সরাসরি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আপডেট ২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতোমধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। জয়ের জন্য ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোটের দরকার হলেও তার অন্তত ২৯৫টি ভোট নিশ্চিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমালা হ্যারিসের পক্ষে ২২৬টি ভোট। সেনেটের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে যাওয়ার পূর্বাভাস। পরাজয় মেনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচনের সর্বশেষ আপডেট জানতে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’ এর সঙ্গেই থাকুন।
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকার বাইডেনের
মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেন থেকে তিনি এ ভাষণ দেন।
তিনি আমেরিকানদেরকে ‘উত্তাপ কমানোর’ আহ্বান জানান এবং ট্রাম্পের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তনে উদ্বিগ্ন ডেমোক্র্যাটদেরকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, “পিছিয়ে পড়াটা অনিবার্য হতে পারে। তবে হাল ছেড়ে দেওয়া অমার্জনীয়। একটা পরাজয়ের মানেই এই নয় যে, আমরা পরাজিত হয়ে গেছি। আমরা এই যুদ্ধে পরাজিত হয়েছি, কিন্তু আপনাদের স্বপ্নের আমেরিকাই আপনাদের ডাকছে আবার উঠে দাঁড়ানোর জন্য।”
“আমি আশা করি আমরা এটা করতে পারি। আপনি কাকে ভোট দিয়েছেন সেটি কোনও ব্যাপার না। আমরা অপর পক্ষকে প্রতিপক্ষ হিসাবে নয় বরং একজন আমেরিকান হিসাবে দেখতে পারি। উত্তাপ কমিয়ে আনুন।
“আমি এও আশা করি যে, আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতির সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকেও আমরা বিরত থাকতে পারি। নির্বাচন পদ্ধতি সৎ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ। এ নির্বাচনে হার-জিতের ওপর আস্থা রাখা যেতে পারে।”
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করতে মোদী-ট্রাম্প প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে প্রথম ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী।
প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আবার একসঙ্গে কাজ করার জন্য দুই নেতাই কথা বলেন।
ফোনে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের সম্পর্কের আগামী দিন নিয়ে এই ফোনালাপে কথা হয়। এই জয়ের জন্য ফোনে প্রথমেই মোদী, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা জানান। দুই রাষ্ট্রনেতাই বিশ্ব শান্তি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, গোটা বিশ্ব মোদীকে ভালোবাসে। এমনই তথ্য সূত্র মারফৎ উঠে আসছে। তাছাড়াও এই কথপোকথনে তিনি বারবার নরেন্দ্র মোদীর স্তূতি করেন। সূত্র বলছে, মোদীর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন,'ভারত একটি দারুন দেশ, প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন দারুন মানুষ।' এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, মোদীর উদ্দেশে বলেন,তিনি মোদীকে ও ভারতকে ‘সত্যিকারের বন্ধু’ মনে করেন। ট্রাম্প জানান, মোদীই প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও দেশের নেতা যিনি ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি লেখেন, ‘আমার বন্ধু, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি দুর্দান্ত কথোপকথন হয়েছে, তাঁর দর্শনীয় বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য আবার একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’ এর আগেও, ভারতীয় সময় অনুযায়ী এদিন সকালেই মার্কিন ভোটের ফলাফলের ট্রেন্ড সামনে আসে। তখনই দেখা যায় আমেরিকায় প্রেসডেন্ট পদের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। মোদীর তরফে তখনই ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে এক্স পোস্ট করা হয়। মোদী তাঁর পোস্টে লেখেন,' আমার বন্ধুকে আন্তরিক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দ।আপনার ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য। আপনার পূর্ববর্তী মেয়াদের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আমি ভারত-মার্কিন ব্যাপক বৈশ্বিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সহযোগিতার পুনর্নবীকরণের জন্য উন্মুখ। আসুন একসাথে, আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।'
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর আমেরিকানদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার আমেরিকানদের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেবেন, যেখানে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেবেন।
বাইডেন হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ ভাষণ দেবেন। ভাষণে তিনি ‘নির্বাচনের ফলাফল ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ নিয়ে আলোচনা করবেন।
৮১ বছর বয়সী বাইডেন জুলাই মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং ডেমোক্র্যাটিক মনোনয়ন কমালা হ্যারিসকে দেন।
নির্বাচনে হারলেও ফলাফল মেনে নিয়েছি: হ্যারিস
মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।
বুধবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমি জানি এবং বুঝতে পারছি যে আপনারা এইমুহূর্তে হতাশা বোধ করছেন। কিন্তু, আমাদের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে হবে।’
হ্যারিস জানান, নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সমর্থকদের হতাশ না হওয়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে হেরেছি, কিন্তু আমাদের লড়াই চলমান।’
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিশেষ কাউন্সেল প্রসিকিউটররা ফৌজদারি মামলাগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাম্প কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ায় এসব মামলা আর ট্রায়াল কিংবা বিচার পর্যায়ে যেতে পারবে না।
একবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসলে, বিচার বিভাগের নীতি অনুযায়ী বিশেষ কাউন্সেল তার বিরুদ্ধে আর কোন আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। এই পদক্ষেপটি প্রাথমিকভাবে নেয়া হয়েছে যাতে ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের পর বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথকে অপসারণ করতে না পারেন, যেটি ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণায় প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
যদিও কিছু মামলা এখনও চলমান, বিশেষ করে ট্রাম্পের গোপনীয় নথি সংরক্ষণ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা। তবে এসবও বন্ধ করার উদ্যোগ নেবে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি জেনারেল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কমলা হ্যারিসের অভিনন্দন
প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ায় ডোনাল্ড জে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ট্রাম্পকে ফোন করে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
সিবিএস নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমলার সহযোগী। ওই ফোনকলে হ্যারিস শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি তিনি ট্রাম্পকে সব আমেরিকানদের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প
চার বছর আগে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, ইউএস ক্যাপিটলে সহিংস বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং দু’বার হত্যাচেষ্টার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন- এমন একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত উইসকনসিন রাজ্যে জয়ের মাধ্যমে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের চেয়ে বেশি অর্জন করে ফেলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই জয় রাজনীতির প্রতি তার নগ্ন মনোভাবকে বৈধতা দেয়। ট্রাম্প তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে প্রায়শই নারীবিদ্বেষী এবং বর্ণবাদী ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছিলেন, যখন সহিংস অভিবাসীদের দ্বারা উপচেপড়া দেশের রহস্যজনক চিত্র তুলে ধরেছিলেন। অতিপুরুষত্ব যুক্ত তার এসব নির্বাচনী বক্তৃতাটি ভোটারদের একাংশকে ক্ষুব্ধ করলেও অনুরণিত হন অন্য অংশ, বিশেষত পুরুষরা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফেডারেল সরকারকে ঢেলে সাজানো এবং তার কথিত শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ না নেয়ার নাটকীয় এজেন্ডা অনুসরণেরও অঙ্গীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির দাবির পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি একদল সমর্থক ইউএস ক্যাপিটলে হামলা চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চার বছরের মধ্যেই রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূরে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এর ওপরে পণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ পুঁজি করে পরাজিত করেছেন ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে।
প্রমাণ ছাড়াই অবৈধ অভিবাসনের কারণে অপরাধ বৃদ্ধির দাবিও ট্রাম্পের এই জয়ের পেছনে সহায়তা করেছে- মন্তব্য বিশ্লেষকদের।
এদিকে কমলা হ্যারিস আলমা ম্যাটার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হওয়া তার সমর্থকদের সাথে কথা বলেননি। তার প্রচারণা শিবিরের কো-চেয়ার সেড্রিক রিচমন্ড মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতের পর সংক্ষিপ্তভাবে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বুধবারের (৬ নভেম্বর) পরে জনসমক্ষে কথা বলবেন কমলা।
মার্কিন নির্বাচন: ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
হোয়াইট হাউস ছাড়ার ৪ বছর পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেছেন বলে ফক্স নিউজে প্রচার চালানোর পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়ার বন্যা বইতে শুরু করেছে। তাকে সম্ভাব্য বিজয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
ভলোদিমির জেলেনস্কি, প্রেসিডেন্ট, ইউক্রেন
অভিনন্দন বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘বৈশ্বিক বিষয়ে ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতির প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অঙ্গীকারের আমি প্রশংসা করি। এক্স-এ দেয়া পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি ঠিক সেই নীতি, যা কার্যত ইউক্রেনে ন্যায়সঙ্গত শান্তি আনতে পারে।’
কেয়ার স্টারমার, প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার টুইটে লেখেন, ‘নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন। সামনের বছরগুলোতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। নিকটতম মিত্র হিসেবে আমরা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উদ্যোগের অভিন্ন মূল্যবোধ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছি।’
মার্ক রুট, সেক্রেটারি জেনারেল, ন্যাটো
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছি। তার নেতৃত্ব আবার আমাদের জোটকে শক্তিশালী রাখার চাবিকাঠি হবে। ন্যাটোর মাধ্যমে শক্তির মাধ্যমে শান্তি এগিয়ে নিতে আমি আবারও তার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রধানমন্ত্রী, ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক্স-এ লেখেন, ‘ইতিহাসের সেরা প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন! হোয়াইট হাউসে আপনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য একটি নতুন সূচনা এবং ইসরায়েল ও আমেরিকার মধ্যে মহান মৈত্রীর প্রতি একটি শক্তিশালী পুনর্ব্যক্ত এনে দেবে। এ এক বিশাল বিজয়! সত্যিকারের বন্ধুত্বে।’
ইমানুয়েল মাখোঁ, প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্স
অভিনন্দন জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক্স-এ লেখেন, ‘একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, যেমনটি আমরা জানতাম, চার বছর ধরে কীভাবে করতে হয়। তোমার বিশ্বাসের সঙ্গে এবং আমার বিশ্বাসের সঙ্গে। সম্মান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে। আরও শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য।’
ইতামার বেন-গভির, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী, ইসরায়েল
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, ‘হ্যাঁ, ঈশ্বর ট্রাম্পের মঙ্গল করুন’।
দিমিত্রি মেদভেদেভ, সাবেক প্রেসিডেন্ট, রাশিয়া
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন, ‘একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদের জন্য ট্রাম্পের একটি দরকারি গুণ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন হ্যাঙ্গার-অন মিত্র, খারাপ দাতব্য প্রকল্প এবং প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে অর্থব্যয় মারাত্মকভাবে অপছন্দ করেন।
কার্ল নেহামার, চ্যান্সেলর, অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। আমরা একসঙ্গে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলায় আমাদের ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারিত ও জোরদারের প্রত্যাশায় রয়েছি’।
মাত্তেও সালভিনি, উপ-প্রধানমন্ত্রী, ইতালি
‘গডোনাল্ডগো’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ জ্ঞান, আবেগ এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি বিজয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার কাজের জন্য শুভকামনা’।
নায়িব বুকেলে, প্রেসিডেন্ট, এল সালভাদর
এক্স-এ অভিনন্দন বার্তায় এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঈশ্বর আপনাকে আশীর্বাদ করুন এবং গাইড করুন’।
ভিক্টর অরবান, প্রধানমন্ত্রী, হাঙ্গেরি
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এক্স-এ পোস্ট করে বলেন, ‘মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন! বিপুল জয়ের জন্য রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন। বিশ্বের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি বিজয়।’
গির্ট উইল্ডার্স, রাজনীতিবিদ, নেদারল্যান্ড
এক্স-এ পোস্টে ডাচ রাজনীতিবিদ গির্ট উইল্ডার্স বলেন, ‘অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প! অভিনন্দন আমেরিকা! কখনো থামবেন না, সর্বদা লড়াই চালিয়ে যান এবং নির্বাচনে জিতুন!’
এ বিজয় আমেরিকাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, তার এ বিজয় আমেরিকাকে আরও শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে। এটি আমেরিকার জন্য একটি সোনালি যুগ হবে, উল্লেখ করে ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেন।
তার বক্তৃতায় কেবল ধন্যবাদ জানানোর চেষ্টাই ছিল না, বরং দেশের ভবিষ্যতের জন্য সাহসী দৃষ্টিভঙ্গিরও ঘোষণা ছিল। ট্রাম্প তার বিজয়কে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তুলে ধরেন, যা তার প্রচারণার মূল থিম ছিল এবং এটি আমেরিকার অনেক মানুষের মধ্যে গভীর সংবেদনের সৃষ্টি করেছে। তিনি নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনের মতো ফল নির্ধারণী রাজ্যের কথা উল্লেখ করেন, যা তার বিজয়ে ব্যাপক সমর্থনের প্রতিফলন বলে মনে করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে হতে যাওয়া ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প অঙ্গীকার করেন, এই জয়ের পর, আমরা আমেরিকাকে পুনরুজ্জীবিত করব।’
তিনি বিশ্বাস করেন, তার নেতৃত্বে আমেরিকা এক নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে। সিএনএন-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ট্রাম্প এখন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য মাত্র তিনটি ইলেকটোরাল ভোটের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্প আমেরিকান জনগণকে আশ্বস্ত করেন। ‘প্রতিটি দিন আমি আপনার জন্য লড়াই করব’ উল্লেখ করে তিনি আমেরিকাকে ‘সোনালি যুগে’ নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় ট্রাম্পের সঙ্গে মঞ্চে তার পরিবারের সদস্য স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্স এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসনও তার সঙ্গে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, যা মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প, আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পেতে যাচ্ছেন। বিশেষত জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে তার ২০২০ সালের পরাজয় থেকে উল্টো ফলাফল এসেছে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের জয় ছিল রিপাবলিকানদের জন্য ঐতিহাসিক রাত, যারা চার বছরের বিরোধিতার পর সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছেন। তবে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এখনো কোনো স্পষ্ট ফলাফল পাওয়া যায়নি এবং এর ফল জানার জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
২০১৬ সালের নির্বাচনের রাতে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, তা আবারও পুনরাবৃত্তি হয়েছে। হাজার হাজার হ্যারিস সমর্থক, যারা হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে জমায়েত হয়েছিলেন, তারা হতাশ ও শোকার্ত হয়ে যান যখন স্পষ্ট হয়ে যায়, তাদের প্রার্থী আর জিততে পারবেন না।
শেষ পর্যন্ত, হ্যারিস না এলেও, তার প্রচার কমিটির সহ-সভাপতি সিড্রিক রিচমন্ড আসেন এবং জনগণকে জানান যে, হ্যারিস আজ রাতে কোনো বক্তব্য দেবেন না। এদিকে জয় উদযাপনে ফ্লোরিডায় বক্তব্য দিচ্ছেন ট্রাম্প।
ফ্লোরিডায় রাতের ভাষণ দেবেন ট্রাম্প
নির্বাচনি রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ফ্লোরিডায় একত্রিত হবেন, যেখানে তারা হোয়াইট হাউসের দৌড়ে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পের জয় উদযাপন করবেন এবং সেখানে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প।
পাম বিচ কাউন্টি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ ইভেন্টে পুরুষরা ফরমাল স্যুট এবং মহিলারা গাউন পরে আসবেন।
অনেকেই ট্রাম্পের স্বাক্ষরযুক্ত লাল ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বেসবল ক্যাপ পরবেন।
মার্কিন নির্বাচন: এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে এখন পর্যন্ত যা যা ঘটেছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
উত্তর ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ায় ট্রাম্পের জয়। বাকি পাঁচটি দোদুল্যমান রাজ্যের ফল এখনো আসেনি। ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে এবং হ্যারিস সমর্থকদের মধ্যে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে।
গণতান্ত্রিক শক্ত ঘাঁটিগুলোতে জয়লাভ করেছে কমলা হ্যারিস। ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসের মতো নির্ভরযোগ্য রিপাবলিকান রাজ্যগুলো জয় করেছেন ট্রাম্প
সিনেটের দৌড়ে, টেক্সাসের রিপাবলিকান টেড ক্রুজ তার আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন, অন্যদিকে রিপাবলিকান বার্নি মোরেনো বর্তমান ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী শেরড ব্রাউনকে পরাজিত করেছেন।
ফ্লোরিডা গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ৬০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
ট্রাম্প ২৪৭, কমলা ২১৪
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ব্যবধান কমিয়ে আনছেন কমলা হ্যারিস। শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কমলার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছেন কমলা।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা পর্যন্ত) রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪৭ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ২১৪ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। এখন পর্যন্ত ৪১টি অঙ্গরাজ্যের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের হিসাব বলছে, প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়েছে কমলার। আপাতত ৪৭ শতাংশ। ট্রাম্পের কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ শতাংশ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৩০টি ও কমলা হ্যারিসের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ছিল ১৮২টি। এ সময় ব্যবধান ছিল ৪৮।
পেনসিলভানিয়ায় জিতলেই জিতে যাব : ট্রাম্প
যদি পেনসিলভানিয়ায় জিতে যান, তবে নির্বাচনে জিতে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) রাতে ফিলাডেলফিয়া রেডিও শোতে নিজের এ বিশ্বাসের কথা জানান তিনি। সেইসঙ্গে রিপাবলিকান ভোটারদের ভোট দেয়ারও আহ্বান জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, পেনসিলভানিয়ায় জিতলেই আমরা সম্পূর্ণ নির্বাচনটি জিততে পারব।
ভোটারদের উদ্দেশে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এই দেশটিকে আগের চেয়ে আরও মহান করতে যাচ্ছি। তবে আপনাদের ভোটের লাইনে থাকতে হবে। আপনাদের নিরঙ্কুশ আইনি অধিকার রয়েছে সেই ভোটের। যদি আমরা পেনসিলভানিয়া জিততে পারি, তাহলে আমরা সম্পূর্ণ নির্বাচন জিতে যাব; আমরা সবকিছু জিতে যাব।
এ সময় ট্রাম্প বলেন, এখন বড় প্রশ্ন হলো ফিলাডেলফিয়াতে আরও সমর্থন জোগাড় করতে পারব কি না। কেন না, ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যটি।
এদিকে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি বলা হচ্ছে, তার জয়ের সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ। বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে এ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
কমলা হ্যারিসের জয়ের অনিশ্চয়তা বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দোদুল্যমাণ রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই রাজ্য জয় করেই ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে চেয়েছিলেন কমলা হ্যারিস।
নির্বাচনি প্রচারের শেষ তিন দিনে এ রাজ্য সফর করেছিলেন ট্রাম্প। এ রাজ্যে হ্যারিসকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যেই তিনি এ সফর করেন।
কমলা হ্যারিসের প্রচার শাখার চেয়ারম্যান জেন ও'ম্যালি ডিলন এক নির্দেশনায় কর্মীদের বলেছেন, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের 'নীল দেয়াল' এখন ডেমোক্র্যাটদের জয়ের 'পরিষ্কার পথ’।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যথাক্রমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট অঙ্গরাজ্যগুলোতে আগাম জয় পেয়েছেন।
পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে পড়া এক সময়ের দোদুল্যমাল রাজ্য ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। টেক্সাস, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ইন্ডিয়ানার মতো রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যগুলোতে আগাম জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও ইলিনয়ের মতো ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি দখল করেছেন কমলা হ্যারিস।
এপির ভোটকাস্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো ভোটাররা যেভাবে জো বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তার তুলনায় এসব ভোটারের সমর্থন হ্যারিসের প্রতি খানিকটা কম বলে মনে হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় ট্রাম্পের সমর্থন ওই ভোটারদের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে।
দেশজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ভোটারের ওপর চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রেসির ভবিষ্যৎ হ্যারিসের সমর্থকদের জন্য প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পকে র ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন হ্যারিস। সেটিই সম্ভবত কার্যকর হয়েছে।
এতে আরও দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ডুবে রয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মূলত অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির উপর ফোকাস করছিলেন—দুটি সমস্যা যা সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণার শুরু থেকেই তুলে ধরেছেন।
ট্রাম্প জিতলে সরকারে ভূমিকা রাখতে চান মাস্ক
রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এবং বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ীদের প্রশাসনে ভূমিকা রাখার সুয়োগ দিলে ফেডারেল এজেন্সির সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
ট্রাম্পের রিসোর্ট ‘মার-এ-লাগো’ থেকে টাকার কার্লসনের অনলাইন শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, সরকারকে আরও কার্যকর করতে ট্রাম্পের পাশে থাকতে চান।
ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক বলেন, "আমাদের বিশাল আমলাতন্ত্র রয়েছে, আমাদের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।
"আমেরিকা নির্মাণে আমাদের নির্মাতা তৈরি করতে দেওয়া দরকার।”
সিনেট নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে রিপাবলিকানরা
ওহিওতে বর্তমান ডেমোক্র্যাট সিনেটর শেরড ব্রাউন পরাজিত হওয়ায় ডেমোক্র্যাটদের সিনেট ধরে রাখার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটরা এরই মধ্যে দুটি আসন হারিয়েছে, আর মন্টানায় জন টেস্টারও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। অন্য কোথাও ডেমোক্র্যাটরা নতুন করে কোনো আসন না পেলে, সিনেট রিপাবলিকানদের হাতে চলে যাবে।
এ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের জন্য আশার কোনো দৌড় খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফ্লোরিডা এবং টেক্সাস, যেখানে কিছুটা প্রতিযোগিতা ছিল, সেটিও ডেমোক্র্যাটদের জন্য প্রায় হাতছাড়া। নেব্রাস্কায়, স্বাধীন প্রার্থী ড্যান ওসবোর্ন রিপাবলিকান প্রার্থী ডেব ফিশারের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছেন, যেখানে ৬৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। তবে ওসবোর্ন জিতলেও তিনি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সিনেটে যোগ দেবেন কি না, তাও নিশ্চিত নয়।
হাওয়াই ও আলাস্কা বাদে প্রায় সব রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ
পশ্চিম উপকূলের রাজ্যগুলোসহ প্রায় সব রাজ্যই তাদের ভোটকেন্দ্র বন্ধ করেছে, কেবল হাওয়াই ও আলাস্কায় ভোটগ্রহণ চলমান। এখন পর্যন্ত অর্ধেকের বেশি রাজ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, ট্রাম্প তার দলীয় রিপাবলিকান ঘাঁটিগুলো ধরে রেখেছেন, আর হ্যারিস ডেমোক্র্যাটিক শক্তিশালী রাজ্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন।
কোনও সুইং স্টেটের ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া রয়েছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাটিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এবং ভাবা হচ্ছে এটি কমলা হ্যারিসকে ৫৪টি অতিরিক্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দেবে।
সাত দোদুল্যমান রাজ্যেই এগিয়ে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের দিকে সকলেরই দৃষ্টি থাকে। সেই রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং উইসকনসিন। এখন যে পরিস্থিতি তাতে সব কটিতে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, সাত রাজ্যের মধ্যে জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনা ট্রাম্প প্রায় নিশ্চিত জেতার পথে।
প্রেসিডেন্ট হতে গেলে কমলা হ্যারিসকে এসব রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে জিততেই হবে। তবে এ তিন রাজ্যেও এখন ট্রাম্প এগিয়ে।
কে কোথায় এগিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের যে ছয়টি রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে, সেগুলোর তিনটি হল জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভানিয়া। এই তিনটি রাজ্যেই এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অন্যদিকে, মিশিগানে কমালা হ্যারিসের পাল্লা ভারী। যদিও সেখানে এখন পর্যন্ত ১৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এছাড়া, অ্যারিজোনা এবং উইসকনসিনেও এগিয়ে আছেন মিজ হ্যারিস। এর আগে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে নর্থ ক্যারোলাইনায় জিতেছিলেন ট্রাম্প।
এছাড়া, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জিতেছিলেন বাকি রাজ্যগুলো। যদিও বাইডেন খুব কম ব্যবধানে জিততে পেরেছিলেন সেবার।
এবারের নির্বাচনে এই রাজ্যগুলোতে সম্ভাব্য বিজয়ী কে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। সেখানকার পরিস্থিতি প্রতি মিনিটে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই এখনই কোনোকিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ইলেকটোরাল কলেজ ভোট: ট্রাম্প ২৩০, কমলা ২১০
কেন্টাকি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা, ফ্লোরিডা, মিজৌরি, ওকলাহোমা ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাচ্ছেন বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।
অপর দিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী— ভারমন্ট, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া, মেরিল্যান্ড ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে জয় পাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের পক্ষে মোট ২৩০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট যাচ্ছে। অপর দিকে সব মিলিয়ে ২১০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আপাতত কমলার খাতায় উঠছে।
ভোটারদের বিপুল সাড়া
গণনা যত এগিয়ে চলেছে, একটি বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, সেটা ভোটারদের বিপুল সাড়া। এবারের নির্বাচনের ভোটের হার আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০২০ সালে ৬৫.৯% ভোটের হারের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪।
ট্রাম্প ও হ্যারিস দুজনই বারবার বলেছেন, এবারের নির্বাচন জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন জনসাধারণ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
কে কত ভোট পেলেন
নিজ রাজ্য ফ্লোরিডার ৩০ ইলেকটোরাল কলেজের ভোটসহ সাউথ ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, ওকলাহোমা, মিসৌরি, টেনেসি ও অ্যালাবামা ও আরও কিছু রাজ্য মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৫টি ইলেকটোরালা কলেজ ভোট পেয়েছেন পাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
অপরদিকে ভারমন্ট, ম্যাসাচুসেটস, মেরিল্যান্ড ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ইলেকটোরাল কলেজ ভোটসহ এখন পর্যন্ত ৩০টি ভোট পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
পশ্চিম এশিয়ার অশান্তি প্রভাব ফেলেছে কমলার মুসলিম ভোটব্যাংকে
পশ্চিম এশিয়াজুড়ে চলমান বিধ্বংসী সহিংসতায় বাইডেন-কমলা প্রশাসনের অটল সমর্থনে মিশিগান রাজ্যের মুসলিম ভোটাররা হতাশ হয়েছেন। ফলে এই নির্বাচনে তারা ডেমোক্র্যাট দলকে এড়িয়ে চলেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
তারা হ্যারিসের পরিবর্তে গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনকে ভোট দেয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন।
জিল মিশিগানে মুসলিম সম্প্রদায়, মুক্তমনা এবং তরুণদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ফলে কমলার ভোট অনেকটাই বেহাত হবার আশঙ্কা রয়েছে।
দেখা মিলল কমলার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ভোট চলাকালে এই প্রথম জনসম্মুখে এলেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নির্বাহী নেতৃত্ব বোর্ডের ওয়াশিংটন ডিসির দপ্তরে আসেন তিনি।
এ সময় তিনি ভোটে অংশগ্রহণ করার গুরুত্ব তুলে ধরে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ট্রাম্পের সঙ্গে বসে ভোটের ফল দেখবেন মাস্ক
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বসে থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল জানবেন ইলন মাস্ক।
মাস্কের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি মার্কিন মিডিয়াগুলোকে জানান, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটি মার-এ-লাগো এবং পাম বিচ কনভেনশন সেন্টারে ট্রাম্পের সঙ্গে থাকবেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সন্ধ্যার কোনো এক সময় সমর্থকদের অভ্যর্থনা জানাবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
৫৩ বছর বয়সী ইলন মাস্ক গত ৫ অক্টোবর বাটলার পা-এর প্রতীকী নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন, যে সমাবেশ ১৩ জুলাই রিপাবলিকান প্রার্থীকে হত্যা প্রচেষ্টার দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
গ্যাস লিকেজের পর মিশিগানে ভোটকেন্দ্র বন্ধ
মিশিগানের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস লিকেজের ফলে কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ কেন্দ্রের ভোটারদের পার্শ্ববর্তী ডেট্রয়েট ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
মার্কিনিদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানালেন ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভোটারদের ঘর থেকে বেরিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বেশ কিছু রাজ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ভোটের ব্যবধানই ঠিক করে দিবে বিজয়ী কে হবেন।
‘আপনাদের পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে ভোট দিন’ বললেন ওবামা।
দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর নিরাপত্তায় ড্রোন-স্নাইপার-ন্যাশনাল গার্ড
নির্বাচনি অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে থাকা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়্যার, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, ওরেগন, পেনসিলভেনিয়া, টেনেসি, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল গার্ডের সেনা যে কোনো মুহূর্তে মোতায়েনের জন্য ‘স্ট্যান্ড বাই’ অবস্থায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ক্যাপিটলে বন্দুকসহ আটক একজন
ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভিজিটর সেন্টারে ফ্লেয়ার বন্দুকসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া চলাকালে শরীরে জ্বালানির গন্ধ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে।
এ সময় তার কাছে একটি টর্চলাইটও পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ল ১২ শতাংশ
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগের দিন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ১২ শতাংশ বেড়েছে।
গত সোমবার (৪ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের (ডিজেটি) শেয়ার এতটা বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণ কী, তা আপাতদৃষ্টিতে জানা যায়নি।
এতে আরও বলা হয়, গত তিন দিনে ৪১ শতাংশ দরপতনের আগে টানা পাঁচ সপ্তাহ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম চারগুণ বেড়েছিল।
মহাকাশ থেকেই ভোট দিলেন ৪ নভোচারী
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) থেকে মার্কিন নির্বাচনে ভোট দিয়ে ইতিহাস গড়লেন চার মহাকাশচারী। তারা হলেন- ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা উইলিয়ামস, ব্যারি বুচ উইলমোর, নিক হেগ এবং ডন পেট্টিট।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনে এক নভোশ্চর মহাকাশের ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিতে চারজন আছেন। তারা প্রত্যেকেই আমেরিকার লাল-নীল রঙের মোজা পরে আছেন। সুনীতা যে মোজা পরে আছেন, তাতে লেখা আছে, ‘আমেরিকান হিসেবে গর্বিত।’ মহাকাশে যেমন নভোশ্চররা শূন্যে ভেসে থাকেন, সে রকমভাবেই ছবি তুলেছেন সুনীতারা।
যে ভোটাররা নিজেদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না, তারা ব্যালটের মাধ্যমে অন্য জায়গা থেকে ভোট দিতে পারেন। সে জন্য আবেদন করতে হয়। সুনীতারাও সেই আবেদন জানিয়েছিলেন। তারা ইলেকট্রনিক ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন।
যেভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে নাসার মিশন কন্ট্রোলে অধিকাংশ ডেটা পাঠানো হয়, সেভাবেই ভোট দিয়েছেন নভোশ্চররা। পৃথিবীতে বসানো অ্যান্টেনার সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ করে থাকে নাসার ‘নিয়ার স্পেস নেটওয়ার্ক’। আর সেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই যোগাযোগ স্থাপন হয়ে থাকে।
তবে এই প্রথমবার মহাকাশ থেকে কোনো মার্কিন নভোশ্চর ভোট দিলেন না। ১৯৯৭ সালে প্রথমবার মহাকাশ থেকে ভোট দিয়েছেন মার্কিন নভোশ্চর ডেভিড উলফ। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়েছিলেন কেট রুবিনস।
এবার সেই তালিকায় সুনীতা, উইলমোরদের নাম যুক্ত হয়ে গেল। তারা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তখন আমেরিকায় নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকবেন।
মার্কিন নির্বাচনে জয় হবে ঐতিহাসিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস, যিনিই জিতুক না কেন, সেটি হবে ঐতিহাসিক।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জয়ী হলে তিনি হবেন দেশের ইতিহাসে ফৌজদারি অপরাধে দোষীসাব্যস্ত হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট। দুইবার অভিশংসিত হওয়া একজন প্রেসিডেন্টও হবেন ট্রাম্প। ভিন্ন মেয়াদে অরেকবার তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন। তাছাড়া, পুনর্নির্বাচনের প্রথম চেষ্টায় হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্পই হবেন হোয়াইট হাউসে ফেরা ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট।
এদিকে কমলা হ্যারিস জয়ী হলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।
আরও কিছু কারণে এবারের নির্বাচনের প্রকৃতি ঐতিহাসিক বলেই বর্ণনা করেছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনি প্রচারের মাঝপথে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অদল-বদল করার সিদ্ধান্ত ছিল ব্যতিক্রমী এবং বিরল। কমলা যেভাবে জোরালো সমর্থন পেয়ে ট্রাম্পের কাছাকাছি অবস্থানে উঠে এসেছেন, সেটিও চমকে দেয়ার মতো।
হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ব্র্যান্ডন রোটিংহাউস বলেন, ‘হ্যারিসের মনোনয়নই ঐতিহাসিক ছিল। তিনি জিতলে ১৯২০-এর দশক থেকে জাতি যে বাধার দেয়াল ভাঙার জন্য লড়াই করে আসছে, তা ভেঙে যাবে।’
ওদিকে, ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি দৌড়ে নামার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে পরবর্তীতে চারটি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারই একটিতে তিনি দোষীসাব্যস্ত হন। নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প দুবার হত্যাচেষ্টার শিকারও হন।
দুই প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারও এবার ছিল খুবই ক্ষিপ্র। জরিপে দুজনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে থাকা- এসবই এবারের নির্বাচনে ছিল নজিরবিহীন ঘটনা।
কমলার আহ্বান
মার্কিন নাগরিকদের ঘরে বসে না থেকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ভোটের দিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় একটি রেডিও স্টেশনে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এটি (ভোট) শেষ করতে হবে। আজকে ভোটের দিন। লোকজনের বাইরে আসা এবং তৎপর হওয়া দরকার।
এক নজরে দুই প্রার্থী
ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
দল: রিপাবলিকান পার্টি
বয়স: ৭৮
নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি: ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বন্ধে ‘সীমান্ত বন্ধ’, কর কমানো, আমদানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো এবং জ্বালানির মূল্য কমানো হবে।
২০২৪ সালের প্রধান মুহূর্ত: পেনসিলভানিয়ার একটি নির্বাচনি সভায় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলির পর রক্তাক্ত ট্রাম্পের মুষ্ঠিবদ্ধ হাত।
কমালা হ্যারিস, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট
বয়স: ৬০
দল: ডেমোক্রেটিক পার্টি
প্রচারণায় যা গুরুত্ব দিচ্ছে : ‘আমরা পেছনে ফিরে যাবো না’ কমালা হ্যারিস নির্বাচনি প্রচারণায় এই শ্লোগানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে নেয়া নীতিগুলোর কথা তুলে ধরেন। গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন, গ্রোসারী দোকানে জিনিসপত্রের দাম কমানো ও আবাসন সংকটের সমাধানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
২০২৪ সালের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: নির্বাচনি লড়াই থেকে জো বাইডেন সরে দাড়ানোর পর ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী বক্তব্য।
জাল নির্বাচনী ভিডিও নিয়ে এফবিআই এর সতর্কতা
মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনলাইনে আরো দুটি জাল নির্বাচনী ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে এফবিআই।
এফবিআই বলেছে, মঙ্গলবার এই দুটি বানোয়াট ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে, ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হুমকি এবং বেশ কয়েকটি সুইং স্টেটের কারাগারে ভোটার জালিয়াতির অভিযোগের কারণ দেখিয়ে আমেরিকানদের 'দূর থেকে ভোট' দেওয়ার আজানানো হয়।
ভিডিওগুলি এফবিআই-এর প্রেস রিলিজ এবং সিবিএস নিউজের একটি প্রতিবেদনের মতো দেখাতে সেভাবেই সম্পাদনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব এক্স-এ খুব একটা ভিউ পায়নি।
এফবিআই বলেছে, যে ভিডিওগুলির লক্ষ্য 'আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট করা'।
ব্যালটে গর্ভপাত ইস্যু
মার্কিন নির্বাচনে ১০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে যুক্ত হয়েছে আলোচিত–সমালোচিত গর্ভপাত ইস্যু।
অঙ্গরাজ্যগুলো হলো—অ্যারিজোনা, মিসৌরি, মন্টানা, নেব্রাস্কা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মেরিল্যান্ড, নেভাদা, নিউইয়র্ক ও সাউথ ডাকোটা।
এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারেরা নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে নিজেদের মত ব্যালটের মাধ্যমে জানাচ্ছেন।
জর্জিয়ায় বোমা আতঙ্ক
জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টির অন্তত ৫টি ভোট কেন্দ্রে বোমা থাকার গুজব শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস। যদিও পরবর্তীতে সেখানে বোমার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
কাউন্টির নিবন্ধন ও নির্বাচনের পরিচালক নাদিন উইলিয়ামস বলেছেন, ‘হুমকির কারণে এই সুইং স্টেটে প্রায় আধাঘণ্টার জন্য দুটি স্থান খালি করে দেয়া হয়েছিল।’
আটলান্টার কাউন্টি শহরটির কর্মকর্তারা এখন ভোটের সময় সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাড়াতে আদালতে আবেদন করেছেন।
এর আগে পেনসিলভানিয়ার ক্যামব্রিয়ায় প্রযুক্তিগত কারণে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। সেখানেও কিছু সময়ের জন্য ভোটের সময়সীমা বাড়াতে আদালতের আদেশের জন্য আবেদন করেছেন কর্মকর্তারা।
আমি খুব আত্মবিশ্বাসী: ডোনাল্ড ট্রাম্প
রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট দিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পসহ তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচের এক কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দিয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। সব দেখে মনে হচ্ছে, রিপাবলিকানরা দলে দলে ভোট দিতে আসছেন।’
কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখে খুব ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের চেষ্টা: মার্কিন গোয়েন্দা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার তারা বলেছে, ওই দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা নষ্ট করতে চায়। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, প্রতিপক্ষ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দেশগুলো আমেরিকানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চায়।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা- এফবিআই, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় ওডিএনআই এবং সাইবার ও অবকাঠামো নিরাপত্তা সংস্থা যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী। ভোট কারচুপির মিথ্যা দাবি তুলে সেসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরুর ঠিক আগে এমন অভিযোগ তুলল দেশটির অভ্যন্তরীণ এই তিন গোয়েন্দা সংস্থা।
ট্রাম্প ফ্লোরিডায়, কমলা ওয়াশিংটনে
ভোটের দিনের শুরুতে মিশিগানে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের দিন তিনি কাটাবেন ফ্লোরিডায়। সেখানেই তিনি ভোট দেবেন। ভোটের পর পাম বিচে যাবেন তিনি। এদিকে নির্বাচনের রাত ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। এর বাইরে নির্বাচনের দিন তাঁর অন্য কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। খবর আল–জাজিরার।
আরও ১০ রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু
স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় আরও ১০ রাজ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি রাজ্যে এখন ভোট চলছে।
রাজ্যগুলো হল: অ্যালাবামা, আইওয়া, কানসাস, মিনেসোটা, মিসিসিপি, নর্থ ডেকোটা, ওকলাহোমা, সাউথ ডেকোটা, টেক্সাস, উইসকনসিন।
বোমা মারার হুমকি দিয়ে নির্বাচনকর্মী গ্রেপ্তার
বোমা মারার হুমকি দিয়ে জর্জিয়া রাজ্যে এক নির্বাচনকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৫ বছর বয়সী নিকোলাস উইমবিশ ১৬ অক্টোবর জর্জিয়ার গ্রে শহরের জোন্স কাউন্টিতে নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচনকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেদিনই একজন ভোটারের সঙ্গে তার বচসা হয়।পরদিন কাউন্টির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাকে তিনি একটি চিঠি পাঠান।
চিঠিতে উইমবিশ নির্বাচনকর্মীদের ওপর শারিরীক ও যৌন সহিংসতা এবং বোমা হামলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ আছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে এই নির্বাচন কর্মীর সর্বোচ্চ ২৫ বছরের জেল হতে পারে।
ভার্মন্টে ভোটগ্রহণ শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ভার্মন্টে ঘড়ির কাঁটা ভোর ৫টা অতিক্রম করেছে, এর মানে সেখানে ভোট শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সকাল শুরু হল।
আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে যাবে। এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকরা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। ভার্মন্টের পরেই নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে