অর্থঋণ আদালতে করা মামলা নিষ্পত্তিতে কেন বিলম্ব হয়?
মাঝে মধ্যেই আমাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, অর্থঋণ আদালতে করা মামলাগুলো কেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না! অর্থঋণ আদালত একটি স্পেশাল ‘ল’। মূলত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার এবং ত্বরান্বিত করার জন্যই অর্থঋণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। অর্থাৎ একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই অর্থঋণ আইনের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রশ্ন হলো, সেই বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে অর্থঋণ কতটা সক্ষম হয়েছে বা আদৌও সক্ষম হচ্ছে কি না?
এক সময় ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণ বা নন-পারফর্মিং লোনের উপস্থিতি অনেক বেড়ে গেলে সেই সময় অর্থঋণ আইন প্রণীত হয়েছিল। একই সঙ্গে অর্থঋণ আদালত গঠন করা হয়; কিন্তু দেখা যাচ্ছে অর্থঋণ আইন এবং এই আইন বাস্তবায়নের জন্য স্পেশাল আদালত গঠন করার পরও ব্যাংকিং সেক্টরের খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং দিন দিন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অর্থঋণ আইনটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে প্রণীত হয়েছিল সামান্য কিছু ধারা সংযোজন করে। এ আইনের উদ্দেশ্য ছিল খেলাপি ঋণ-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টরের খেলাপি ঋণের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনা; কিন্তু সেই উদ্দেশ্য কতটা সাধিত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে বটে। কারণ অর্থঋণ আদালতে মামলার জট ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তির গতিও খুবই মন্থর।
অর্থঋণ আদালত আইনে ব্যাংকের ম্যানেজারকে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে খেলাপি ঋণ আদায় পরিস্থিতি উন্নতি হতে বাধ্য। ব্যাংকের ম্যানেজার ঋণ দানকালে বন্ধক রাখা সম্পত্তি প্রয়োজন বোধে আদালতের রায় ছাড়াই বিক্রি করে ব্যাংকের পাওনা অর্থ আদায় করতে পারবেন। বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রি করেও যদি ব্যাংকের পাওনা আদায় না হয় তাহলে অবশিষ্ট পাওনা অর্থ আদায়ের জন্য আদালতে মামলা করতে পারবেন; কিন্তু ব্যাংকের ম্যানেজার প্রায়ই এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চান না। কারণ যখন আবেদনকারীর অনুকূলে ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর ও ছাড়করণ করে তার আগে বন্ধকীকৃত সম্পদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণকালে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ অথবা ১ দশমিক ৫০ শতাংশ মূল্যের সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে রেজিস্ট্রি মূলে বন্ধক দিতে হয়। অর্থাৎ কেউ ১০০ টাকা ঋণ নিতে চাইলে তাকে ১২৫ টাকা অথবা ১৫০ টাকা মূল্যের সম্পত্তি ব্যাংকের অনুকূলে বন্ধক দিতে হয়। অধিকাংশ সময়ই নানাভাবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ বন্ধকীকৃত সম্পদের অতি মূল্যায়ন করে দেখানো হয়। ফলে সেই সম্পত্তি যখন বিক্রি করতে যাওয়া হয় তখন উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যায় না। ব্যাংক ম্যানেজারের সহায়তা ব্যতীত কোনো ঋণ গ্রহীতার পক্ষে বন্ধকীকৃত সম্পদের অতি মূল্যায়ন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অনেক সময় এমনো দেখা গেছে, আদালত বন্ধকীকৃত সম্পদ বিক্রির আদেশ দিয়েছে কিন্তু বাজারে উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা: দায় কার?
আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে আরও একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যারা তুলনামূলক কম পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেন তাদের ঋণগুলো সত্যিকার অর্থেই জেনুইন। কম পরিমাণ ঋণ বলতে আমি এখানে ২/৩ কোটি টাকার ঋণের কথা বুঝাতে চাচ্ছি। যারা ২/৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করেন তারা সাধারণত ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করেন। ঋণ মঞ্জুরির সময় তারা যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করেই ঋণ গ্রহণ করেন। দেখা যায়, তারা ২ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন তখন অন্তত ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি জামানত হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক দিয়েছেন। ব্যাংক কর্মকর্তারাও এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সম্পদ ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে খুবই কঠোর। তারা এসব ক্ষেত্রে সম্পদের অবমূল্যায়ন করে থাকেন। অর্থাৎ যে সম্পদের মূল্য হয়তো ৫ কোটি টাকা তাকে ৪ কোটি টাকা দেখানো হয়। এরা সাধারণত নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন থাকেন। ব্যাংক যখন এ ধরনের ঋণের বিপরীতে বন্ধক দেয়া জামানত বিক্রি করতে যান তখন ঋণ গ্রহীতা পাগল হয়ে যান। ঋণ গ্রহীতা নিশ্চয়ই চাইবেন না ২ কোটি টাকা ঋণের জন্য ৪ কোটি টাকার সম্পদ হারাতে; কিন্তু যারা বড় অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই বন্ধকী সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা থাকে।
একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি যখন কোনো ব্যাংকের শাখায় ঋণ গ্রহণের জন্য আসেন তখন ব্যাংক ম্যানেজার তাদের পরামর্শ দেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সুপারিশ করানোর জন্য। অথবা ব্যাংক ম্যানেজার উপযাচক হয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির ঋণ মঞ্জুর করানোর জন্য সচেষ্ট হন। এসব ক্ষেত্রে গৃহীত ঋণের বিপরীতে প্রদত্ত বন্ধকী সম্পতির অতি মূল্যায়ন করা হয়। হয়তো ৫ কোটি টাকার সম্পদ ২৫ কোটি টাকা মূল্য দেখানো হলো। এখানে ঋণের অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা প্রসঙ্গটিও অবধারিতভাবে এসে যায়। কেউ যদি ২০ কোটি টাকা ঋণ নেবার জন্য ৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে ব্যয় করেন তাহলে তাকে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তেই হবে। কারণ তিনি ২০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করালেও তিনি প্রকৃত পক্ষে পাচ্ছেন ১৫ কোটি টাকা; কিন্তু তাকে কিস্তি দিতে হবে পুরো ২০ কোটি টাকার ওপরই। শেষ পর্যন্ত ঋণটি খেলাপিতে পরিণত হয়।
ব্যাংক যখন এই বন্ধকীকৃত সম্পদ বিক্রি করতে যায় তখন উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যায় না। এ ছাড়া প্রভাবশালী ব্যক্তির বন্ধক দেওয়া সম্পদ সাধারণত কেউ ক্রয় করতে চাইবেন না। আর ব্যাংক কর্মকর্তারাও প্রভাবশালী ঋণ গ্রহীতাদের চটাতে চায় না। কারণ এরা কোনো কারণে ব্যাংক ম্যানেজারের ওপর ক্ষিপ্ত হলে তার চাকরি চলে যেতে পারে। নিদেনপক্ষে বদলি অথবা অন্য কোনো ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবার আশঙ্কা থাকে। ব্যাংকের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষও এ ধরনের ঋণ গ্রহীতার প্রতি সদয় থাকেন। অনেক সময় একজন ঋণ গ্রহীতা যে কাজের জন্য ঋণ গ্রহণ করেন ঋণের অর্থ সেই কাজে ব্যবহার না করে অন্যত্রে প্রবাহিত করেন। এমনকি বিদেশে পাচার করেন বলেও অভিযোগ শোনা যায়। যারা বৃহৎ অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করেন এদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছেন যারা ঋণের অর্থ ব্যাংকে ফেরত না দেবার জন্যই ঋণ গ্রহণ করেন। কাজেই তারা এমনভাবে বন্ধকী সম্পদের ভ্যালুয়েশন করান, যাতে সেই সম্পত্তি বিক্রি করলেও তার কোনো অসুবিধা না হয়। কারণ বন্ধকীকৃত সম্পদের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে গৃহীত ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর এবং ছাড়করণ করা হয় রাজনৈতিক প্রভাবে। যে সরকার আমলে ঋণটি গ্রহণ করা হয় সেই সরকার আমলে ঋণ গ্রহীতা অনেকেটাই নিরাপদ থাকেন। ব্যাংক ঋণ গ্রহীতার পছন্দনীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বকেয়া ঋণ আদায়ের জন্য সাধারণত মামলা হয় না। মামলা হয় সরকার পরিবর্তন হবার পর। ব্যাংক যে মামলা দায়ের করে তা হয় অনেকটাই দায়সারা গোছের। কারণ ঋণ দেবার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। হয়তো ৬০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। সেই ঋণের বিপরীতে যে সম্পদ বন্ধক আছে তা নিলামে বিক্রি করলে হয়তো ব্যাংক ২০ কোটি টাকা পাবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক ম্যানেজারকে জবাবদিহি করতে হবে, কেন ঋণ দেওয়া টাকা উঠে এলো না। তখন ম্যানেজার বিপদে পড়বে। তাই তিনি মামলা করতে চান না।
আর মামলা করলেও সেই মামলার রায় যাতে ব্যাংকের অনুকূলে আসে সেজন্য তিনি তেমন একটা তৎপর থাকেন না। ব্যাংকের দিক থেকে এই মামলা বিলম্বিত হবেই। আবার ঋণ গ্রহীতার যে আইনজীবী থাকেন তারাও চেষ্টা করেন কীভাবে মামলার রায় প্রদান কার্যক্রম বিলম্বিত করা যায়। অর্থাৎ উভয় পক্ষের প্রচেষ্টাতেই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি না হয়ে বরং বিলম্বিত হয়। আমি আমার দেখা একটি বাস্তব ঘটনার কথা এখানে উল্লেখ করতে চাই। এক ভদ্রলোক কোনো একটি ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে খেলাপি হয়েছেন। তিনি তার ঋণ হিসাব পুনঃতপশিলীকরণ করাবেন। এই ভদ্রলোক অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং বিত্তবান। তিনি যখন ব্যাংকে গমন করেন তখন ব্যাংক ম্যানেজারসহ সবাই তাকে অত্যন্ত সমীহ করেন। ব্যাংক একজন ঋণ খেলাপিকে সম্মান প্রদর্শন করে। কারণ ঋণ খেলাপি হলেও তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি যদি সামান্যতম অসম্মান বোধ করেন তাহলে তিনি ব্যাংকের এমডির নিকট গিয়ে অভিযোগ করবেন। এতে সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজারের অসুবিধা হবে। এমনকি চাকরিও চলে যেতে পারে; কিন্তু আমার মতো একজন আমানতকারী যখন ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে যান তখন তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। ব্যাংক তাকে তেমন কোনো সম্মান প্রদর্শন করে না। অথচ ব্যাংকের কার্যক্রম চলে আমার মতো আমানতকারীর টাকা দিয়ে।
বাংলাদেশে যেসব বড় ঋণ মঞ্জুর করা হয় তার কোনোটিই বন্ধকী সম্পদ দিয়ে নিরাপদ করা যায় না। এক শ্রেণির অসৎ ব্যাংকার, অসৎ আমলা, অসৎ রাজনীতিবিদ মিলেমিশে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে ফেলছে। এরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা তুলে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। ব্যাংক থেকে যে বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয় প্রতি বছর তার বেশির ভাগই ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়। এমনকি এই টাকা বিদেশেও পাচার করা হয়। অর্থঋণ আদালতে যেসব মামলা দায়ের করা হয় তা দ্রুত নিষ্পত্তি হোক এটা পক্ষভুক্ত কেউই চায় না। ফলে মামলা নিষ্পত্তি বিলম্বিত হয়। শুধু আইন দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি দ্রুতকরণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জমির মালিকানা-সংক্রান্ত একটি সংশোধিত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘দলিল যার জমি তার।’ আইনের এই বিধানটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে; কিন্তু ‘দলিল যার জমি তার’ এটা নতুন কোনো বিধান নয়। একটি আইন এখনো বিদ্যমান আছে যেমন-কোনো ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি যদি কেউ ১২ বছর পর্যন্ত দখল করে রাখতে পারে কারও কোনোরকম দাবি ছাড়া তাহলে সেই জমি দখলদার নিজের বলে দাবি করতে পারেন। সরকারি জমির ক্ষেত্রে ৬০ বছর যদি সরকার জমির মালিকানা দাবি না করে তাহলে সেই জমি নিজের বলে দাবি করতে পারেন দখলদার। এই আইনটি এখনো বিদ্যমান আছে। বিদ্যমান আইনি ধারা বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি। ফলে নতুন আইনটি বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। পুরোনো আইন বাতিল না করে নতুন আইনটি সম্পূরক হিসেবে জারি করা হয়েছে। কাজেই নতুন এবং বিদ্যমান আইনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে। আবার কোনো জমির মালিকের হয়তো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ একজন ভুয়া দলিল সৃজন করে জমিটি দখল করে নিজের বলে দাবি করলেন। সেক্ষেত্রে কি হবে? এখানে কি ‘দলিল যার জমি তার’ আইনটি কার্যকর হবে? এটা করা হলে দেশে ভুয়া দলিল সৃজনের প্রবণতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। যারা আইন প্রণয়ন করছেন তাদের ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী বা আমলা। তারা আইনজ্ঞ নন। তাই আইনি মারপ্যাঁচ তাদের ততটা জানার কথা নয়।
জাতীয় সংসদ একটি দেশের আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ সংস্থা। তারা দেশের মানুষের জন্য আইন প্রণয়ন করেন। অথচ এদের বেশির ভাগের কোনো আইনি অভিজ্ঞতা নেই। তাই প্রণীত আইনে অনেক ধরনের অসংগতি থেকে যায়। আরও একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে ২৫ বছর বয়সী যে কেউ পাগল বা অপ্রকৃতিস্থতা না হলে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি, জাতীয় সংসদকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করার জন্য সংসদ সদস্যদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তারোপ করা যেতে পারে। কতটা শিক্ষত হলে একজন নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন। কতটা যোগ্যতা থাকলে একজন মন্ত্রী হতে পারবেন তা আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।
লেখক: সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলা ফাউন্ডেশন
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে