ইলিশ নিয়ে এত উন্মাদনার হেতু কী?
ইলিশ নিয়ে ‘হাইপ’ এখন অনেকের হাইপার টেনশনের কারণ। গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হতে পারে, দেশে ইলিশের দামই শুধু বেশি; আর সব মাছ যেন হাতের নাগালে! ইলিশ নিয়ে উন্মাদনা দেখে মনে হতে পারে, এই মাছ না খেলে জীবন বরবাদ হয়ে যাবে কিংবা ইলিশ মাছ বোধ হয় সর্বরোগের মহৌষধ। বাস্তবতা হলো, অসংখ্য মানুষ পাওয়া যাবে, যাদের কাছে ইলিশ কোনো আকর্ষণীয় বিষয় নয়।
অনেকেই ইলিশ পছন্দ করেন না। তাহলে ইলিশ নিয়ে এত হই চই কেন, কেন এত উন্মাদনা? ইলিশ নিয়ে এই উন্মাদনাই কি তার দাম বাড়িয়ে দেয়? ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, একক প্রজাতি হিসেবেও সর্ববৃহৎ। একসঙ্গে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। মৌসুমি বাজারে একসঙ্গে যে পরিমাণ ইলিশের প্রদর্শনী হয়, অন্য কোনো মাছের ক্ষেত্রে সেটি দেখা যায় না। বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মৎস্য সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের প্রাণিজ আমিষের শতকরা ৬০ ভাগ আসে মাছ থেকে। এ দেশের প্রায় ২০ লাখ লোক প্রত্যক্ষ এবং আরও ১০ লাখ লোক পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের সঙ্গে জড়িত।
ইলিশের কী অবদান?
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১৩-১৪ শতাংশ। দেশের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইলিশ বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৪০ শতাংশ আহরিত হয় বাংলাদেশের সমুদ্র ও নদী থেকে। বর্তমানে বছরে দেশে পাঁচ লাখ টনের বেশি ইলিশ আহরিত হয়।
বাঙালির রসনায় ইলিশের আলাদা আভিজাত্য রয়েছে। অতি প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চলে ইলিশের অস্তিত্ব ছিল। ৯০০ বছর আগে পণ্ডিত জীমুতিবাহনের পুস্তিকা আর ৮০০ বছর আগে লেখা ‘টাকা সর্বস্ব’ গ্রন্থেও ইলিশের উল্লেখ পাওয়া যায়। ইলিশের বিচরণক্ষেত্র ব্যাপক। এরা থাকে সমুদ্র, মোহনা ও নদীতে। সমুদ্রে এরা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, ভিয়েতনাম ও চীন সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। শাতিল আরব, ইরান ও ইরাকের ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস, পাকিস্তানের সিন্ধু, ভারতের পূর্ব ও পমিশ্চমাঞ্চলীয় নদীগুলো, মিয়ানমারের ইরাবতী এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভিন্ন নদীসহ পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলী নদী ইলিশের আবাসস্থল।
ইলিশ প্রজননের উদ্দেশ্যে স্বাদুপানির স্রোতের উজানে অগভীর পানিতে উঠে আসে এবং ডিম ছাড়ে। মুক্ত ভাসমান ডিম থেকে পোনা বের হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক মাছ (জাটকা) নদীর ভাটিতে নেমে সমুদ্রে পৌঁছে বড় হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রজননক্ষম হয়ে জীবনচক্র পূর্ণ করার জন্য আবার নদীতে ফিরে আসে।
ইলিশ না খেলে কী হয়?
অনেকে বলেন, ইলিশ না খেলে কী হয়? এটা অনেকটা আঙ্গুর ফল টকের মতো। কথা হচ্ছে, কেউ যদি ইলিশ খেতে না চায়, খাবে না; কিন্তু যদি কিনে খেতে পারে খাবে; কিন্তু প্রশ্ন হলো ইলিশ মাছ নিয়ে উন্মাদনার কারণ কি শুধু এর স্বাদ? পুষ্টিবিজ্ঞান বলছে, ইলিশ মাছ খাদ্যমানেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ মাছে উচ্চ মাত্রায় আমিষ, অসম্পৃক্ত চর্বি, খনিজ পদার্থ, তেলে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ থাকে এবং কিছুটা ভিটামিন ‘বি’ও পাওয়া যায়। ইলিশ মাছের চর্বিতে প্রায় ২ শতাংশ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এ মাছ খেলে মানুষের দেহের রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়। ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ নির্ভর করে মাছের তেলের পরিমাণের ওপর। অর্থাৎ যে ইলিশের তেল বা চর্বি বেশি, সেই ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ বেশি। মাংসের চর্বি যেমন ক্ষতিকর, মাছের চর্বি তেমনি উপকার।
ইলিশ কেন সব জায়গায় পাওয়া যায় না?
একসময় বাংলাদেশের প্রায় সব প্রধান নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যেত; কিন্তু দেশের বাইরে এবং ভেতরে নানাবিধ বাঁধ নির্মাণের ফলে পানি প্রবাহ হ্রাস, পলিভরাট, জলজ পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি কারণে ইলিশ মাছের ব্যাপক আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়েছে। এরই মধ্যে ফেনী, মাতামুহুরি, কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, ধনু, কালনি, হুরাসাগর, কুমার, নবগঙ্গা, চিত্রা ইত্যাদি নদীর ইলিশ মাছের আবাসস্থল সম্পূর্ণরূপে এবং গড়াই, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মহানন্দা এবং পদ্মা নদীর ওপরের অংশের আবাসস্থল প্রায় ধ্বংসের পথে। গঙ্গা নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তনের জন্য ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণের পর ডিম ছাড়ার জন্য উজানে যাওয়ার আগেই উপকূলীয় অঞ্চল ও মোহনায় ইলিশ ধরা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীতে এখন আর ইলিশ পাওয়া যায় না বললেই চলে।
বঙ্গোপসাগরের অভিন্ন সম্পদ
ইলিশ মাছ বঙ্গোপসাগরের একটি অভিন্ন সম্পদ। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের অংশে ধরা পড়া ইলিশ একই মজুদ ভাণ্ডারের অংশ। বাংলাদেশের মতো ভারতের গঙ্গা অববাহিকার হুগলি-মাতলা মোহনা অঞ্চল, গোদাবরী, দয়া ইত্যাদি নদীতেও ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র আছে এবং প্রচুর পরিমাণে জাটকা ধরা পড়ে। কাজেই ইলিশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে যৌথ ব্যবস্থাপনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যথায় এক দেশ এ মাছ সংরক্ষণের কাজ করে যাবে আর অন্য দেশ অতিমাত্রায় ইলিশ আহরণ করলে আন্তঃদেশীয় কোন্দল সৃষ্টি হতে পারে। সাগর অঞ্চলে ইলিশ মাছের মজুদ বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা, যৌথ গবেষণা, পরিবেশদূষণ, পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ, পরস্পর তথ্যের আদান-প্রদান এবং ইলিশের জন্য একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি সহযোগিতার মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।
ইলিশ নিয়ে কেন এত আলাপ?
ইলিশ নিয়ে কেন আলাপ? শুধু কি ইলিশ মাছের দামই বেশি এবং এটি খেতে না পারার কারণে সাধারণ মানুষের এত আক্ষেপ? প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্বাদু পানিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬৬ প্রকৃতির মাছ শনাক্ত করা হয়েছে। সামুদ্রিক এলাকার নোনা পানিতে খাবারযোগ্য ও জনপ্রিয় মাছ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৩৩ গোত্রের ৪৭৫ প্রজাতির মাছ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে; কিন্তু এখন বাজারে চোখে পড়ে হাতেগোনা কিছু মাছ। বিশেষ করে একসময় যেসব মাছ নদী-খাল-বিল-পুকুর-হাওর-বাঁওড়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো- তার অধিকাংশই এখন বিপন্ন।
প্রতি বছর কৃষি জমি থেকে হাজার হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক নদীতে মিশে যাচ্ছে। হাজার হাজার শিল্প-কারখানার অপরিশোধিত বিষাক্ত বর্জ্য, গৃহস্থালির বর্জ্য ও পয়োনিষ্কাশনের বর্জ্য সরাসরি বিভিন্ন নদনদী এবং উপকূলীয় এলাকায় ফেলা হয়। এসব কারণেও ইলিশসহ উন্মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য সম্পদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে। ফলে শুধু ইলিশ নয়, এখন নদী, সমুদ্র ও প্রাকৃতিক জলাধারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা অন্য মাছও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ধরা যাক, তপসে মাছ। যাকে অনেক এলাকায় রামশোস নামেও ডাকা হয়।
কমলা রঙের অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছের কেজি এখন ছয় থেকে সাতশো টাকা। তাও মাঝারি আকারের। বড় আকারের তপসে এবং সেটা যদি খুব তাজা হয়, তাহলে তার দাম আরও বেশি।
নদী ও হাওরের আইড় মাছ এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বোয়াল মাছও। এগুলোর কেজি বারশো থেকে দেড় হাজার টাকা। নদীর রিঠা এখন কালেভদ্রে চোখে পড়ে। সাদা রঙের পাতলা কাজলী মাছের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা। সুপার শপ ছাড়া এখন পাওয়া যায় না। মানে বড়লোকের মাছ। কাঁটাওয়ালা ছোট মাছ বাতাসির কেজিও ৭০০ টাকার কম না।
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাছের মধ্যে কেবল পোয়া মাছের দামই তুলনামূলকভাবে কম। এর বাইরে নদী-পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাধারে বেড়ে ওঠা বাকি সব মাছই এখন চাষ হয়। ফলে তার দাম এখন পর্যন্ত মধ্যবিত্তের নাগালে আছে। যেমন তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, পাঙাস ইত্যাদি। সাম্প্রতিক সময়ে সামুদ্রিক মাছ বাজারে কম চোখে পড়ে। একজন মাছবিলাসী হিসেবে এটা বলতে পারি, নদী ও প্রাকৃতিক জলাধারে বেড়ে ওঠা মাছের দাম যেভাবে দ্বিগুণ হয়েছে, সে তুলনায় ইলিশের দাম গত কয়েক বছরে অন্তত দ্বিগুণ হয়নি। তাছাড়া ছোট আকারের ইলিশ অনেক সময় ৭০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যায়; কিন্তু ৭০০ টাকায় ইলিশের চেয়েও ছোট কাজলী মাছ পাবেন না। কাজলী মাছের স্বাদ তো অনেকের কাছে ইলিশের চেয়েও বেশি। আসলেই বেশি। ধনে পাতা দিয়ে এর মাখা মাখা ঝোল গরম ভাতের সঙ্গে অমৃত; কিন্তু নাগরিক মানুষ কতজন এই মাছ চেনেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
মোদ্দা কথা, শুধু এক ইলিশ নিয়ে কথা বলে, স্ট্যাটাস দিয়ে, হাহুতাশ করে এর ব্র্যান্ড ভ্যালু আরও বাড়িয়ে দেয়া ছাড়া কোনো লাভ হয় না। বরং নদী-হাওর-বিল থেকে যে প্রাকৃতিক মাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে বা এখনই বিলুপ্তপ্রায়- সে বিষয়ে বেশি বেশি কথা বলা দরকার। কী কারণে এসব প্রাকৃতিক মাছ মাছে ভাতে বাঙালির পাত থেকে উঠে যাচ্ছে বা গেল- সেটির নির্মোহ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ফসলের উৎপাদন বাড়াতে জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার ও জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার; নদী ও খাল দখল করে এর প্রবাহ এবং সেইসঙ্গে মাছের প্রজননস্থল ধ্বংস করা; শিল্পায়নসহ নানা কারণে নদী ও খালের পানি দূষণসহ আরও যেসব কারণে প্রাকৃতিক মাছ এখন ইলিশের চেয়েও দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেল- সে বিষয়ে রাষ্ট্রের নজর দেয়া দরকার।
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে না
নদীর অনেক মাছ এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এখানে মৎস্যবিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য; কিন্তু এটিও স্বীকার করতে হবে যে, নদী-পুকুর-খাল বা বিলে জন্ম ও বেড়ে ওঠা শিং মাছের যে স্বাদ, সেটি কোনোভাবেই চাষ করা মাছে পাওয়া যাবে না। দেখতে একইরকম হলেও স্বাদের পার্থক্য অনেক। নিশ্চয়ই এর পুষ্টিমানেও পার্থক্য থাকে। সুতরাং নদীর হারিয়ে যাওয়া অনেক মাছ এখন চাষের কল্যাণে ফিরে এসেছে এটা হয়তো একধরনের সান্ত্বনা কিংবা মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতেও নিশ্চয়ই এর অবদান রয়েছে- কিন্তু যারা প্রাকৃতিক জলাধার থেকে ধরা এসব মাছের স্বাদ পেয়েছেন, তাদের জন্য এটি খুব বেশি সুসংবাদ নয়। বরং তারা চায় মাছের আসল স্বাদ। সেই স্বাদ ফিরিয়ে আনা তথা নদীনদীর সঙ্গে সংযুক্ত পুকুর ও দীঘি, খাল, বিল, হাওর-বাঁওড়ের পরিবেশ উন্নত করে সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে ওঠা মাছের প্রজনন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা বেশ কঠিন কাজ। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে। কেননা ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নদীর পানিপ্রবাহ শুধু বাংলাদেশের জলবায়ু ও আবহাওয়ার ওপরেই নির্ভর করে না বরং উজানের দেশ ভারত যদি তার সুবিধামতো অভিন্ন নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করে নেয় এবং বাংলাদেশের শুকনো মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি না ছেড়ে বাঁধ ও ব্যারাজ দিয়ে আটকে রাখে, তাহলে বাংলাদেশের নদীগুলো প্রাণহীন হয়ে যায়। বছরের পর বছর ধরে শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশকে এই সংকটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সুতরাং নদীর সুস্বাদু মাছের অতীত ফিরিয়ে আনতে হলে অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি বলেছেন, ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হবে। মনে রাখা দরকার, অভিন্ন নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা কেবল নদীর পানি ও পলির স্বার্থেই জরুরি নয় বরং নদীমাতৃক বাংলাদেশ হিসেবে এই ভূখণ্ডের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাতের সঙ্গে যে মাছের সম্পর্ক; যে সম্পর্কের কারণেই বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি- সেই বাঙালিত্ব ফিরিয়ে আনতেও বাংলাদেশ-ভারত নদী কূটনীতির ভূমিকা অনেক।
আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে