জনশক্তি রপ্তানি খাত
প্রবাসীদের উপার্জিত রেমিট্যান্স বিনিয়োগে আসছে না কেন?
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জনশক্তি রপ্তানি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মূলত গত শতাব্দীর সত্তরের দশক থেকে ব্যাপক মাত্রায় জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করা হয়। পরে এই খাতটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করতে থাকে। বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান করছে। জনশক্তি রপ্তানি খাত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আনয়ন করা ছাড়াও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ক্রমেই কমছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ কেন হ্রাস পাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালানো প্রয়োজন।
অনেকেই বলছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের উপার্জিত অর্থ ঠিকই দেশে প্রেরণ করছেন কিন্তু সেগুলো তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করছেন। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের হাতে না থাকলেও এই আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় কার্ব মার্কেটে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অনেক বেশি। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্থানীয় মুদ্রায় ১১০/১১২ টাকা পাওয়া যায়। আর হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরণ করলে প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রায় ১২০/১২৫ টাকা পাওয়া যায়। এই অবস্থাকে অস্বাভাবিক বা অবাস্তব বলা যাবে না। একজন মানুষ যখন হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠালে ১০ টাকা বা ১২ টাকা বেশি পাবে, তখন তিনি হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ দেশে প্রেরণ করতে আগ্রহী হতেই পারেন।
হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণ রোধ করার জন্য দুটি কাজ করা উচিত ছিল। প্রথমত, প্রবাসী আয়ের ওপর প্রদেয় নগদ আর্থিক সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেয়া। প্রবাসী বাংলাদেশিরা যখন দেখতেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ করলেও হুন্ডির সমান অর্থ পাওয়া যায়, তাহলে তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণে আগ্রহী হতেন। দ্বিতীয়ত, যারা হুন্ডি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। হুন্ডি মার্কেট বহাল আছে কেন? আমার দেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। একইভাবে বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে। এই দুটোই অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত খারাপ। হুন্ডির মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে না। প্রবাসী বাংলাদেশিরা যদি ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ দেশে পাঠাতেন তাহলে সেই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যুক্ত হতো। বর্তমানে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের যে স্বল্পতা প্রত্যক্ষ করছি তা হতো না। একই সঙ্গে পণ্য রপ্তানির বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে থেকে যাচ্ছে। এগুলো দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
কারও কারও মতে, রপ্তানি আয়ের অন্তত ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে আসেনি। এই অর্থ দেশে এলে আমাদের রিজার্ভের স্ফীতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেতো। পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ের নামে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যে অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে তা রোধ করার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থ পাচারের জন্যই হুন্ডি মার্কেট টিকে আছে। অর্থ পাচার বন্ধ করা গেলে হুন্ডি ব্যবসায়ে ধস নামবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। এখন হুন্ডি ব্যবসায়ীদের রমরমা অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যাপ্ত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিতে পারছে না তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে হুন্ডি মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে তাদের প্রয়োজন পূরণ করছেন। যেহেতু মার্কিন ডলারের সংকট চলছে, তাই বিদেশে অধ্যয়নরত ছাত্রদের জন্য টাকা পাঠাতে গেলেও হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতে হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য কেউ বিদেশে গেলেও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হচ্ছে।
বাজারে মার্কিন ডলারের চাহিদা এবং জোগান উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করার সুযোগ আছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। এ জন্য রেমিট্যান্স কিছুটা কমতে পারে; কিন্তু আমাদের দেশে রেমিট্যান্স কমার কারণ হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক জনশক্তি বিদেশে যাচ্ছে, তারা নিশ্চয় বেতন-ভাতা ছাড়াই কাজ করছে না। তারা টাকা দেশে প্রেরণ করছেন; কিন্তু সেই টাকা তারা ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরণ করছেন। হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করলে স্থানীয় মুদ্রায় বেশি অর্থ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া হুন্ডি ব্যবসায়ীরা বাড়িতে গিয়ে অর্থ পৌঁছে দিচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্থানীয় বেনিফিশিয়ারিদের কষ্ট করে ব্যাংকে যেতে হচ্ছে না। আমাদের দেশ থেকে যে জনশক্তি প্রতি বছর বিদেশে রপ্তানি করা হয়, তার বেশির ভাগই অদক্ষ এবং অপ্রশিক্ষিত শ্রমিক। তারা বিদেশে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন। মজুরি পান তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে। একই সঙ্গে পেশাজীবীদের বেশি বেশি করে বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। তবে কাজটি এক দিনে বা রাতারাতি করা সম্ভব হবে না।
সরকার বিভিন্নভাবে বিদেশি রপ্তানিযোগ্য শ্রম শক্তিকে প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এ জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায়ের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে এ জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। দক্ষ শ্রমিক এবং পেশাজীবীদের বিদেশে প্রেরণ করা গেলে রেমিট্যান্স ব্যাপক পরিমাণে বাড়বে এতে কোনোই সন্দেহ নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই জানে। দক্ষ শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণের ব্যাপারে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে জনশক্তি রপ্তানি কার্যক্রম মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে বিদেশ গমনেচ্ছুদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তারা নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সরকারিভাবে ‘জি টু জি’(গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে জনশক্তি রপ্তানি করা গেলে খরচ এবং হয়রানি উভয়ই কমতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। স্বল্পকালিন সময়ে এটা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
তাই এ ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন গ্রেটভিত্তিক পড়াশোনা আমাদের দেশে হচ্ছে। যেমন কেউ হয়তো নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করছে। কেউ হয়তো ট্যুরিজম নিয়ে পড়াশোনা করছে। তারপর বিদেশে যাচ্ছে কি যাচ্ছে না, সেটা তো ব্যক্তি বিশেষের ওপর নির্ভর করছে। বৈধভাবেই হোক আর অবৈধভাবেই হোক আমাদের দেশ থেকে বিদেশে যাবার খরচ অনেক বেশি। এই ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেকেই ইচ্ছা এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না। যদি বিদেশে যাবার ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনা যেত তাহলে আরও অনেকেই কর্মসংস্থান উপলক্ষে বিদেশে যেতেন। এতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত। এ ব্যাপারে সরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, এক সময় এই সমস্যা থাকবে না; কিন্তু আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজটি করতে হবে, তা হলো, প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে তার ব্যবস্থা করা।
আমাদের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হচ্ছে রেমিট্যান্স। পণ্য রপ্তানি খাত এখনো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের শীর্ষ খাত হলেও এই খাতে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশই কাঁচামাল ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে চলে যায়। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম; কিন্তু জনশক্তি রপ্তানি খাত থেকে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়, তার প্রায় পুরোটাই জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে। একই সঙ্গে এ খাত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে। বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। তারা যদি দেশে থাকতেন, তাহলে বেকার সমস্যা কোথায় গিয়ে উপনীত হতো তা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে।
আমাদের দেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে ধাবিত হচ্ছে। অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি বেশি দিন টিকতে পারে না। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানি পণ্য তালিকায় এমন সব পণ্যের উপস্থিতি বাড়াতে হবে যেসব পণ্য স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কার্যত তৈরি পোশাক নির্ভর। তৈরি পোশাকের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। রপ্তানি পণ্য তালিকায় নতুন নতুন পণ্যের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। আমদানিকৃত কাঁচামাল নির্ভর শিল্প দিয়ে বেশি দিন টেকা যাবে না। আমাদের স্থানীয় ও বিদেশে বিনিয়োগ আহরণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। কারণ ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে না। আর নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্য অর্জন করা যাবে না। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করতে হলে আমাদের স্থানীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জনশক্তি রপ্তানি খাত একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। এই খাতকে সব ধরনের দুর্নীতির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে।
বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উত্থাপিত হয়ে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপার্জিত রেমিট্যান্স বিনিয়োগে আসছে না কেন? যারা বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গমন করেন তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবার থেকে আগত। তারা ধার দেনা করে বিদেশে যায়। এই দেন শোধ করতে অনেক দিন সময় লেগে যায়। পরিবারের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ খরচ করতে হয়। তারপরও প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ বিনিয়োগের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থের প্রায় ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ হচ্ছে। দেশে উপযুক্ত ও কার্যকর বিনিয়োগ পবিবেশ নিশ্চিত করা গেলে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ বিনিয়োগে আসতে পারে। যারা কর্মসংস্থান উপলক্ষে বিদেশে গমন করেন তাদের প্রথম উদ্দেশ্য থাকে টাকা ধার করে বিদেশে গেলে সেই টাকা শোধ করা। তারপর পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যাপারটিও মেটাতে হয়। বাড়ি-ঘর নির্মাণ বা মেরামত করার বিষয়টিও তাকে গুরুত্ব দিতে হয়। সন্তানের পড়া-লেখায় বিনিয়োগ করতে হয়। সরাসরি ব্যবসায়-বাণিজ্যে বিনিয়োগ হয়তো তেমন একটা হয় না। যদি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি বিদেশে প্রেরণ করা যায়, তাহলে তাদের প্রেরিত অর্থ বেশি পরিমাণে বিনিয়োগে আসতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে যে জনশক্তি বিদেশে প্রেরণ করা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্যের ৬টি মুসলিম দেশে যাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা বা অন্যান্য উন্নত দেশে জনশক্তি রপ্তানি করা গেলে এ খাতের আয় অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশ থেকে যারা বিদেশে যায় তাদের বেশির ভাগই অদক্ষ শ্রমিক। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়া অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা অন্য দেশে খুব একটা নেই। তাই চাইলেই তারা আমেরিকা বা ইউরোপীয় দেশগুলোতে যেতে পারছে না।
লেখক: রিসার্চ ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস (বিআইডিএস), ঢাকা।
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে