আইএলডিটিএস পলিসি পরিবর্তনে খসড়া প্রস্তাব
কী প্রভাব পড়বে টেলিযোগাযোগ খাতে?
প্রায় ১৫ বছর আগে টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য প্রণীত আইএলডিটিএস (ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস) পলিসি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই হবে, কারণ গত ১৫ বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত বড় রূপান্তর ঘটেছে। এক অর্থে ১৫ বছর আগের চিত্র আমূল বদলে গেছে। আগে যেখানে ক্লিয়ার চ্যানেলে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল আদান-প্রদান হতো, এখন সেখানে ওটিটি অ্যাপভিত্তিক কল চলে এসেছে।
ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অ্যাপ টু অ্যাপ আইডিতে স্বাচ্ছন্দ্যে কল করা যায় বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। শুধু আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান নয়, বরং টেলিযোগাযোগে সার্বিকভাবে ক্লিয়ার চ্যানেলে ভয়েস কলের আধিপত্য শেষ হওয়ার পথে। যার হাতে স্মার্টফোন আছে তিনি আর সাধারণত সরাসরি কল করেন না, কোনো না কোনো ওটিটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এমনকি ফোরজি প্রযুক্তিতে ডিরেক্ট ভয়েস কলের ক্ষেত্রেও ভোল্টই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে ডাটা টার্মিনাল ব্যবহার করে ভয়েস কল সেবা দেয়া হয়। ভোল্টই থেকে এখন অধিকতর উচ্চতর প্রযুক্তি ভিওওয়াইফাই বা ভয়েস ওভার ওয়াইফাই প্রযুক্তির ব্যবহারও মোবাইল টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ছে, যেটা পুরোপুরি ইন্টারনেটনির্ভর।
ফলে ১৫ বছর আগে ক্লিয়ার চ্যানেলে ভিওআইপি প্রযুক্তির অবৈধ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করাকে মূল লক্ষ্য ধরে যে আইএলডিটিএস পলিসি করা হয়েছিল তার পরিবর্তন অবশ্যই জরুরি বিষয়। তবে সেই পরিবর্তনটা যথাযথ না হলে কিংবা কোনো একটি পক্ষের ব্যবসায়িক স্বার্থের সুযোগ বাড়ানোর জন্য হলে সেটা ভবিষ্যতের বিদ্যমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল না হয়ে বরং নতুন করে বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে পলিসি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থেকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এবার ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং রেজিম রিফর্ম ২০২৫’-এর জন্য যে খসড়াটা করা হয়েছে তার দিকে তাকাই।
১৫ বছর আগে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করার মূল উদ্দেশ্য সামনে রেখে আইএলডিটিএস পলিসি করা হয়েছিল, তবে সেই পলিসির মাধ্যমেই মূলত দেশের টেলিযোগাযোগ সেবায় একটি ভ্যালু চেইন প্রতিষ্ঠা হয় এবং এই ভ্যালু চেইনের প্রতিটি স্তরে লাইসেন্স দেয়ার নীতিমালাও আসে।
ফলে এই আইএলডিটিএস পলিসিই প্রকৃতপক্ষে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স দেয়ার মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে। সেদিকে খেয়াল রেখেই এবার খসড়ার শিরোনাম স্পষ্ট করা হয়েছে। বলেই দেয়া হয়েছে বিদ্যমান ‘লাইসেন্স রেজিম’ পরিবর্তন করে নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করা হচ্ছে। অতএব, একটা অগ্রসর ও আপাতদৃষ্টিতে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে খসড়ার শিরোনামে।
নিউ লাইসেন্স রেজিমে তিনটি স্তর রেখে সরলীকরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ১. অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (এএনএসপি), ২. ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার অ্যান্ড কানেকটিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (এনআইসিএসপি) এবং ৩. ইন্টারন্যাশনাল কানেকটিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (আইসিএসপি)।
প্রথম স্তরে তিনটি ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিস লাইসেন্স’, ‘ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস লাইসেন্স’ এবং ‘স্যাটেলাইট কিংবা এনজিএসও (নন জিওস্টেশনারি অরবিট)’। এখানে তিন নম্বর ক্যাটাগরি একেবারে নতুন। এই ১৫ বছরের মধ্যে দেশের নিজস্ব কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট আকাশে উড়েছে। যেটা দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়া সম্ভব। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত কোম্পানি স্টারলিংককে বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে নতুন এই ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স দেয়ার একটা প্রয়োজনীয়তা ছিল। এই ক্যাটাগরিতে ‘তালিকাভুক্তিকরণ’ পদ্ধতিতে আরও দুটি সাব ক্যাটাগরির সার্ভিস প্রোভাইডার রাখা হয়েছে। একটি হচ্ছে, ‘স্মল আইএসপি সার্ভিস’ এবং ‘স্মল টেলিকম সার্ভিস’। স্মল আইএসপি সার্ভিস’ সাব ক্যাটাগরি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। খসড়ার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এটা সাব ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপজেলা কিংবা থানা পর্যায়ে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হবে। এই সেবাদাতাদের ‘আইসিএসপি’ স্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কিংবা ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্তদের কাছ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সংগ্রহ করতে হবে।
প্রথমত প্রশ্ন হচ্ছে, গুণগতমানসম্পন্ন এবং নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা কোনোভাবেই ‘স্মল বিজনেস’ হতে পারে না। মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ ক্রয় এবং সেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাড়তি বিনিয়োগ করতে হয়। যেমন একটি আদর্শ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস থাকা জরুরি। নিরাপদ সেবা নিশ্চিত করতে হলে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেইনটেইন করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। সেটা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর পক্ষে কি সম্ভব? উপজেলা পর্যায়ে আইএসপি ব্যবসা, পাড়ায় পাড়ায় আইএসপি ব্যবসায় রাজনৈতিক মাস্তানদের নিয়ন্ত্রণ এমনিতেই আছে। ফলে এই স্মল আইএসপির লাইসেন্স প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবায় আরও বড় বিশৃঙ্খলা তৈরির ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া খসড়ার প্রস্তাবে মোবাইল অপারেটরদের সামনে এন্টারপ্রাইজ বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। ফলে এই খসড়া চূড়ান্ত হলে দেশীয় বিনিয়োগের আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের ব্যবসায়িক ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ শহরে এন্টারপ্রাইজ বা করপোরেট ব্যান্ডউইথ ব্যবসার সিংহভাগ মার্কেট শেয়ার নিশ্চিতভাবেই মোবাইল অপারেটরদের কাছে চলে যাবে। এখন স্মল আইএসপিগুলো ‘স্মল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনলে এই নেশন ওয়াইড আইএসপিরা একেবারেই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
অতএব, চট করে চাইলেই তো আর কেউ সেলুলার লাইসেন্স পাবে না। একই সঙ্গে বাস্তবতা হচ্ছে সেলুলার নেটওয়ার্ক এবং সেবা ব্যবস্থাপনা তৈরির জন্য যে বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন সেটা আইএসপিদের নেই। ফলে এ ধরনের প্রস্তাবনা কোনো সমাধান নয়। মোবাইল অপারেটরদের সামনে কেবলের মাধ্যমে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবার কোনো সুযোগ না রাখাটাই যুক্তিযুক্ত সমাধান।
প্রযুক্তির রূপান্তরে নতুন একটা দিকও আছে। এখন সিডিএন (কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক) ক্যাশ সার্ভার আইএসপিদের করার অনুমতি আছে। এটা ইতিবাচক। এই সুযোগ তালিকাভুক্ত স্মল আইএসপিগুলোও পাবে। ফলে ‘রিং বলের কাছে সার্ভার বা গ্রাহকের ঘরের সামনে সার্ভার’-প্রযুক্তির রূপান্তরে ডিজিটাল প্ল্যাটফরম সেবা বিস্তৃত করার এই তত্ত্ব অনুযায়ী মোবাইল অপারেটররা এই স্মল আইএসপিকে ব্যবহার করে প্রতিটি উপজেলায় সিডিএন ক্যাশ সার্ভারের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারবে। কারণ তারাই বিনিয়োগ করে স্মল আইএসপিগুলোকে ক্যাশ সার্ভার স্থাপন করে দেবে। ফলে নেশন ওয়াইড আইএসপিগুলোর সামনে কনটেন্ট ডেলিভারির ব্যবসাও কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে কর্পোরেট ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ এবং কনটেন্ট ডেলিভারি দুটো ক্ষেত্রেই একচ্ছত্র ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ হবে মোবাইল অপারেটরদের। সব মিলিয়ে এই খসড়া বাস্তবায়ন হলে নেশন ওয়াইড আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে অস্তিত্বের সংকট বড় হয়ে উঠবে।
এখানে আরও একটি দিক হচ্ছে, তিন বছর আগে আইএসপি সেবার জন্য নীতিমালা পরিবর্তন করে ‘এ, বি ও সি’ ক্যাটাগরি বাদ দিয়ে নেশনওয়াইড, ‘ডিভিশনাল ডিস্ট্রিক্ট’ এবং ‘উপজেলা’ পর্যায়ে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন লাইসেন্স থাকছে শুধু নেশনওয়াইডের জন্য। থানা পর্যায়ে তালিকাভুক্তিকরণ। বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের জন্য কোনো লাইসেন্স থাকছে না। বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের ক্যাটাগরি তুলে দেয়া হচ্ছে, ঠিক আছে; কিন্তু এই ক্যাটাগরিতে যারা লাইসেন্স নিয়েছিল এবং ক্ষুদ্র হলেও বিনিয়োগ করেছিল, তাদের কী হবে? অন্যদিকে থানা পর্যায়ের আইএসপিদের লাইসেন্স থাকছে না। শুধু তালিকাভুক্তির কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়বে। কোনো ব্যাংক তাদের এক লাখ টাকা ঋণ দিতেও রাজি হবে না। সে ক্ষেত্রে থানা পর্যায়ের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হয় নেশনওয়াইড আইএসপি কিংবা মোবাইল অপারেটরদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে আগেই বলেছি মোবাইল অপারেটরদের সক্ষমতা অনেক বেশি। তাদের নিয়ন্ত্রণেই চলে যাবে তালিকাভুক্ত থানা আইএসপিগুলো।
স্মল আইএসপি এবং স্মল টেলিকম সেবার সুযোগ যদি রাখতেই হয় তাহলে সেটা তালিকাভুক্ত নয়, লাইসেন্সের অধীনেই রাখা হোক। আর যদি অপ্রয়োজনীয় বিবেচিত হয় তাহলে তুলে দেয়া হোক। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সঙ্গে রাজস্বও ভাগাভাগি করবে না। বরং এই তালিকাভুক্তির সুযোগ নিয়ে সব স্তরের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোই সরকারের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ফাঁকিবাজির সুযোগ নিতে পারে। অতএব, তালিকাভুক্তির নামে অনিয়ম, দুর্নীতির, ফাঁকিবাজির সুযোগ বিদ্যমান রাখা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।
খসড়া প্রস্তাবে এনআইসিএসপি ক্যাটাগরির লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ মালিকানা নিশ্চিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। অথচ আইসিএসপি ক্যাটাগরিতে ৪৯ শতাংশ মালিকানার কথা বলা হয়েছে, কেন? এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। আবার দুই ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে, একটি ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স থাকলেও অন্য ক্যাটাগরির লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের মালিকানা প্রতিষ্ঠায় বিদেশি অংশীদারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শর্ত বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এ ধরনের শর্ত নিয়ে বিভ্রান্তি এবং সন্দেহ দুটোরই সৃষ্টি হয়। এক ক্যাটাগরিতে বিদেশি মালিকানা ৭০ শতাংশ এবং আর এক ক্যাটাগরিতে ৪৯ শতাংশ কেন? এর উত্তরে আমরা ধরে নিতে পারি এনআইসিএসপি ক্যাটাগরিতে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান আছে যার ক্ষেত্রে আগে থেকেই ৭০ শতাংশ বিদেশি মালিকানা আছে। একই সঙ্গে এই ক্যাটাগরির বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে অন্য ক্যাটাগরির যেমন এনএসপি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানেও বড় অংশীদারিত্ব আছে। এ কারণেই হয়তো এমন প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে!
সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করলে প্রস্তাবিত এই পলিসি সামনের দিনগুলোতে টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি, বিশেষত মোবাইল অপারেটরদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে ট্রান্সমিশন সেবাদাতা এবং নেশনওয়াইড আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িকভাবে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। মোবাইল অপারেটররা এমনিতেই দেশে সবচেয়ে বেশি নীতি সুবিধা (পলিসি সাপোর্ট) পায়। তবে তাদের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে উচ্চ করের বোঝা। অতএব, কর নীতিতে মোবাইল অপারেটরদের কাঁধ থেকে করের বোঝা কমানো উচিত। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পলিসিতে মোবাইল অপারেটরদের জন্য প্রযোজ্য সুবিধার ব্যবস্থা রাখা উচিত, সর্বোচ্চ সুবিধা নয়।
রাশেদ মেহেদী: টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশ্লেষক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে