ভারতীয় প্রাক্তন ছাত্রীর ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারতীয় ছাত্রী রঞ্জনী শ্রীনিবাসনের ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাকে ‘সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রচারণায়’ অভিযুক্ত করা হলেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করেননি কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ভিসা বাতিল হওয়ার পর রঞ্জনী শ্রীনিবাসন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বনির্বাসিত হয়েছেন।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) শুক্রবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছে, রঞ্জনী শ্রীনিবাসন একজন ভারতীয় নাগরিক। তিনি শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় ইসারয়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। হামাস একটি নির্ধারিত সন্ত্রাসী সংগঠন। এর প্রতি সমর্থনের কারণে পররাষ্ট্রদপ্তর তার শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছে।
ডিএইচএস নিশ্চিত করেছে, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) শ্রীনিবাসন সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন। এই নতুন অ্যাপে অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের বিশেষ ফিচার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ডিএইচএস প্রকাশিত ভিডিওতে শ্রীনিবাসনকে রওনা হওয়ার আগে একটি বিমানবন্দরে তার লাগেজ নিয়ে জেটওয়েতে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
সন্ত্রাসবিরোধী, সীমান্ত সুরক্ষা, অভিবাসন, শুল্ক, সাইবার সুরক্ষা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ/ব্যবস্থাপনার মতো ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জননিরাপত্তার কাজ করে মার্কিন ফেডারেল নির্বাহী বিভাগ ডিএইচএস।
গত বছরের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে জড়িত বিদেশি নাগরিকদের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পর তার প্রস্থানের ঘটনা ঘটলো।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্লাঞ্চের মতে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থিতি গোপন করেছিল কি না, তাও তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ফেডারেল এজেন্টরা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসভবনে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করেন। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কর্তৃপক্ষ কাদের লক্ষ্যবস্তু করছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, শুক্রবারের মধ্যে, কর্মকর্তারা গত বছরের বিক্ষোভে জড়িত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে