ভোটার তালিকা হালনাগাদ: ইসির বার্তা পৌঁছায়নি বাড়ি বাড়ি
সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মুঠোফোনের খুদে বার্তায়ও তা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরপরও বগুড়ার অধিকাংশ মানুষই এ কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নন। কর্মসূচির সপ্তাহ খানেক পার হলেও এখনো পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি এ জেলায়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, গত ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে। যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা এরও আগে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যেক নাগরিকের বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপজেলাভিত্তিক নির্বাচন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তদারকি করছেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের ভোলাগাড়ী গ্রামের সাগর মণ্ডল জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে কি না তা জানেন না। এখন পর্যন্ত তার বাড়িতে নির্বাচন অফিস থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আসেননি।
একই কথা বলেন এরুলিয়া ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের রাহাত প্রামাণিকও।
বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলছে কি না তার জানা নেই। তবে দুই-তিন দিন আগে নির্বাচন অফিস থেকে একজন এসেছিলেন। তিনি শুধু শুনে গেছেন এলাকাটি আবাসিক কি না। পরবর্তীতে আর কেউ আসেননি।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার হেলেঞ্চাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন জানান, চার-পাঁচদিন আগে নির্বাচন অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী তার বাড়িতে এসেছিলেন। তাদের তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে নির্বাচন অফিসের তথ্য সংগ্রহকারী গ্রামের নির্দিষ্ট স্থানে বসে বাড়ি বাড়ি খবর পাঠান। লোকজন তার কাছে এসে তথ্য দিয়ে গেছেন।
এদিকে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরুর সপ্তাহ খানেক পর নতুন বার্তা দিয়েছে ইসি। নতুন বা বাদ পড়া ভোটার যারা অনলাইনে আবেদন করছেন বা করেছেন সেই আবেদন কপি ডাউনলোড করে তথ্য সংগ্রহকারীকে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির বিষয়ে বগুড়া সদর, শেরপুর, শাজাহানপুর, গাবতলী ও শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৫০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলা হয়।
তারা জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে কি না তা তারা জানতেন না। নির্বাচন অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহকারী আসার পর অনেকে জেনেছেন। মুঠোফোনে খুদে বার্তায় এ তথ্য দেয়া হলেও তারা কেউ তা দেখেননি।
এর মধ্যে আবার অনলাইনে আবেদন করে সেই কপি জমা দেয়ার বিষয়টিও তাদের জানা নেই।
বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে অনেক তথ্য সংগ্রহকারী এক বাড়ির উঠানে বসে ভোটারদের কাছে খবর পাঠান। আশপাশের ভোটার সেখানে এসে তথ্য দিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, উপজেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিছু এলাকায় এখনো ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু না হয়ে থাকলে তা ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তাই বলতে পারবেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে