Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

সংস্কৃতিহীন হয়ে পড়লে একটি জাতির নৈতিকতা বলে কিছু থাকে না

Jayanta Chattopadhyay

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একাধারে একজন অভিনেতা ও বাচিকশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুলনার সাতক্ষীরায় বেড়ে উঠেছেন এমন এক পারিবারিক পরিবেশে, যেখানে গানবাজনা আর অভিনয় ছিল আলো-বাতাসের মতোই। তার বাবা ভালো আবৃত্তি করতেন, বাড়িতে ছিল নিজস্ব থিয়েটারের দল। তিনি প্রচুর সিনেমা ও নাটকে অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা ও প্রশংসা। সম্প্রতি এই গুণী অভিনেতা তার শিল্পীজীবন ও বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলেছেন ‘ভিউজ বাংলাদেশ’ এর সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কামরুল আহসান

ভিউজ বাংলাদেশ: আপনার ছেলেবেলার কথা দিয়েই শুরু করা যাক। আপনাদের বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ছিল। নিজস্ব নাট্যমঞ্চ ছিল। যেখানে আপনি ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করতেন। সে সম্পর্কে কিছু বলুন
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: অভিনয় শুধু না, আমাদের বাড়িতে সংগীতের চর্চাও ছিল। শুধু আমাদের বাড়িতে না, আমাদের পুরো এলাকাটাতেই একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল। এলাকাটাতে সংগীতের চর্চা বেশি হতো। নাটক ছিল, তবে, নাটক বেশি হতো আমাদের বাড়িতেই। আর যাত্রার খুব চল ছিল। কিন্তু সেই যাত্রাগুলো এখনকার মতো না। যাত্রাগুলো ছিল পঞ্চাংকের। এসব নাটকের বিষয় ছিল পৌরাণিক, দেশাত্মবোধক ও ঐতিহাসিক।

ভিউজ বাংলাদেশ: ওই সময়ের যাত্রাপালার কথা বলুন। কী কী যাত্রাপালার কথা মনে আছে আপনার?
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: ‘পূর্বাহ্ন’ নামে আমি আমার যে স্মৃতিকথা লিখেছি সেখানে প্রচুর যাত্রাপালার উল্লেখ আছে। অনেক ডিটেইল বর্ণনা রয়েছে। কীভাবে যাত্রাপালা শুরু হতো, মাঝখানে বিরতিগুলো কীভাবে হতো, সব বর্ণনা আছে। সব যাত্রাপালাতেই বিবেক বলে একটা চরিত্র থাকত। নেগেটিভ চরিত্রগুলো যখন তাদের কাজকর্ম করে, তখন বিবেক চরিত্রটি মঞ্চে উঠত, তাদের পোশাক থাকত বাউলের মতো, গান গেয়ে তারা বিবেক জাগ্রত করত দর্শকের। অশুভের বিরুদ্ধে শুভের আহ্বান জানাত বিবেক।

ভিউজ বাংলাদেশ: আপনি কখনো যাত্রায় অভিনয় করেছেন?
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: আমি শিশুকালে যাত্রাতে অভিনয় করেছি শিশু চরিত্রে, আর বড় হয়ে অনেক যাত্রা করেছি। বাঙালি বলে একটা যাত্রাপালা। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই যাত্রাপালাটা গ্রামগঞ্জে প্রচুর হতো। কারণটি কী, এটা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপরে। সেখানে আমি অভিনয় করি দাউদ খাঁর ভূমিকায়। পাঠানরা কিন্তু বাঙালিদের পক্ষে ছিল। ইশা খাঁ, ইশা খাঁর পুত্র মুসা খাঁ কিন্তু পাঠান ছিল। দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে বৈরম খাঁর কাছে হেরে গিয়ে ওরা এখানে, এই বঙ্গদেশে পালিয়ে আসে। কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে এই অঞ্চলটা মুঘলদের জন্য অস্বস্তিকর ছিল। ওরা হাইল্যান্ডার তো, উচ্চভূমিতে বাস করে অভ্যাস, কারণ ওরা এসেছিল এশিয়া মাইনর থেকে। মুঘল সাম্রাজ্য পতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে তাদের কোনো নৌবাহিনী ছিল না। ওরা জলে ভয় পেত। সে জন্য মুঘলবাহিনী বাংলাদেশকে কখনো পুরোপুরি জয় করতে পারেনি। মাঝে মাঝে জয় করেছে, আবার চলে গেছে, আবার এরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। এই চলেছে। এই যে বারো ভূঁইয়ার ব্যাপারটা, বারো ভূঁইয়া মানে কী, বারোজন জমিদার, তাদের সম্মিলিত শক্তির কাছে মুঘল বাহিনী বহুবার পরাজিত হয়েছে। তো এই জন্য পাঠানরা এখানে এসে পালিয়েছিল। পলায়নের পর এখানকার সোনারগাঁয়ের চাঁদরায় কেদারনাথের কাছে ইশাখাঁ আশ্রয় নেন। চাঁদরায়ের মেয়েকে উনি বিবাহ করেন। যাই হোক, তারপর অনেক ইতিহাস। এসব ইতিহাস নিয়ে অনেক যাত্রাপালা হয়েছে। আমিও তার কিছু কিছু পালা করেছি।

ভিউজ বাংলাদেশ: বাংলাদেশে যাত্রাপালার এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ছিল। এই যাত্রাপালা হারিয়ে গেল কেন? আর যাত্রাপালা হারিয়ে যাওয়াতে কী ধরনের ক্ষতি আমাদের হয়েছে?
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: যাত্রা হচ্ছে আমাদের পিপলস থিয়েটার, যেমন জাপানের কাবুকি। তারা কিন্তু এখনো কাবুকি ধরে রেখে দিয়েছে। আমরা কিন্তু যাত্রাটা ধরে রাখতে পারিনি। কারণ এর পেছনে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সম্ভবত ১৯৭৮-৭৯ সাল থেকে। যাত্রাগুলো হতো বিভিন্ন মেলার ওছিলায়। যেমন, দোলের মেলা, বারুনির মেলা, চৈত্রসংক্রান্তির মেলা, নববর্ষ মেলা- এরকম নানান উপলক্ষে। এ ছাড়া গ্রামের লোকের শৌখিন নাট্যদল ছিল, যারা যাত্রাপালা করত। এখানে হাজার হাজার পেশাদারি যাত্রাশিল্পী বেঁচে ছিলেন। বেশির ভাগ ছিল চট্টগ্রাম এবং মানিকগঞ্জে।

মানিকগঞ্জে প্রচুর লোক যাত্রাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল পেশাজীবী হিসেবে, যার পরিপ্রেক্ষিতে অমলেন্দু বিশ্বাস, জ্যোৎস্না বিশ্বাস যাত্রাকে অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭১-এর যে পরাজিত শক্তি তারা দেখল, যে একটা জাতিকে যদি পঙ্গু করে দিতে চাই, তাহলে তার সংস্কৃতির শিকড়টাকে কেটে দিতে হবে। তার যে আবহমান সংস্কৃতির শিকড়, সেটাকে উপড়ে ফেলতে হবে। তারা করল, একটি ধর্মীয় অজুহাত তুলে আমাদের সংস্কৃতির শিকড় উপড়াতে লাগল। এই যে মেলাগুলো হতো, এগুলো কিন্তু কোনো ধর্মীয় মেলা না। পার্বণ বলে এগুলোকে। আমাদের দেশের কৃষকদের সঙ্গে এগুলো সম্পৃক্ত। কৃষক, চাষাবাদ এবং ফসল এগুলোর সঙ্গে এই মেলাগুলো সম্পৃক্ত। এ জন্য নবান্নের উৎসব হতো। এগুলোকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যও হতো। যেমন, চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষের যে উৎসব হতো সেগুলো সম্পূর্ণ ব্যবসা-সংক্রান্ত। সারা বছর মানুষজন ব্যবসায়ীদের কাছে আংশিক বা সম্পূর্ণ বাকিতে খেত, চৈত্রসংক্রান্তির দিনে তারা সব শোধ করে দিত। এটার প্রচলন করেছিলেন সম্রাট আকবর। আকবর তার খাজনা আদায়ের জন্য এটা করেছিলেন। ইংরেজরাও সেটার আদলে সেকশন ল করেছিলেন। নতুন বছরে হালখাতা খুলেছিলেন। হালখাতা মানে কী? নতুন বছরের পুরোনো দেনা শোধ করে নতুন খাতা খোলা। সেই জন্য যাত্রাপালা হতো।

আমাদের সাতক্ষীরাতেই যেটা হয়েছে, যাত্রাপালা ও সার্কাস নষ্ট করে দেয়া হলো। পুতুল নাচ, কবিগান, জারিগান ও বাউলমেলা হতো। সত্তর দশকের শেষের দিকে এখানে যখন ওয়াহিবিজম ঢুকে পড়ল, সেইসঙ্গে যখন পেট্টো ডলার আসা শুরু করল এখানে, তখন থেকেই শুরু এগুলোকে শেষ করে দেয়া। একটি জাতি যদি তার সংস্কৃতিহীন হয়ে পড়ে, সেই জাতির মরাল বলে যে জিনিসটা, তা আর থাকে না। তারা তখন সুবিধাবাদীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। তার স্বাভাবিক চিন্তার ক্ষমতা থাকে না। মস্তিষ্কটা দান করে ফেলে। তার যুক্তিবোধ থাকে। তখন সে যা বিশ্বাস করে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। তখন এদের ব্যবহার করা সহজ হয়ে যায়।

আরেকটি কথা, আমাদের দেশের গ্রামের ছেলেমেয়েরা যে লেখাপড়া করে, পাঠশালা থেকে ফিরে তারা কী করবে? তাদের কি বিনোদনের মতো কিছু আছে? তখন তাদের কিছুই করার থাকে না। তারা তখন মাদক নেশায় আসক্ত হয়। নানা মতবাদে আসক্ত হয়। তাদের যখন বলা হয় এটা হারাম, তারা বিশ্বাস করে ফেলে। এখন তো এটাই হচ্ছে।

ভিউজ বাংলাদেশ: ‘আপনি, তুমি, তুই’ শিরোনামে আপনি যে সিরিজ কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন, তার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছু বলুন
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: বছর দশেক আগে আমি একটি রোজনামচা লিখতাম। সেই রোজনামচাটা কাব্যভাষায় লিখতাম। এখন যে ফেসবুক হয়েছে খুব জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এর পাতায় আমি লেখা শুরু করি। এর মানে কী, একজনের সঙ্গে আমার আলাপ হলো, তখন তাকে আমি কী বলে সম্মোধন করব? একটা সর্বনাম আছে তো। একমাত্র বাংলা, হিন্দি, উর্দু আর সংস্কৃতিতেই সম্মানসূচক সর্বনাম আছে। আপনি, তুমি, তুই। অন্য ভাষায় কিন্তু নেই। অন্যভাষায় শুধু ইউ। এক বচনেও ইউ, বহু বচনেও ইউ। তো এর একটি মজা আমি পেলাম। আপনি, তুমি এবং তুই এই ডাকের মধ্যে কিন্তু সম্পর্কের রূপটা বোঝা যায়। একজনের সঙ্গে নতুন আলাপ হলো, প্রথমে আপনি, আরেকটু ঘনিষ্ঠ হলাম, তখন তুমি হলো, ঘনিষ্ঠতা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়, তখন তুই হয়ে যায়। তখন মাথার মধ্যে চিন্তা এলো যে, আচ্ছা, ঠিক আছে, এই শিরোনামে একটা সিরিজ লিখি।

এটা হতে পারে প্রেম, হালকা ভালোবাসা, বা বন্ধুত্ব। এই যে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলো- এটা ভিত্তি করে আমি প্রতিদিন একটি-দুটি করে কবিতা লিখতাম। আমার এক প্রকাশক বন্ধু এগুলো দেখে উচ্ছ্বসিত। সে বলল, আমি এগুলো প্রকাশ করব। এর সঙ্গে আমি আরেকটি কাব্যগ্রন্থ সংযোজন করেছিলাম, সেটা হচ্ছে ‘আমি’। আমি, আপনি, তুমি, তুই- এই চারটি কাব্যগ্রন্থ। এখন এটা এক মোড়কের মধ্যেই আছে। প্রতিটি কাব্যগ্রন্থে ১০০টি করে কবিতা আছে।

ভিউজ বাংলাদেশ: কলকাতায় আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে আপনি খুব খ্যাতিমান হয়েছিলেন। সে সম্পর্কে কিছু বলুন।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: আমি স্কুলজীবন থেকেই আবৃত্তি করতাম। আমাদের স্কুলগুলোতে এক সময় খুব ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল। এখন সেগুলো নেই। সব উধাও হয়ে গেছে। আমাদের বাৎসরিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যেত। বাকি ১৫ দিন ছুটি থাকত। এই ১৫ দিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে একাংক নাটকও থাকত। সেখানে আবৃত্তি ছিল, গান ছিল, নাচ ছিল। সেখানে সব ধরনের ছেলেমেয়েরাই আবৃত্তি করত। আমি একটু ভালো করতাম। কারণ পারিবারিকভাবেই আমাদের একটু শুদ্ধ উচ্চারণের চল ছিল। এর কারণ আমার মা কলকাতার মেয়ে। সেই জন্য ছোটবেলা থেকেই আমি পরিশীলিত বাংলা বলতে অভ্যস্ত ছিলাম।

কলকাতায় আমি মামা বাড়িতে থেকে পড়তে যাই। আমাদের কলেজেও বিরাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। সেখানেও আমি আবৃত্তিতে ভালো করি। তার আমি কল্যাণ হালদার নামে একজনের দ্বারা খুব উৎসাহিত হই। তিনি খুব ভালো আবৃত্তি করতেন। তিনি বললেন যে, তোমার সম্ভাবনা আছে। তারপর আমি স্বাভাবিকভাবেই আবৃত্তিতে জড়িয়ে যাই। ওখানে প্রচুর প্রতিযোগিতা হতো। প্রথমবার এক প্রতিযোগিতায় একটু স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার কারণে আমি দ্বিতীয় হলাম, পরবর্তীতে আর কোনোদিন দ্বিতীয় হইনি, প্রথমই হয়েছি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর পর আমি তিনবার প্রথম হই।

ভিউজ বাংলাদেশ: কাজী সব্যসাচীর সঙ্গে আপনার বেশ হৃদ্যতা ছিল। কাজী সব্যসাচী সম্পর্কে জানতে চাই আপনার কাছে।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়: এক প্রতিযোগিতায় আমার ইচ্ছে হয়েছিল যে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’কবিতাটি আবৃত্তি করব। তখন আমাকে জানানো হলো যে, কাজী সব্যসাচী এসেছেন। তখন উনার জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় যে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের শেষেও শেষ আকর্ষণ হচ্ছেন কাজী সব্যসাচী। ওনার জন্য সবাই বসে থাকতেন। উনি গ্রিন রুমে বসে আছেন। আমাকে বুড়োদা বললেন, তুই তো বিদ্রোহী আবৃত্তি করতে চাস; কিন্তু দর্শক তো কাজী সব্যসাচীকে অনুরোধ করবেই বিদ্রোহী দিয়ে শেষ করতে। আমি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি বিদ্রোহী পড়ব, মনে মনে ওটা আওরাচ্ছি। বুড়োদা বললেন, তুই গিয়ে অনুমতি নিয়ে আয়। আমি বললাম, যাব? আমার তো ভয় লাগছে। উনি বললেন, যা। আমি গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি মুখ তুলে তাকালেন, নামধান জিজ্ঞেস করলেন। আমি কাচুমাচু করে বললাম, আপনি যদি বিদ্রোহী কবিতাটা আমাকে আবৃত্তির অনুমতি দেন। উনি তাকালেন, আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। তিনি বললেন, ঠিক আছে, তুমি কর; কিন্তু তুমি আমাকে আশ্বস্ত কর দর্শকদের পক্ষ থেকে আমাকে যেন আর এই কবিতাটি পুনর্বার আবৃত্তি করার জন্য অনুরোধ না জানানো হয়।

তো আমি আবৃত্তি করলাম। দর্শক আর ওনাকে অনুরোধ করেনি। পরে তিনি আমাকে বললেন, কাগজ-কলম নাও, আমার বাসার টেলিফোন নম্বর লিখো। রোববার চলে এসো। আমি দ্রুত তাকে প্রণাম করলাম।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ