জিরো টলারেন্স স্বত্ত্বেও মাদক প্রতিরোধ কেন সম্ভব হচ্ছে না?
২৬ জুন ২০২৩ সালে দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘দেশে ৫ মাসে ৪২ হাজার মাদকের মামলা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে মাদকের মামলা হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার (৪১ হাজার ৭৫৯টি)। মামলাগুলোতে আসামির সংখ্যা ৫১ হাজার ৮৩৪ জন এবং এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ হাজার ২৩১ জন। বাকি ৪০ হাজার ৬০৩ জন পলাতক। বাংলাদেশে সাধারণত ১২টি রুট ব্যবহার করে মাদক পরিবহন হয়ে থাকে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদকের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় পাঁচ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা) পাচার হয়ে যাচ্ছে।
দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০ লাখ, এর মধ্যে ৮০ শতাংশই যুবক এবং ৫৭ শতাংশ যৌন অপরাধী। মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। ২০২২ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক বছরে সারা দেশে ১০ হাজার ৫৭৩ জন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে।
জানা যায়, দেশে ১ কোটিরও বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে এবং মাদকসেবীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই যুবক। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বেকার। মাদকাসক্তদের শতকরা ৫ জন নারী। উচ্চবিত্তদের চাহিদার মাদক আইস ১০ গ্রাম বাংলাদেশে বিক্রি হয় প্রায় ১ লাখ টাকায়। এছাড়া নতুন নতুন মাদকের মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল মেথ, ফেনইথাইলামিন, এলএসডি, ডায়মিথাইলট্রিপ্টামাইন বা ডিএমটি, ম্যাজিক মাশরুম, খাত, কুশ, এক্সট্যাসি, হেম্প, ফেন্টানিল, মলি ও এডারল। আইস মূলত স্নায়ু উত্তেজক মাদক যার কারণে হরমোনের উত্তেজনা হাজার গুণ বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, দাঁত ক্ষয় এবং স্থায়ী হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্ক বিকৃতি, ওজন হারানো, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, বিষণ্নতা, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
উপরোক্ত আলোচনায় বাংলাদেশে মাদকের ভয়াবহতার কিয়দংশ হলেও উঠে এসেছে, মাদক সেবীদের বয়স, মাদক সেবীদের সংখ্যা, কি কি ধরনের মাদক প্রচলিত, সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন মাদকের দাম, মাদক মামলার সংখ্যা, আসামীর সংখ্যা, গ্রেফতারের সংখ্যা, মাদকের ফলশ্রুতিতে শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, মাদকের কারণে দেশ থেকে বিপুল অংকের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে সেটিও পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। অর্থাৎ এ কথা স্পষ্টভাবে বলা যায়, বাংলাদেশে মাদক একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সৃষ্টি করেছে এবং মাদক একটি জাতীয় অভিশাপ।
কাজেই মাদককে একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে বাংলাদেশকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের যৌথ সম্মিলন থাকা অত্যন্ত জরুরি। মাদকের ভয়াল থাবায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঝরে যায়, মাদক সম্পৃক্ততার কারণে উঠতি বয়সীরা বিভিন্ন রকমের অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দূরত্বের সৃষ্টি হয়, মাদকসেবীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের ফলশ্রুতিতে সমাজে নৈরাজ্য ও অশান্তির সৃষ্টি হয়।
পরিবারের সাথে অন্য পরিবারের দ্বন্দ্বের সূচনা হয় এবং এক সমাজ থেকে অন্য সমাজের ব্যবচ্ছেদ সৃষ্টি হয়। মাদককে ঘৃণা করে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, তথাপি মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে সমাজের সবার অংশগ্রহণ দেখা যায় না। মাদক পাচার, মাদক সেবন ও মাদক বাজারজাতকারীদের কখনোই সমাজ থেকে নির্মুল করা সম্ভব হবে না; যতক্ষণ না পর্যন্ত মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সমাজে যারা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকের সঙ্গে কোনো না কোনো একটি পরিবার রয়েছে।
এই পরিবার থেকেই মূলত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনার প্রাথমিক দায়িত্ব পরিবারের। সবকিছুতেই সরকারকে দায় দিয়ে নিজেরা বসে না থেকে সরকারের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। তাহলেই সমাজ থেকে মাদকের মতো ভয়াবহ ও করালগ্রাসী ব্যধি পরিত্রাণ করা সম্ভব হবে। অপরাধবিজ্ঞানী কোহেল ও ফেলসন (Cohen & Felson) Routine Activity Theory তত্ত্বে দেখিয়েছেন, তিনটি উপযাজকের সমন্বয়ের কারণে অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অপরাধে আগ্রহী ব্যক্তি (motivated offender), লক্ষ্যের সহজলভ্যতা (suitable target), উপযুক্ত অভিভাবকের অনুপস্থিতি (absence of capable guardian)। এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় হলেই সেখানে অপরাধকর্ম সংঘটিত হয়ে থাকে। আমরা যদি মাদকের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ের হুবহু প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করি তাহলে একই ধরনের নমুনায়ন সুস্পষ্ট হবে। অর্থাৎ মাদক গ্রহণের প্রতি উঠতি বয়সী তরুণ কিংবা যারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছে তাদের একটি আগ্রহ রয়েছে, মাদক তখনই গ্রহণ করতে পারবে যখন মাদকের সহজলভ্যতা থাকে অর্থাৎ খুব সহজেই মাদক পাওয়া যায় এবং মাদক গ্রহণের ক্ষেত্রে যদি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বাঁধার অনুপস্থিতি থাকে তাহলেই একজন ব্যক্তি মাদক সেবন, পাচার ও বাজারজাত করতে পারে।
এই তিনটি উপাদানের মধ্যে একটিও যদি কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকে তাহলে মাদকের ব্যবহার ও সেবন কোনভাবেই সম্ভব হবে না। সাধারণত মাদক কারা গ্রহণ করে? এর উত্তরে বলা যায়, এক শ্রেণির অতিউৎসাহী রয়েছে যাদের নেশা জাতীয় দ্রব্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থেকেই মাদক সেবনের শুরু হয়ে থাকে। একবার কোনোভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে ফেরত আসার সম্ভাবনা বাস্তবিক অর্থেই ক্ষীণ হয়ে পড়ে। যাদের স্কুলিং ভালোভাবে হয়নি তারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় যাদের ঘাটতি থাকে তাদের মধ্যে মাদক গ্রহণ ও অপরাধ প্রবণতার প্রতি তীব্র ঝোঁকের সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া যে সব পরিবারে বাবা-মায়ের মধ্যে দূরত্ব থাকে কিংবা পারিবারিক সম্প্রীতিতে ঘাটতি থাকে, তথা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মেলবন্ধনের অভাব দেখা দেয় সে সব পরিবারের সন্তানরা মাদকসহ অন্যান্য অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, উচ্চবিলাশী মনোবৃত্তি, সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তির ব্যবচ্ছেদ প্রভৃতি কারণে উঠতি বয়সীরা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে।
ফলশ্রুতিতে কিশোর অপরাধের সংখ্যা ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়ন করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের যুতসই ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে জনমনে শান্তি ও স্বস্তি বিরাজ করছে এবং বিশ্বময় বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মাদকের ব্যাপারে সাধারণের মনে এখনো ভয় ও আশঙ্কা রয়েছে। মাদকের ব্যবহার ও বিস্তার কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মাদকের ভয়াবহতায় ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে এবং অপরাধ প্রবণতার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে।
এ জায়গায় সংশ্লিষ্ট সকলের আরও সোচ্চার এবং দায়িত্বশীল হওয়া ব্যতিরেকে সফলতা আনয়ন অসম্ভব। অনেকেই বলছেন, সর্ষের ভিতরে ভুঁত অর্থাৎ যাদের নিকট মাদক প্রতিকার ও প্রতিরোধের দায়িত্ব রয়েছে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হওয়ায় মাদক নির্মুল না হয়ে, উপরন্তু মাদকের করাল থাবায় যুবক সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
দৈনিক প্রথম আলোতে (১৯ জুলাই ২০২৩) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ‘পুলিশের তৈরি মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকায় পুলিশের নাম রয়েছে।’ উল্লেখ্য, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা কেউ কেউ মাদকের স্পট থেকে টাকা তুলেন আবার কেউ কেউ নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নিজেরাই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল এমন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বে নিহত এমপির আত্নীয়।’
অন্যদিকে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ‘ডোপ টেস্টে পুলিশের দ্বৈতনীতি। খবরে জানা যায়, কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে তিন বছর এবং এএসপি থেকে উপরের পদমর্যাদার একজনকেও ডোপ টেস্ট কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়নি।’ কাজেই এ বিষয়টি অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং বর্তমানে এ কার্যক্রমটি অনেকাংশে বন্ধ।
সরকার যাদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রদান করেছে, মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে সন্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে তাদের দায়িত্ব অবহেলা মাদক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যায়, কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ সদস্যদের মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার ভিত্তিতে লেনদেন এবং অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আত্নপ্রকাশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে।
তা ছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যোগসাজশের যে দীর্ঘদিনের অভিযোগ সেটি কিন্তু একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কিংবা প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের আত্নীয় স্বজনের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসূত্রতা থাকায় মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করা তাদের জন্য সহজ হয়ে ওঠে।
এ বিষয়গুলোর উদাহরণ ও অনুশীলন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতীয়মান। সবিশেষ পুলিশের অনেক সদস্যদের মাদক ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক রয়েছে এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পুলিশ সদস্যদের নিবৃত করার ক্ষেত্রে ডোপ টেষ্ট কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল কিন্তু টেষ্ট করার ক্ষেত্রে তারতম্য তথা বৈষম্য থাকায় ডোপ টেষ্ট কার্যক্রম সফল হতে পারেনি। উল্লিখিত কার্যক্রমের কারণে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আলোর মুখ দেখছে না। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণকে তুলে ধরা যেতে পারে। প্রথমত, মাদক পরিবহনের জন্য যে রুটগুলো ব্যবহৃত হয় সেই রুটগুলো কার্যকরভাবে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টরা ব্যর্থ হয়েছে, অথচ রুটগুলো চিহ্নিত।
যখন মিডিয়াগুলো এ ব্যাপারে সোচ্চার হয় এবং পাবলিক পারসেপশন অত্যন্ত কঠোর আকার ধারণ করে, তখন সাময়িক সময়ের জন্য হলেও রুটগুলোতে বেশ কড়াকড়ি দেখা যায়। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরে আবার পূর্বের ন্যায় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং মাদকের রমরমা ব্যবসা লক্ষ্য করা যায়।
দ্বিতীয়ত, মাদকের যে মামলাগুলো আদালতে চলমান সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।
তৃতীয়ত, সামাজিকভাবে এখনো মাদকের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়া, কিন্তু জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রবল। চতুর্থত, ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ব্যতীত ঔষুধ বিক্রি বন্ধ করতে কার্যকরভাবে সফল না হওয়ায় মাদকের ভয়াবহতা নির্মূল হচ্ছে না।
ফার্মেসি থেকে প্রাপ্ত ঔষুধগুলোর মাধ্যমে নেশার উদ্রেক ধীরে ধীরে হওয়ায় অভিভাবকদের অসচেতনতা এ বিষয়গুলোতে মারত্নকভাবে প্রভাব ফেলে। শেষত, পারিবারিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় মাদকের রমরমা বাণিজ্য বাংলাদেশে চলমান। কাজেই বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মাদককে নির্মূল করতে হলে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ও ইতিবাচক ভূমিকা মাদকের ইতি টানতে পারে।
লেখক: চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে