনবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি বলেন, 'আগামী কয়েক ঘণ্টা ও দিনগুলোতে' ইসরায়েলি পদক্ষেপের ঘোষণা ওয়াশিংটন দেখতে পাবে বলে আশা করছে।
এদিকে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে ইসরায়েল সরকার। বৃহস্পতিবার তারা বলেছে, তারা গাজা যুদ্ধে কৌশল পরিবর্তন করবে এবং গাড়িবহরে হামলার ঘটনার তদন্তের ফলাফল শীঘ্রই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে