৩০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোয় যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ৩০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে দেশটির প্রশাসন। এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দমন অভিযানের আওতায় অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। যা আরও বেশি হতে পারে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) গায়ানায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মার্কো রুবিও বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা এ কাজ করি। যখন আমরা এসব উন্মাদ খুঁজে পাই তখন তাদের ভিসা বাতিল করি।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ করেন। তবে এসব আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোয় তুর্কি শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্কের ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতার করতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
৩০ বছর বয়সী ওজতুর্ক বোস্টনের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল পর্যায়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সোমারভিলে নিজ বাড়ির কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কেন এই তুর্কি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে? জানতে চাইলে রুবিও বলেন, “কারণটা খুবই পরিষ্কার, আমি সব জায়গায় বলেছি, আবারও বলছি। যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রে আসার জন্য শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করে এবং বলে সে কেবল পড়াশোনার জন্য আসছে না বরং বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের হয়রানি, ভবন দখল এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আন্দোলনে অংশ নিতে চায় তাহলে আমরা তাকে সেই ভিসা দিচ্ছি না।”
এখনও পরিষ্কার না যে, ওজতুর্কের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ আনা হয়েছে কি না।
এদিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানায়, এসব আন্দোলন ইহুদীবিদ্বেষী, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওজতুর্ক হামাসের মতো একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে কাজ করছিলেন, যে সংগঠনটি মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করাকে উপভোগ করে।
তারা আরও জানায়, মার্কিন ভিসা পাওয়া একটি সুযোগ। এটি কোনো ব্যক্তির অধিকার নয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে