ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুফল কাজে লাগাতে হবে
বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। প্রত্যেক জাতির জীবনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা একবারই আসে। কারও কারও মতে, একটি জাতির জীবনে হাজার বছরে একবার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সৃষ্টি হয়। যে জাতি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে পারে তারাই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে উন্নীত হতে পারে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলতে এমন একটি অবস্থাকে বুঝায় যেখানে একটি দেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশির বয়স থাকে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যদি বেশি থাকে তাহলে সেই অবস্থাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা যখন শিশু ও বৃদ্ধদের চেয়ে বেশি তখন সেই অবস্থাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থার মধ্যে রয়েছে। আমাদের মোট জনসংখ্যার বেশির ভাগই এখন কর্মক্ষম। তারা নানাভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা খুব বেশি দিন কার্যকর থাকে না। আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাচ্ছে। শিশু মৃত্যুর হার কমে যাচ্ছে। আগামীতে দেশে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সে অবস্থায় আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগ হারাতে বাধ্য হবো। তাই আমাদের এই অবস্থার সুযোগ পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে হবে।
জাপান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমর্থ হয়েছে; কিন্তু জাপানে এখন বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। ফলে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। জাপান ৪৪ বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছিল; কিন্তু কয়েক বছর আগে তারা চীনের কাছে তাদের এই অবস্থান হারিয়েছে। এখন জাপান বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে অবস্থান করছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরই চীনের অবস্থান; কিন্তু চীনও ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার প্রান্তসীমায় চলে এসেছে। চীনেও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাষ্ট্র হিসেবে জাপান বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিল বা রয়েছে। কিন্তু তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ বলে তেমন কিছু নেই। তাদের মূল শক্তি হচ্ছে প্রযুক্তি। জাপানে তেল নেই, গ্যাস নেই। তারা শুধু প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মাধ্যমেই বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছিল। কিন্তু প্রযুক্তি এমনই এক সম্পদ যা খুব সহজে স্থানান্তর করা যায়। একজনের কাছ থেকে আর একজনের কাছে প্রযুক্তি খুব সহজেই স্থানান্তর করা যায়। এমনকি প্রযুক্তি নকলও করা যায় সহজে। জাপান যে প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতি অর্জন করেছিল তা অন্যান্য দেশে হস্তান্তরিত হয়েছে।
বিভিন্ন দেশ জাপান থেকে প্রযুক্তি আহরণ করে তাদের নিজস্ব উন্নয়নের কাজে তা ব্যবহার করেছে। চীন এ ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। চীন এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যা উদ্ভাবন করছে না। তারা অন্য দেশের প্রযুক্তি নকলও করছে। চীন একই পণ্য বিভিন্ন শ্রেণির ভোক্তার উপযোগী করে তৈরি করছে। ফলে একটি দেশের সব শ্রেণি-পেশার ভোক্তারা চীনের তৈরি পণ্য ব্যবহার করতে পারছে। জাপানের মূল সম্পদ ছিল মানব সম্পদ। তারা শিক্ষাদীক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিল; কিন্তু সময়ের ব্যাপ্ত পরিসরে এখন অন্যান্য জাতিও শিক্ষা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে গেছে। ফলে জাপানের প্রাধান্য অনেকটাই কমে গেছে। জাপান তার নাগরিকদের বিদেশে প্রেরণ করে শিক্ষা-দীক্ষায় আধুনিক এবং উন্নত করেছে; কিন্তু একটি দেশের নাগরিকরা যতই শিক্ষিত বা প্রযুক্তি জ্ঞানে উন্নত হোক না কেন তাদের যদি প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকে তাহলে তারা সেই শিক্ষা এবং প্রযুক্তি জ্ঞান কোথায় ব্যবহার করবে? যেহেতু জাপানের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ খুবই কম তাই তারা ক্রমশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে থাকে। জাপানের জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পার্থক্য পরিক্ষিত হয়।
ইদানীং জাপানিদের মাঝে একটি নতুন প্রবণতা শুরু হয়েছে। একে বলা হয় মিনিমালিজম বা ন্যূনতমবাদ বলা যেতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে অল্পে তুষ্ট থাকা। অর্থাৎ জাপানিরা এখন অল্প খেয়ে পড়ে সন্তুষ্ট থাকতে চায়। আমাদের মাঝে যেমন টাকা পয়সা হাতে এলেই তা ভোগ ব্যয়ে ব্যবহার করার প্রবণতা সৃষ্টি হয় জাপানিরা ঠিক তার বিপরীত। তাদের হাতে যত অর্থই আসুক না কোনো তারা তা যেনতেনভাবে ভোগ বিলাসে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক নয়। বিশেষ করে জাপানি তরুণ জনগোষ্ঠীর মাঝে অল্পে তুষ্ট থাকার প্রবণতা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তারা মনে করছে, জীবনে যত কম ভোগ করা যায় ততই মঙ্গল। জীবন ধারণের জন্য যেটুকু প্রয়োজন তারা সেটুকুই ভোগ করছে। যখন কোনো অর্থনীতিতে ভোগ ব্যয় কমে যায় তখন সেই অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কমে যায়। অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়ে। জাপানের অর্থনীতিতে এখন প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে।
বাংলাদেশে আমরা জাপানের বিপরীত অবস্থা প্রত্যক্ষ করছি। আমাদের দেশের মানুষ এখন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পড়েছে। আপনি যদি রাজধানীর অভিজাত হোটেল বা রেস্টুরেন্টে যান দেখতে পাবেন অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবার খাচ্ছে। আমাদের দেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে; কিন্তু বণ্টন ব্যবস্থায় অসমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিত্তবানরা আরও বিত্তবান হচ্ছে। দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে। কয়েক বছর আগের এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছিল, বাংলাদেশে গত কয়েক দশকের ব্যবধানে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা ১২ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যারা নতুন করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছেন তাদের মাঝে ভোগ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে; কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা অনেকেই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত নই। আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থাকে সঠিকভাবে এবং পরিকল্পিত উপায়ে কাজে লাগাতে হবে। কারণ এই সুযোগ বারবার আসবে না। তাই আমরা যদি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের পস্তাতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হলে জনশক্তিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে আত্মনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের মতো দেশের অর্থনীতিতে সবাইকে সরকারি চাকরি প্রদানের মাধ্যমে বেকারত্ব নিরসন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই আমাদের আত্ম কর্মসংস্থানের প্রতি বেশি জোর দিতে হবে।
আমাদের দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই বেকার। তারা কোনো কাজ করছে না। তারা পরিবারের অন্য কারও উপার্জনের ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। একটি পরিবারের কর্মক্ষম প্রতিটি সদস্যকে কর্মে নিযুক্ত হতে হবে। সরকার তরুন জনগোষ্ঠীকে আত্মকর্মসংস্থানমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার গুনগত মান নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ শিক্ষাকে আমরা এখনো কর্মক্ষম করে তুলতে পারিনি। অর্থাৎ কেউ একজন উচ্চ শিক্ষা লাভ করার পর তার সামনে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা থাকে না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত বেকার তৈরি কারখানা মাত্র। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মসংস্থানমূলক করে গড়ে তোলা না গেলে বেকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না। একজন উপযুক্ত এবং কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনোই বেকার থাকে না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে একজন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পর তার আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে পারেন। ব্যক্তি খাতে আমাদের বিনিয়োগের হার নানা কারণেই শ্লথ হয়ে পড়েছে। কাজেই চাইলেই একজন শিক্ষিত ব্যক্তিকে তার উপযুক্ততা অনুসারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার ব্যবহার করতে হবে।
সরকার এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়। এই উদ্যোগ আরও বাড়াতে হবে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন কর্মী কখনোই দীর্ঘ সময় বেকার থাকে না। তিনি নিজেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। মাধ্যমিক পাশ করার পর শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্থি হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সিট খালি থাকছে। আমাদের দেশের এক শ্রেণির যুবকের মাঝে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। বিশ্বে যত মানুষ আউটসোর্সিং করে তার মধ্যে ১৪ শতাংশই বাংলাদেশি। আগামীতে এটা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমার ক্লাসে এমন অনেক ছেলে আছে যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করছে। আগে শিক্ষার্থীদের অনেকেই টিউশনি করত। এখন তারা আউটসোর্সিং করছে। আউটসোর্সিং করা প্রাইভেট টিউশনির চেয়ে অনেক বেশি মর্যাদাকর। এমন অনেক ছাত্র প্রত্যক্ষ করা যায়, যারা ক্লাসে তেমন একটা মনোযোগী নয়। তারা রাত জেগে আউটসোর্সিং করে। অনেকেই আছেন যারা শিক্ষাজীবন শেষ করে কোনো চাকরিতে যোগদান না করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করছে।
গত বছর ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মসংস্থান উপলক্ষে বিদেশে গমন করেছে। বিদেশে যারা কর্মসংস্থান করছে তাদের কাজের ধরনের মধ্যেও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। আগে সাধারণত বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে গমন করত তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এখন অনেকেই বিদেশি গিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এতে বিদেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তার সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের প্রচুর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে এখন যারা বিদেশে যাচ্ছে তাদের সবাই কর্মচারী নন। অনেকেই আছেন যারা কর্ম বা চাকরিদাতা। যারা তরুন এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত তারা আত্মকর্মসংস্থানের কোনো না কোনো রাস্তা খুঁজে নেবেই। যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে তারাও এখন বুঝতে পারছে তাদের এই সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে কোনো কাজে আসবে না। তাই আমাদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে যে বিপ্লব সাধন করেছে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আগামীতে তেমনই বিপ্লব সাধিত হবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। এই অবস্থার সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্র আমাদের গতানুগতি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা বারবার আসবে না। তাই আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন কাম্য নয়। সবাই উদ্যোক্তা হতে পারেন না। উদ্যোক্তা হবার গুণাগুণ সবার মধ্যে থাকে না। যাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হবার যোগ্যতা আছে তাদের সেই যোগ্যতা বিকশিত হবার মতো অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
লেখক: শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে